ওদেরকে কোনো দাবি না রেখে ক্ষমা করো — আল-বাক্বারাহ ১০৯-১১০

এই আয়াতে আল্লাহ تعالى আমাদেরকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাইকোলজি শেখাবেন। মানুষ কিছু মানসিক সমস্যায় ভোগে, যার সম্পর্কে আমাদের সবসময় সাবধান থাকতে হবে। সাবধান না থাকলে, কিছু অসাধু মানুষ সহজেই আমাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে আমাদের জীবনে নানা সমস্যা সৃষ্টি করবে। আমরা সরল মনে এদের ভালো করতে গিয়ে, এদের সাথে মিলমিশ করে থাকতে গিয়ে উল্টো নিজেদের বিরাট ক্ষতি করে ফেলব। আমরা বুঝতেও পারবো না: কীভাবে আমরা তাদের হাতের পুতুল হয়ে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে কাজ করে যাচ্ছি। এরকম একটি প্রেক্ষাপট এসেছে এই আয়াতে—

2_109

যদিও তাদের কাছে সত্য পরিষ্কার হয়ে গেছে, তারপরেও আহলে কিতাবের (ইহুদি, খ্রিস্টান) অনুসারীদের অনেকেই তাদের স্বার্থপর হিংসার কারণে চায় যে, তোমাদের যাদের ঈমান আছে, তারা যেন আবার কাফির হয়ে যায়। ওদেরকে কোনো দাবি না রেখে ক্ষমা করো, কোনো কিছু ধরে না রেখে উপেক্ষা করো; যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহর تعالى নির্দেশ না আসছে। আল্লাহর تعالى সবকিছুর উপরে সর্বোচ্চ ক্ষমতা রয়েছে। [আল-বাক্বরাহ ১০৯]

gaza.si

এই ধরনের ইহুদি খ্রিস্টানরা বেশিরভাগই চায় না যে, ইসলামের প্রচার হোক, মুসলিমদের কোনো উন্নতি হোক। কারণ তারা বুঝে গেছে ইসলাম একটি সত্য ধর্ম, এবং এই ধর্মের অনুসারীদের সংখ্যা কোনো এক অদ্ভুত কারণে ‘আশঙ্কাজনক’ হারে বাড়ছে, যা তারা তাদের অস্তিত্বের জন্য হুমকি সরূপ মনে করে। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে মুসলিমদের সংখ্যা বৃদ্ধির হার তথাকথিত মুসলিম দেশগুলো থেকে বহুগুণে বেশি। সিএনএন-এর রিপোর্টে[২৩৮] প্রকাশ করা নিচের ম্যাপটি যেকোনো ইহুদি, খ্রিস্টান বা হিন্দুর রাতের ঘুম হারাম করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট—

IslamSpread

১৯৯০ থেকে ২০১০ পর্যন্ত মুসলিমদের বৃদ্ধির হার: ফ্রান্স ৭২৮%, ফিনল্যান্ড ২৮১%, সুইডেন ২০৬%, নরওয়ে ১৮৬%, পোল্যান্ড ২৩৩%, কানাডা ২০০%, চিলি ৩০০%, স্পেইন ২৭৬%, অস্ট্রেলিয়া ১৫৯%, আর্জেন্টিনা ১২৫% ইত্যাদি।[২৩৮] সেই তুলনায় বাংলাদেশ ৪৫.৫%, সৌদি আরব এবং পাকিস্তানে ৫৮%।

এই ধরনের ইহুদি, খ্রিস্টানদের জন্য পাশ্চাত্যের আধুনিক দেশে মুসলিমদের বৃদ্ধির হার একটা ভয়াবহ ঘটনা। সেজন্য তারা প্রতিবছর কোটি কোটি ডলার বাজেট খরচ করে, বিশাল লোকবল নিয়োগ করে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। যেভাবেই হোক আধুনিক, শক্তিশালী, সম্পদশালী দেশগুলোতে মুসলিমদের বৃদ্ধি কমাতেই হবে। এজন্য তারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার কিছু নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো।

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

সে সঠিক পথ থেকে একেবারেই হারিয়ে গেছে — আল-বাক্বারাহ ১০৮ পর্ব ২

হাজার বছর আগে মুসা عليه السلام নবীকে বনি ইসরাইলিরা নানা ধরনের প্রশ্ন করত: “আল্লাহ تعالى কোথায়? দেখাও আমাদেরকে। আল্লাহকে تعالى নিজের চোখে না দেখলে, নিজের কানে তাঁর আদেশ না শুনলে বিশ্বাস করব না।” হাজার বছর পরে আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসে এখনও আল্লাহর تعالى সম্পর্কে সেই একই ধরনের প্রশ্ন করতে দেখা যায়। শুধু প্রশ্নগুলো আগের থেকে আরও ‘আধুনিক’ এবং ‘বৈজ্ঞানিক’ হয়েছে, এবং কথা ও যুক্তির মারপ্যাঁচে একটু বেশি গম্ভীর শোনায় —এই যা।

2_108

যেভাবে মুসাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তোমরাও কি সেভাবেই তোমাদের নবীকে প্রশ্ন করতে চাও? যে ঈমানকে কুফরি দিয়ে বদল করে, সে সঠিক পথ থেকে একেবারেই হারিয়ে গেছে। [আল-বাক্বারাহ ১০৮]

আজকের যুগে আল্লাহর تعالى অস্তিত্বকে অস্বীকার করে বিভিন্ন ধরনের নাস্তিকদের কিছু প্রশ্ন এবং দাবি দেখা যাক—

উঠতি নাস্তিক: আল্লাহ تعالى যদি সবকিছু সৃষ্টি করে থাকে, তাহলে তাকে সৃষ্টি করলো কে?

হতাশাগ্রস্থ নাস্তিক: সত্যিই যদি আল্লাহ تعالى থাকে, তাহলে পৃথিবীতে এত দুঃখ, কষ্ট, মুসলিমদের উপর এত অত্যাচার, এত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি হয় কেন? আল্লাহ تعالى এগুলো হতে দেয় কেন?

বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নাস্তিক: আল্লাহ تعالى বলে কেউ আছে —এর পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই। এখন পর্যন্ত কোনো বিজ্ঞান সম্মত প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে, সৃষ্টিজগৎ কোনো অতিবুদ্ধিমান সত্তা বানিয়েছে। সুতরাং আল্লাহ تعالى বলে কেউ নেই।

আঁতেল নাস্তিক: আল্লাহ تعالى ধারণাটা আসলে মানুষের কল্পনা প্রসূত। মানুষ যখন কোনো প্রাকৃতিক ঘটনা ব্যাখ্যা করতে পারত না, তখন তারা মনে করত: নিশ্চয়ই কোনো অতিপ্রাকৃত সত্তা রয়েছে, যে এসব ঘটাচ্ছে। একারণে মানুষ এমন কোনো সত্তাকে কল্পনা করে নেয়, যার কোনো দুর্বলতা নেই। যেমন: তার ক্ষুধা, ঘুম পায় না; সে মারা যায় না; কেউ তাকে জন্ম দেয় না; তার কোনো শরীর নেই যেখানে সে আবদ্ধ; তার কোনো আকার নেই, যা তাকে দুর্বল করে দেবে। এরকম নিরাকার, অবিনশ্বর, অসীম ক্ষমতা ইত্যাদি যত সব কল্পনাতীত গুণ মানুষচিন্তা করে বের করতে পেরেছে, তার সবকিছু ব্যবহার করে সে এক স্রষ্টাকে সৃষ্টি করেছে। এর মানে তো এই না যে, স্রষ্টা বলে আসলেই কেউ আছে?

ঘৃণাস্তিক: ধর্মের নামে যে পরিমাণ মানুষ হত্যা হয়েছে, আর অন্য কোনোভাবে এত মানুষ মারা যায়নি। ধর্মের কারণে মানুষে মানুষে ঝগড়া, ঘৃণা, মারামারি, দলাদলি, এক জাতি আরেক জাতিকে মেরে শেষ করে ফেলা —এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যা হয় না। পৃথিবীতে যদি কোনো ধর্ম না থাকতো, তাহলে মানুষে-মানুষে এত ভেদাভেদ, এত রক্তারক্তি কিছুই হতো না। যদি আল্লাহ বলে আসলেই কেউ থাকে, তাহলে ধর্মের নামে এত হত্যা কেন হয়? ধার্মিকরা এত অসাধু হয় কেন? যতসব চোর, লম্পট, প্রতারকরা দেখা যায় টুপি-দাঁড়ি পড়ে মসজিদে নামাজ ঠিকই পড়ে।

এই প্রশ্নগুলোর কিছু উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করা হলো—

earth good and evil  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

তোমরাও কি সেভাবেই তোমাদের নবীকে প্রশ্ন করতে চাও? — আল-বাক্বারাহ ১০৮

হাজার বছর আগে মুসা عليه السلام নবীকে বনি ইসরাইলিরা নানা ধরনের প্রশ্ন করত: “আল্লাহ تعالى কোথায়? দেখাও আমাদেরকে। আল্লাহকে تعالى নিজের চোখে না দেখলে, নিজের কানে তাঁর আদেশ না শুনলে বিশ্বাস করব না।” তার শত বছর পরে নবী মুহাম্মাদ-কেও عليه السلام একই ধরনের প্রশ্ন করা হত: “সাফা পাহাড়কে সোনার পাহাড় বানিয়ে দেখাও দেখি? আকাশ থেকে একটা বই এনে দেখাও দেখি?”[১৪] হাজার বছর পরে আজ বিংশ শতাব্দীতে এসে এখনও আল্লাহর تعالى সম্পর্কে একই ধরনের প্রশ্ন করতে দেখা যায়। শুধু প্রশ্নগুলো আগের থেকে আরও ‘আধুনিক’ এবং ‘বৈজ্ঞানিক’ হয়েছে, এবং কথা ও যুক্তির মারপ্যাঁচে একটু বেশি গম্ভীর শোনায় —এই যা।

2_108

যেভাবে মুসাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তোমরাও কি সেভাবেই তোমাদের নবীকে প্রশ্ন করতে চাও? যে ঈমানকে কুফরি দিয়ে বদল করে, সে সঠিক পথ থেকে একেবারেই হারিয়ে গেছে। [আল-বাক্বারাহ ১০৮]

আজকের যুগে আল্লাহর تعالى অস্তিত্বকে অস্বীকার করে বিভিন্ন ধরনের নাস্তিকদের কিছু প্রশ্ন এবং দাবি দেখা যাক—

universe man

মহাকাশ বিজ্ঞানী: মহাবিশ্ব শূন্য থেকে নিজে থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে কিছু ছিল না। মহাবিশ্বের কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই। Quantum Vaccum কোয়ান্টাম শূন্যতা থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে। মহাবিশ্ব কোনো স্রস্টা বানিয়েছে, তার প্রমাণ কী?

পদার্থবিজ্ঞানী: মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে এক অতি-মহাবিশ্ব থেকে। একে কোনো সৃষ্টি কর্তা বানায়নি। এক অতি-মহাবিশ্ব, যাকে মাল্টিভার্স বলা হয়, সেখানে প্রতিনিয়ত সকল ধরনের সৃষ্টি জগত তৈরি হয়। সকল সম্ভাবনা সেখানে বিদ্যমান। এরকম অসীম সংখ্যক মহাবিশ্বের একটিতে আমরা রয়েছি। আরেকটি মহাবিশ্বে হয়ত আমারই মত একজন রয়েছে, যে আমার থেকে একটু লম্বা। আরেকটিতে আমার থেকে একটু খাটো। মোট কথা যতকিছুই ঘটা সম্ভব, তার সবই ঘটেছে, ঘটছে এবং ঘটবে। এই মহাবিশ্বই একমাত্র মহাবিশ্ব, যাকে কোনো একক সত্তা সৃষ্টি করেছে, এর প্রমাণ কী?
দার্শনিক: মহাবিশ্ব অনন্তকাল থেকে রয়েছে। পদার্থ এবং শক্তি অবিনশ্বর। এদের সৃষ্টি বা ধ্বংস হয় না। এদের শুধু রূপান্তর হয়। সময় অসীম। মহাবিশ্ব যে একদিন ছিল না, সময় যে একসময় শুরু হয়েছে, এবং একে যে কোনো এক অতিসত্তা সৃষ্টি করেছে, তার প্রমাণ কী?

জীববিজ্ঞানী: কোনো অতিবুদ্ধিমান সত্তা মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণী বা উদ্ভিদ সৃষ্টি করেনি। এগুলো সবই প্রাকৃতিক নিয়মের ফলাফল। বিবর্তনের ফলে এক কোষী প্রাণী থেকে বহুকোষী প্রাণী তৈরি হয়েছে এবং কোটি কোটি বছর ধরে তা উন্নত হতে হতে একসময় বানর বা শিম্পাঞ্জি থেকে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণী তৈরি হয়েছে। মানুষ কোনো বিশেষ প্রাণী নয়, শুধুই বানর থেকে বিবর্তনের ফলে একটু উন্নত প্রাণী। প্রমাণ কী যে, কোনো অতিবুদ্ধিমান সত্তা নিজের ইচ্ছামত ডিজাইন করে সমস্ত প্রাণী এবং উদ্ভিদ তৈরি করেছে?

ঐতিহাসিক: যদি কোনো বুদ্ধিমান সত্তা মহাবিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করতই, তাহলে ইতিহাসে অনেক ঘটনা থাকতো, যা থেকে বোঝা যেত: কোনো বুদ্ধিমান সত্তা সেগুলো ঘটিয়েছে, যা কোনোভাবেই প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে ঘটা সম্ভব নয়। এরকম ঘটনা ঘটতে তো দেখা যাচ্ছে না। তাহলে প্রমাণ কী যে, আল্লাহ বলে সত্যিই কেউ আছে?

উঠতি নাস্তিক: আল্লাহ تعالى যদি সবকিছু সৃষ্টি করে থাকে, তাহলে তাকে সৃষ্টি করলো কে?

হতাশাগ্রস্থ নাস্তিক: সত্যিই যদি আল্লাহ تعالى থাকে, তাহলে পৃথিবীতে এত দুঃখ, কষ্ট, মুসলিমদের উপর এত অত্যাচার, এত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি হয় কেন? আল্লাহ تعالى এগুলো হতে দেয় কেন?

আঁতেল নাস্তিক: আল্লাহ تعالى ধারণাটা আসলে মানুষের কল্পনা প্রসূত। মানুষ যখন কোনো প্রাকৃতিক ঘটনা ব্যাখ্যা করতে পারত না, তখন তারা মনে করত: নিশ্চয়ই কোনো অতিপ্রাকৃত সত্তা রয়েছে, যে এসব ঘটাচ্ছে। একারণে মানুষ এমন কোনো সত্তাকে কল্পনা করে নেয়, যার কোনো দুর্বলতা নেই। যেমন: তার ক্ষুধা, ঘুম পায় না; সে মারা যায় না; কেউ তাকে জন্ম দেয় না; তার কোনো শরীর নেই যেখানে সে আবদ্ধ; তার কোনো আকার নেই, যা তাকে দুর্বল করে দেবে। এরকম নিরাকার, অবিনশ্বর, অসীম ক্ষমতা ইত্যাদি যত সব কল্পনাতীত গুণ মানুষচিন্তা করে বের করতে পেরেছে, তার সবকিছু ব্যবহার করে সে এক স্রস্টাকে সৃষ্টি করেছে। এর মানে তো এই না যে, স্রস্টা বলে আসলেই কেউ আছে?

ঘৃণাস্তিক: ধর্মের নামে যে পরিমাণ মানুষ হত্যা হয়েছে, আর অন্য কোনোভাবে এত মানুষ মারা যায়নি। ধর্মের কারণে মানুষে মানুষে ঝগড়া, ঘৃণা, মারামারি, দলাদলি, এক জাতি আরেক জাতিকে মেরে শেষ করে ফেলা —এমন কোনো খারাপ কাজ নেই যা হয় না। পৃথিবীতে যদি কোনো ধর্ম না থাকতো, তাহলে মানুষে-মানুষে এত ভেদাভেদ, এত রক্তারক্তি কিছুই হতো না। যদি আল্লাহ বলে আসলেই কেউ থাকে, তাহলে ধর্মের নামে এত হত্যা কেন হয়? ধার্মিকরা এত অসাধু হয় কেন? যতসব চোর, লম্পট, প্রতারকরা দেখা যায় টুপি-দাঁড়ি পড়ে মসজিদে নামাজ ঠিকই পড়ে।

এই প্রশ্নগুলোর কিছু উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করি—

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

তুমি কি জানো না: সবগুলো আকাশ এবং পৃথিবীর অধিপতি একমাত্র আল্লাহ? — আল-বাক্বারাহ ১০৭

কু’রআনে কিছু আয়াত রয়েছে, যেখানে আল্লাহ تعالى আমাদের অনেক মানসিক সমস্যার সমাধান দিয়ে দিয়েছেন। এই আয়াতগুলো আমরা যখন মনোযোগ দিয়ে পড়ি, তখন একটা ধাক্কা খাই। যখন আমরা এই আয়াতগুলো সময় নিয়ে ভেবে দেখি, তখন আমাদের হতাশা, অবসাদ, ডিপ্রেশন, কিছু না পাওয়ার দুঃখ, নিজের উপরে রাগ, অন্যের উপরে হিংসা, প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা —এই সবকিছু কাটিয়ে ওঠার শক্তি খুঁজে পাই। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করি যে, আমরা এতদিন থেকে যেসব সমস্যায় ভুগছিলাম, তার সমাধান তো কু’রআনেই দেওয়া আছে!
এরকম একটি আয়াত হলো—

2_107

তুমি কি জানো না: সবগুলো আকাশ এবং পৃথিবীর অধিপতি একমাত্র আল্লাহ? আল্লাহ ছাড়া তোমাদেরকে রক্ষা করার কেউ নেই, সাহায্য করারও কেউ নেই? [আল-বাক্বারাহ ১০৭]

heaven house

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু ঘটনার সাথে এই আয়াতের সম্পর্ক কোথায়, তার কিছু উদাহরণ দেই—  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

তুমি কি জানো না যে, আল্লাহর সব কিছুর উপরে ক্ষমতা রয়েছে — আল-বাক্বারাহ ১০৬

মানুষকে কোনো প্রশ্ন করার সুযোগ না দিয়ে, তাদেরকে দিয়ে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার সবচেয়ে মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে ধর্ম। জনসাধারণকে যদি কোনোভাবে বোঝানো যায় যে, ধর্ম কোনো কিছু করাকে বাধ্যতামূলক করেছে, তখন লাখো ধর্মপ্রাণ মানুষ কোনো প্রশ্ন না করে নিষ্ঠার সাথে ঝাঁপিয়ে পড়েন সেই উদ্দেশে কাজ করতে। একারণে ইতিহাসের শুরু থেকেই আমরা দেখতে পাই, ধর্ম প্রচারকরা তাদের ধর্মীয় গ্রন্থের বিকৃত অনুবাদ করে, জনসাধারণকে ভুল তথ্য দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য জনসাধারণকে ব্যাপক অপব্যবহার করে এসেছে।

মুসলিমরাও এদিক থেকে ব্যতিক্রম নয়। কু’রআনের বিশেষ কিছু আয়াতকে অনেক মুসলিম রাজা, আলেম বিকৃত অনুবাদ করে, বা অনেক সময় বিশেষ কিছু আয়াতকে বাতিল বা স্থগিত ঘোষণা করে, ইসলামকে বিকৃত করে ভয়ংকর সব কাজ করে গেছে। যেহেতু কু’রআনের আয়াতের বিকৃত অনুবাদ করা অনেক কঠিন কাজ, এবং এত তাফসীর থাকতে নতুন কোনো অনুবাদ নিয়ে আসাটা যথেষ্ট কঠিন, তাই কিছু অসাধু আলেমরা আরেকটি নতুন পথ খুজে বের করেছে। তারা ঘোষণা করা শুরু করে যে, কু’রআনের কিছু আয়াত রয়েছে, যা পরবর্তীতে অন্য আয়াত দিয়ে বাতিল বা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এভাবে তারা কু’রআনের কোন আয়াতকে মানা যাবে, কোন আয়াতকে আর মানা যাবে না, তা নিয়ে ব্যাপক জ্ঞানগর্ভ গবেষণা তৈরি করে, কু’রআনের অনেক আয়াতকে বাতিল ঘোষণা করে দেয়, যাতে করে তারা তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য কু’রআনের বিশেষ কিছু আয়াতকে কাজে লাগাতে পারে। তাদের এই কুকর্মের প্রধান হাতিয়ার সুরা আল-বাক্বারাহ’র এই আয়াতটি—

2_106

আমি কোনো আয়াত বাতিল করি না, বা ভুলিয়ে দেই না, যদি না তার মতো বা তার থেকে ভালো কিছু না দেই। তুমি কি জানো না যে, আল্লাহর সব কিছুর উপরে ক্ষমতা রয়েছে? [আল-বাক্বারাহ ১০৬]

law

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

কু’রআনে কী ধরনের বৈজ্ঞানিক তথ্য আছে?

যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে নিখুঁত করেছেন এবং মানবজাতির সৃষ্টির সূচনা করেছিলেন পানিসিক্ত অজৈব পদার্থ (কাঁদা) থেকে। (৩২:৭)

DNA-Strandকু’রআনে পৃথিবী, সৌরজগত, মহাবিশ্ব এবং সৃষ্টির সূচনার যে বর্ণনা দেওয়া আছে, তার সম্পর্কে ১৪০০ বছর আগে মানুষের কোনোই ধারণা ছিল না। কু’রআন এমন একটি সময়ে প্রকাশ করা হয়েছে, যখন কোনো পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান— এসব কিছুই ছিল না। মানুষ মনে করতো: পৃথিবী হচ্ছে একমাত্র জগত এবং আকাশ হচ্ছে পৃথিবীর ছাদ, যেখানে চাঁদ, সূর্য, নক্ষত্র ভেসে বেড়াচ্ছে এবং রাতের বেলা সূর্য পৃথিবীর নিচে গিয়ে বিশ্রাম নেয় (গ্রীক হেলিওসেন্ট্রিসম)। অথচ কু’রআন, যা কি না ৬১০-৬৩২ খ্রিস্টাব্দে নাজিল হয়েছে: এখন থেকে ১৪০০ বছর আগে এমন কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রকাশ করেছে, যা শুধুমাত্র সাম্প্রতিক বিজ্ঞানই সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। কু’রআনে যে শত শত বৈজ্ঞানিক তথ্যের ইংগিতে ভরা আয়াত পাওয়া গেছে, তা সব একসাথে করতে গেলে একটা বই লিখতে হবে। তাই আমি কিছু চমকপ্রদ আয়াত এবং সেগুলোতে কী ধরনের বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক, গাণিতিক তথ্যর ইংগিত পাওয়া গেছে— তা তুলে ধরলাম। বিস্তারিত জানতে www.quranandscience.comquranmiracles.com দেখুন।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

ওরা চায় না তোমাদের ভালো কিছু হোক — আল-বাক্বারাহ ১০৫

কু’রআনে কিছু আয়াত রয়েছে যেগুলো অমুসলিম সমালোচকরা এবং ইসলামকে যারা আক্রমণ করার জন্য সবসময় ওতপেতে থাকেন, তারা পড়লে বড়ই খুশি হন, কারণ তারা ইসলামকে একটি “মধ্যযুগীয় বর্বর ধর্ম” হিসেবে প্রচার করার জন্য এই আয়াতগুলো থেকে অস্ত্র পেয়ে যান। আবার এই একই আয়াতগুলো একদল চরমপন্থী মুসলিমরা পড়লে বড়ই খুশি হন, কারণ তারা এই আয়াতগুলো থেকে অমসুলিমদের বিরুদ্ধে মারামারি, খুনাখুনি করার জন্য অনুপ্রেরণা এবং আদেশ খুঁজে পান। এই দুই ধরনের মানুষরা গত হাজার বছর ধরে ইসলামের একই ক্ষতি করে গেছেন: ইসলামকে সাধারণ মানুষের মাঝে একটি অসহনশীল, কট্টর, আগ্রাসী ধর্ম হিসেবে কুখ্যাত করে দিয়ে গেছেন। এরকম একটি আয়াত হলো—

2_105

আল্লাহর সাথে যারা শিরক করে এবং আহলে কিতাবের (ইহুদি এবং খ্রিস্টান) মধ্যে থেকে যারা সত্যকে অস্বীকার (কুফরি) করেছে, তারা কখনই চায় না যে, তোমাদের প্রভুর কাছ থেকে একটুও ভালো কিছু আসুক তোমাদের উপর। কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা তাঁর অনুগ্রহের জন্য মনোনীত করেন। আল্লাহ অপরিসীম অনুগ্রহের অধিকারী। [আল-বাক্বারাহ ২:১০৫]

এই আয়াত পড়ে অমুসলিমরা বলে, “তোমাদের কাছে আমরা সবাই কাফির? তোমরা না বল ইসলাম হচ্ছে শান্তি, সহমর্মিতার ধর্ম? এই হচ্ছে তার নমুনা?” আর অন্যদিকে একদল মুসলিমরা, যারা রক্তের গন্ধের জন্য পাগল হয়ে আছেন, তারা এইধরনের আয়াত পড়ে চোখ লাল করে চিৎকার দিয়ে ওঠেন, “ওরা সব কাফির! ওরা কেউ চায় না আমাদের ভালো কিছু হোক। ভাই সব, অস্ত্র হাতে নিয়ে ইহুদি, খ্রিস্টান, মুশরিকদেরদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। আল্লাহু আকবার!”

gaza.si  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো — আল-বাক্বারাহ ১০৪

আপনি একটি কনফারেন্সে এসেছেন একজন বিখ্যাত সাইকিয়াট্রিস্টের কথা শুনতে। সেই বক্তার সম্পর্কে আপনি অনেক ভালো কথা শুনেছেন আগে। তাই আপনি বেশ আশা নিয়ে বসে আছেন যে, আজকে একটা ভালো অভিজ্ঞতা হবে, অনেক কিছু জানতে পারবেন। বক্তৃতা শুরু হলো। বক্তা তরুণ সমাজের বেহাল অবস্থা নিয়ে নানা ধরনের বৈজ্ঞানিক মন্তব্য করছেন। তখন আপনার পাশের বন্ধু, যার অবস্থার সাথে বক্তার কথা বেশ মিলে যাচ্ছে, তাড়াতাড়ি বলা শুরু করল, “আরে গাধাটা বলে কি! ও কোথা থেকে এই সব আবোল তাবোল জিনিস শিখে এসেছে?” সাথে সাথে বক্তার উপর আপনার সব শ্রদ্ধা চলে গেল। বাকি সময়টা আপনিও বক্তার কথা পজেটিভলি বোঝার চেষ্টা না করে, উল্টো তার প্রতিটা কথায় দোষ ধরা শুরু করলেন।

ফেইসবুকে একদিন একটা ইসলামের উপর গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল লক্ষ করলেন, যা দেখে আপনার মনে হলো আর্টিকেলটা পড়া দরকার। পড়ার আগে আপনি একবার অন্যদের মন্তব্যগুলো দেখে নিলেন। কয়েকটা মন্তব্য পড়ে আপনি আর্টিকেলটা পড়তে প্রস্তুত। কিন্তু একটা মন্তব্যে আপনার চোখ আটকে গেল — “এইসব ফালতু গাঁজাখুরি কথাবার্তা কোথায় পান? যতসব গণ্ডমূর্খের দল।” ব্যাস, আপনার পড়ার প্রস্তুতি সব শেষ। আপনি আর্টিকেলটা পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেললেন।

এই ধরণের অসন্মানজনক তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাটা আগে একদল ইহুদির অভ্যাস ছিল। ব্যাপারটা আল্লাহর تعالى কাছে এতটাই জঘন্য যে, তিনি একটি আয়াত নাজিল করে দিয়েছেন তাদের এই জঘন্য অভ্যাসটার ব্যাপারে সাবধান করে দিয়ে—

2_104

তোমরা যারা বিশ্বাস করেছ, নবীকে “রাই’না” (আমাদের কথা শুনো) বলবে না, বরং অনুরোধ করবে “উনযুরনা” (আমাদের জন্য অপেক্ষা করুন) এবং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনো। যারা তা মানবে না, সেই কাফিরদের জন্য রয়েছে প্রচণ্ড কষ্টের শাস্তি। [আল-বাক্বারাহ ১০৪]

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

ওরা মানুষকে জাদু শিখিয়েছিল — আল-বাক্বারাহ ১০২-১০৩

চৌধুরী সাহেব গাড়ি থেকে নেমে সাবধানে এদিক ওদিক তাকিয়ে মগবাজারে এক অন্ধকার গলির ভেতর একটা দোকানে ঢুকছেন। সেই দোকান এক বিখ্যাত মন্ত্রগুরুর। সে নাকি জাদুটোনা করে মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে দিতে পারে। চৌধুরী সাহেব তার এলাকার প্রতিদ্বন্দী হাজী সাহেবের জীবন নষ্ট করে দেওয়ার জন্য সেই মন্ত্রগুরুর কাছে এসেছেন, যাতে করে পরের মাসের ইলেকশনে হাজী সাহেবকে হারিয়ে দিতে পারেন। এই মোক্ষম সময়ে হাজী সাহেবের জীবনে নানা ঝামেলা তৈরি করতে পারলে, চৌধুরী সাহেবের জন্য ইলেকশনে জেতা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

তিনি এক অন্ধকার ঘরে মন্ত্রগুরুর সামনে গিয়ে বসলেন। তাকে তার সমস্যার কথা জানালেন। মন্ত্রগুরু তাকে বললেন, “দুশ্চিন্তা বন্ধ করুন। আমি ‘ওদেরকে’ ডাকছি। ওরা আপনার শত্রুর জীবন শেষ করে দেবে। তবে মনে রাখবেন, একবার যদি এই পথে পা বাড়ান, আর ফিরে আসার উপায় নেই।”

চৌধুরী সাহেবের তখন মনে পড়ে গেল, তার এক আত্নীয় তাকে বহুবার সাবধান করেছিলেন: এই সব জাদুটোনার মধ্যে না যেতে। এগুলো করা কুফরী। সারাজীবনের জন্য জাহান্নামে চলে যেতে হবে। কিন্তু চৌধুরী সাহেব জিদে অন্ধ হয়ে আছেন। গত তিন বছর তিনি হাজী সাহেবের কাছে ইলেকশনে হেরেছেন। এই বার আর না। যত কিছুই লাগে, তিনি এই বার ইলেকশনে জিতবেনই।

মন্ত্রগুরু এক লাখ টাকা নিয়ে তাকে এক ভয়ঙ্কর জাদু শিখিয়ে দিলেন। তিনি সেই জাদুর কাগজ আর সরঞ্জাম নিয়ে খুশি মনে বাসায় ফেরত যাচ্ছেন। এই বার ইলেকশনে তার জেতা ঠেকায় কে?

আমাদের উপমহাদেশে জাদুটোনার ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়েছে। অনেকেই আজকাল নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য জাদুটোনার আশ্রয় নিচ্ছেন। হাজার বছর আগে বনী ইসরাইল ঠিক একই কাজ করে নিজেদেরকে ধ্বংস করে ফেলেছিল। আজকে অনেক মুসলিমরা ঠিক একই কাজ করে নিজেদেরকে চিরজীবনের জন্য ধ্বংস করে ফেলছেন।

2_102_1

তারা বরং সেগুলো অনুসরণ করত, যা শয়তানরা সুলাইমানের রাজত্বের নামে মিথ্যা অপপ্রচার করত। সুলাইমান কোনোদিন কুফরী করেনি, বরং ওই শয়তানগুলোই কুফরী করেছিল। ওরা মানুষকে জাদু শিখিয়েছিল। বাবিল শহরে পাঠানো দুই ফেরেশতা হারুত এবং মারুতকে যা দিয়ে পাঠানো হয়েছিল, তা শিখিয়েছিল। … [আল-বাক্বারাহ ১০২]

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

আসলে তাদের বেশিরভাগেরই কোনো ঈমান নেই — আল-বাক্বারাহ ১০০-১০১

চৌধুরী সাহেব একদিন হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন, “ইয়া আল্লাহ, এই রমজান থেকে আমি সবসময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ব। আমাকে বাঁচিয়ে দিন আল্লাহ।” তিনি সুস্থ হয়ে বাসায় আসলেন। রমজান শেষে ঈদ আসল। তিনি সারাদিন বন্ধুদের বাসায় ঈদের দাওয়াত খেয়ে ঘুরে বেড়ালেন। পাঁচ ওয়াক্ত তো দূরের কথা, ঈদের জামাত ছাড়া আর এক ওয়াক্ত নামাজও তিনি পড়লেন না। তারপরে একদিন তিনি ঠিক করলেন: এখন থেকে অন্তত মাগরিব, ঈশা বাসায় এসে পড়বেন। কিন্তু দেখা যায়, তিনি প্রতিদিন সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাসায় আসেন। তারপর খবর, সিরিয়াল, টক শো দেখতে বসেন। তার আর কোনো নামাজ পড়া হয় না।

যাইহোক, একসময় চৌধুরী সাহেব ঠিক করলেন, এলাকায় তার কিছু করা দরকার, কিছু পরিচিতি হওয়া দরকার। তিনি এলাকার মসজিদের বোর্ডকে বললেন, তাকে যদি সভাপতি বানানো হয়, তিনি মসজিদের সব মেরামত করবেন, মসজিদের পাশে একটা মাদ্রাসা করবেন। তাকে সসন্মানে মসজিদের সভাপতি বানানো হলো। জুন্মার নামাজে হাজারো মুসল্লির সামনে ঘটা করে তার নাম ঘোষণা দেওয়া হলো। কিন্তু মাসখানেক পর মসজিদের মেরামত শেষে মসজিদের মেম্বাররা যখন তাকে মাদ্রাসার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন, তিনি অবাক হয়ে বললেন, “মাদ্রাসা? আমি কবে বললাম মাদ্রাসা করার কথা? মসজিদের না সব মেরামত আমিই করে দিলাম? আপনারা দেখি আমাকে পেয়ে বসেছেন! আগামী পাঁচ বছর আর কিছু হবে না।”

এই ধরনের চৌধুরী সাহেবদের সাথে এই আয়াতের বনী ইসরাইলদের সাথে অনেক মিল পাওয়া যায়—

2_100

এমনটাই কি সবসময় হয় না যে, যখনি তারা অঙ্গীকার করে, তাদের মধ্যে একদল তা ছুঁড়ে ফেলে? আসলে তাদের বেশিরভাগেরই কোনো ঈমান নেই। [আল-বাক্বারাহ ১০০]

এখানে বলা হয়েছে, এরা অঙ্গীকার ছুঁড়ে ফেলে। نبذ অর্থ কোনো কিছুর মূল্য না দিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া।[৫][১] অঙ্গীকার মানা তো দূরের কথা, কোনোদিন যে অঙ্গীকার করেছিল, সেটা স্বীকার পর্যন্ত করে না।

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)