আমার কাজে লাগবে এমন কিছু কু’রআনে আছে কি?

baqarah-verseকু’রআন সম্পর্কে একটি প্রচলিত ধারণা হল এটি একটি উচ্চ মার্গের ধর্মীয়, নৈতিক, ঐতিহাসিক বই, যাতে মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় বড় জটিল ব্যাপারগুলোই শুধুমাত্র বলা আছে। দৈনন্দিন জীবনে কাজে লাগে এমন সাধারণ ব্যাপারগুলোর জন্য কু’রআন নয়। যেমন: আমরা কীভাবে কথা বলব, কীভাবে বেড়াতে যাবো, কীভাবে বাচ্চাদেরকে বিছানা দিবো —এসব খুঁটিনাটি সাধারণ দৈনন্দিন ব্যাপারের জন্য কু’রআন নয়। এই ধারণার কারণে অনেকেই কু’রআন থেকে এসব না শিখে, আনুষঙ্গিক কিছু ধর্মীয় বই, মনীষীর জীবনী ইত্যাদি পড়ে অনেক সময় নানা ধরণের বিতর্কিত উপদেশ শিখে বিভ্রান্ত হয়ে নিজের, পরিবারের, সমাজের ক্ষতি ডেকে আনেন; যেখানে কিনা স্বয়ং আল্লাহ আমাদেরকে শিখিয়েছেন—

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

পিঁপড়া – আন-নামল ১৮

কু’রআনের আয়াতগুলো ভাষাতত্ত্ববিদদের জন্য তথ্যের খনি। আল্লাহ تعالى খুব সাধারণ দেখতে কিছু আয়াতে, সাধারণ কিছু গল্প বা কথোপকথনের মধ্য দিয়েই অসাধারণ সব তথ্য প্রকাশ করেন। যেমন, নিচের আয়াতটি দেখুন যেখানে আল্লাহ تعالى আমাদেরকে একটি স্ত্রী পিঁপড়ার একটি মাত্র কথার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে পিঁপড়াদের সম্পর্কে কত ধরণের তত্থ্য দিয়েছেনঃ

আর যখন তারা পিঁপড়াদের উপত্যকায় পৌছিয়েছিল, একটি পিঁপড়া(স্ত্রী) বলেছিল, “হে পিঁপড়ারা, তোমাদের ঘরগুলোতে প্রবেশ কর, যাতে করে সুলায়মান এবং তার বাহিনী তোমাদেরকে না বুঝে পিষে না ফেলে”। (২৭:১৮)

আপনার কাছে মনে হবে, এতো ছোটদের কোনো গল্পের বইয়ের মত! এখানে পিঁপড়াদের সম্পর্কে আল্লাহ تعالى নতুন কী জানালেন আমাদেরকে?  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

তাঁর মতো আর কেউ নেই – সূরা ইখলাস

allah-300x225আমরা অনেক সময় চিন্তা করে দেখি না আমাদের ধর্মে যে সৃষ্টিকর্তার সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেটা কত সহজ এবং যুক্তিযুক্ত। আপনি যদি আজকে একজন খ্রিস্টান হতেন তাহলে আপনাকে কি বিশ্বাস করতে হতো দেখুন: প্রথম মানুষ আদম, খোদার নির্দেশ অমান্য করে এমন এক মহা পাপ করেছিলেন যে, তার পাপের জন্য তার পরে সমস্ত মানুষ জন্ম নিয়েছে পাপী হয়ে, এমনকি আপনিও জন্ম হয়েছেন এক বিরাট পাপ নিয়ে। হাজার বছর ধরে সেই পাপ জমতে জমতে এত বিশাল হয়ে গিয়েছিল যে, সেই মহাপাপ থেকে মানব জাতিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাকে মানুষ রূপে পৃথিবীতে এসে মানুষের হাতেই জীবন বিসর্জন দিতে হয়েছে! এখন যদি প্রশ্ন করেন, “আদম পাপ করেছে বলে আমাকে কেন তার পাপের বোঝা নিতে হবে? আমি কী দোষ করেছি?” অথবা “পাপ তো করা হয়েছিল সৃষ্টিকর্তার বিরুদ্ধে, তাহলে সৃষ্টিকর্তা কি শুধু বলতে পারতেন না, ‘হে মানব জাতি, যাও, আমি তোমাদেরকে মাফ করে দিলাম’, ব্যস! কী দরকার ছিল তাঁর মানুষ হয়ে পৃথিবীতে এসে মানুষের হাতেই মার খাওয়ার?” —আপনি কোনো উত্তর পাবেন না।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)