কী ব্যাপারে তারা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছে? — আন-নাবা পর্ব ১

কী ব্যাপারে তারা একে অন্যকে জিজ্ঞেস করছে? সেই বিরাট ঘটনার ব্যাপারে? যা নিয়ে তাদের নিজেদের ভেতরেই নানা মতবিরোধ? সাবধান! শীঘ্রই তারা জানতে পারবে। শেষ পর্যন্ত গিয়ে তারা জানতে পারবেই! — আন-নাবা ১-৫

একদিন সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে; তারপর কোটি কোটি মানুষকে আবার সৃষ্টি করে ওঠানো হবে এবং তাদের সমস্ত স্মৃতি ফিরিয়ে দেওয়া হবে; তারপর তাদের পুরো জীবনটাকে দেখানো হবে —এটা কোনোভাবে সম্ভব, সেটা অনেকেই বিশ্বাস করত না। আবার অনেকে মনে করত যে, এরকম কিছু যদি সত্যিই ঘটে, তাহলে সেই দিন তাদের পীর-ফকির-দরবেশ-আউলিয়া-ওস্তাদ-দেবতাদের কাছে তারা ফিরে যাবে। তখন তাদের আর কোনো দুশ্চিন্তা থাকবে না। কত টাকা-পয়সা, ফুল-মিষ্টি-নারিকেল খরচ করেছে এদের পেছনে। সেগুলোর বিনিময়ে কিছুই পাবে না, তা কী করে হয়? —আবার অনেকে মনে করত যে, একদিন যদি সবার বিচার হয়ও, এক সৃষ্টিকর্তার পক্ষে কি আর হাজার কোটি মানুষের সব কাজের খবর রাখা সম্ভব? এত মানুষের খুঁটিনাটি বিচার করার সময় কোথায়? নিশ্চয়ই তিনি শুধু ঘাঘু অপরাধীদের ধরে শাস্তি দেবেন? বাকিরা সবাই আরামে পার পেয়ে যাবে। আবার অনেকে মনে করত যে, এই দুনিয়াতে তারা কত সম্মান-সম্পদ নিয়ে আনন্দে আছে। তার মানে সৃষ্টিকর্তা নিশ্চয়ই তাদের উপর মহা খুশি। মৃত্যুর পরে নিশ্চয়ই তাদের জন্য আরও বেশি সম্মান-সম্পদ অপেক্ষা করছে।[৭] 

—শেষ বিচার দিন কোনো ঠাট্টা তামাশার বিষয় নয়। এটি সৃষ্টিজগতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা। এই দিন অসহায় অত্যাচারিত মানুষের ন্যায্য বিচার পাওয়ার দিন। জোর খাটিয়ে দুনিয়ায় পার পেয়ে যাওয়া সব অত্যাচারীর পাকড়াওয়ের দিন। এই দিন সর্বোচ্চ আদালতে হাজিরা দেওয়ার দিন। হাজার কোটি মামলার শুনানি এবং ফয়সালার দিন। একইসাথে এই দিন সকল ন্যায়পরায়ন, যোগ্য মানুষের ভালো কাজ এবং ত্যাগের প্রতিদান পাওয়ার দিন। পরম-করুণাময়ের অসীম দয়া উপভোগের দিন। তাহলে, কোন সাহসে মানুষ এরকম এক বিরাট ঘটনাকে নিয়ে একে অন্যর সাথে ঠাট্টা করে?

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

কোনটা সৃষ্টি করা বেশি কঠিন: তোমরা, নাকি যে আকাশ তিনি বানিয়েছেন, সেটা? — আন-নাযিয়াত পর্ব ২

কোনটা সৃষ্টি করা বেশি কঠিন: তোমরা, নাকি যে আকাশ তিনি বানিয়েছেন, সেটা? তিনি সেটার ছাদকে উঁচু করেছেন, সুবিন্যস্ত করেছেন। এর রাতে আধার দিয়েছেন এবং এর দিনের উজ্জ্বলতা প্রকাশ করেছেন। আর ভূমিকে তারপরে বিস্তৃত করেছেন। তা থেকে পানি এবং তৃণভূমি বের করেছেন। দৃঢ়ভাবে পর্বতমালাকে গেঁথে দিয়েছেন। এসবই তোমাদের এবং তোমাদের গবাদির জীবিকার জন্য। —আন-নাযিয়াত ২৭-৩৩

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

তারা উটের দিকে তাকিয়ে দেখে না যে, কীভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? — আল-গাশিয়াহ পর্ব ২

তারা উটের দিকে তাকিয়ে দেখে না যে, কীভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? আকাশকে কীভাবে উপরে ধরে রাখা হয়েছে? পাহাড়কে কীভাবে উঁচু করে গেঁড়ে দেওয়া হয়েছে? ভূমিকে কীভাবে বিছানো হয়েছে?
সুতরাং, তুমি উপদেশ দিতে থাকো। তুমি শুধুই একজন উপদেশদাতা। জোর করে মানানো তোমার কাজ নয়। তবে যে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং অস্বীকার করবে, আল্লাহ তাকে ভীষণ শাস্তি দেবেন। এরা শেষ পর্যন্ত আমার কাছেই ফিরে আসবে। আমিই তখন এদের কাছ থেকে সব হিসেব নেব।
— আল-গাশিয়াহ ১৭-২৬

সুরাহ গাশিয়াহ’য় আল্লাহ تعالى চারটি প্রশ্ন করেছেন। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি দিতে গেলে অবস্থা হতো এরকম

“উটের দিকে তাকিয়ে দেখেছ, কীভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে?”
— না, দেখিনি।

“আকাশকে কীভাবে উপরে ধরে রাখা হয়েছে?”
— জ্বি না।

“পাহাড়কে কীভাবে উঁচু করে গেঁড়ে দেওয়া হয়েছে?”
— না, দুঃখিত।

“ভূমিকে কীভাবে বিছানো হয়েছে?”
— না, কখনও ভাবিনি।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

যেদিন তোমার রব আসবেন সারি সারি ফেরেশতাদের নিয়ে —আল-ফাজর ১৫-৩০

মানুষের অবস্থা হচ্ছে: যখন তার প্রতিপালক তাকে সম্মান, সামর্থ্য বাড়িয়ে দিয়ে পরীক্ষা নেন, তখন সে বলে, “আমার প্রতিপালক আমাকে সম্মানিত করেছেন!” আর যখন তিনি জীবিকা কমিয়ে দিয়ে পরীক্ষা নেন, তখন সে আফসোস করে, “আমার প্রতিপালক আমাকে অপমানিত করেছেন।” —সেটা কখনই নয়। বরং তোমরাই তো এতিমদের সম্মান করো না। অভাবীদের খাবার তাদেরকে দিতে উৎসাহ পর্যন্ত দাও না। উত্তরাধিকারীদের প্রাপ্য সম্পদ গোগ্রাসে আত্মসাৎ করো। সম্পদের প্রতি তোমাদের মাত্রাতিরিক্ত মোহ।—আল-ফাজর ১৫-২০

যখন তার প্রতিপালক তাকে সম্মান, সামর্থ্য বাড়িয়ে দিয়ে পরীক্ষা নেন

যখন কারও বেশ টাকা পয়সা হয়, তখন সে অনেক সময় এক ধরনের আত্মতৃপ্তিতে ভোগে যে, আল্লাহ تعالى তাকে এখন ভালোই পছন্দ করেন। আল্লাহকে تعالى খুশি রাখার জন্য সে মসজিদে কিছু দান করে। গরিব আত্মীয়দের মাঝে মধ্যে টাকা পয়সা বিলিয়ে দেয়। কিন্তু ওদিকে আলিশান রেস্টুরেন্টে গিয়ে প্রতি সপ্তাহে ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া। প্রত্যেক মাসে জাঁকজমক করে পার্টি। বাসায় বিশাল টেলিভিশন, দামি ব্র্যান্ডের গাড়ি, অভিজাত এলাকায় আলিশান বাড়ি। কয়েক মাস পর পর বিদেশে বেড়াতে যাওয়া। লক্ষ লক্ষ টাকা আমোদে উড়িয়ে আসা। পাঁচ তারা হোটেলে গিয়ে সন্তানের জন্মদিন, বিয়ের অনুষ্ঠান।

মাঝে মধ্যে তার মনে হতে থাকে যে, জীবনটা বাড়াবাড়ি রকমের বিলাসিতা হয়ে গেছে। আশে পাশে মানুষ কত কষ্টে আছে। তাদের জন্য কিছু করা দরকার। তখন সে বিবেকের দংশন কমাতে মসজিদের দান বাক্সে একশ টাকা দিয়ে আসে। তারপর পরদিন লক্ষ টাকা খরচ করে সপরিবারে ফুর্তি করতে যায়, আর মনে মনে ভাবতে থাকে, “আল্লাহ আমার উপর কত রহমত করেছেন! উনি আমাকে কত সম্মান দিয়েছেন! আলহামদুলিল্লাহ!” —কিন্তু সে জানে না যে, এই সবই ছিল পরীক্ষা। যেই পরীক্ষায় সে প্রতিদিন ফেল করছে।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

মানুষ হতভম্ব হয়ে বলবে, “কী হচ্ছে এর!” —আয-যালযালাহ

পৃথিবীকে যখন ভীষণভাবে ঝাঁকানো হবে এবং পৃথিবী তার সব বোঝা বের করে দেবে। আর মানুষ হতভম্ব হয়ে বলবে, “কী হচ্ছে এর!” সেদিন সে সবকিছু জানিয়ে দেবে, কারণ তোমার প্রতিপালক তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। সেদিন মানুষ আলাদা আলাদাভাবে বের হবে, যাতে তাদেরকে দেখানো যায় তারা কী করেছে। তারপর কেউ অণু পরিমাণ ভালো কাজ করে থাকলেও তা দেখতে পাবে। আর কেউ অণু পরিমাণ খারাপ কাজ করে থাকলেও তা দেখতে পাবে। —আয-যালযালাহ

সুধীবৃন্দরা প্রশ্ন করেন, “গত হাজার বছরে কত প্রজন্ম ‘কিয়ামত আসলো বলে!’ — এই ভয় পেয়ে জীবন পার করে গেছে। কই? কিয়ামত তো হয়নি? তাহলে কি তারা সারাজীবন এক অমূলক ভয় পেয়ে জীবন পার করে গেলো না? আমার জীবনে কিয়ামত হবে তার তো কোনো নিশ্চয়তা নেই? তাহলে খামোখা ভয় পেয়ে কী লাভ? মক্কার আরবদের হাজার বছর আগে কিয়ামতের এত সব ভয় দেখানো হলো, কই, কিয়ামত তো তাদের জীবনে হলো না? তাহলে এত এত সব আয়াত ফালতু ভয়?”

— তাদের এই সমস্যার উত্তর তাদের প্রশ্নের ভেতরেই রয়েছে: “ভয় দেখিয়ে কী লাভ?”    (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

তিনি অনন্ত বিদ্যমান, সব কিছুর ধারক — আয়াতুল কুরসি, আল-বাক্বারাহ ২৫৫

কু’রআনে কিছু আয়াত রয়েছে, যেখানে আল্লাহ تعالى আমাদের অনেক মানসিক সমস্যা এবং প্রশ্নের সমাধান দিয়ে দিয়েছেন। এই আয়াতগুলো আমরা যখন মনোযোগ দিয়ে পড়ি, তখন ধাক্কা খাই। যখন সময় নিয়ে ভেবে দেখি, তখন আমাদের হতাশা, অবসাদ, ডিপ্রেশন, কিছু না পাওয়ার দুঃখ, নিজের উপরে রাগ, অন্যের উপরে হিংসা, প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা —এই সবকিছু কাটিয়ে ওঠার শক্তি খুঁজে পাই। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করি যে, আমরা এতদিন থেকে যেসব সমস্যায় ভুগছিলাম, তার সমাধান তো এই আয়াতেই ছিল! এরকম একটি আয়াত হচ্ছে আয়াতুল কুরসি। এই আয়াতের প্রতিটি বাক্যে শিরক থেকে দূরে থাকার শিক্ষা রয়েছে এবং একই সাথে আমরা দুনিয়াতে যে নানা ধরনের শিকলের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেছি, তা থেকে বেড়িয়ে আসার উপায় শেখানো হয়েছে—

2_255

আল্লাহ, তিনি ছাড়া আর কোনো উপাসনার যোগ্য কেউ নেই, তিনি অনন্ত বিদ্যমান, সব কিছুর ধারক। তাঁকে তন্দ্রা বা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশগুলো এবং পৃথিবীতে যা কিছুই আছে, সবকিছু শুধুমাত্র তাঁর। কে আছে যে তার অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করবে? তাদের দৃষ্টির সামনে এবং দৃষ্টির অগোচরে যা কিছুই আছে, তিনি তাঁর সব জানেন। তাঁর ইচ্ছা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর কুরসী আকাশগুলো এবং পৃথিবীকে ঘিরে রেখেছে। সেগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে কখনো ক্লান্ত করে না। তিনি সবার ঊর্ধ্বে, সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান। [আল-বাক্বারাহ ২৫৫]

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

এসবের মধ্যে বিবেক-বুদ্ধির মানুষদের জন্য অবশ্যই বিরাট নিদর্শন রয়েছে — আল-বাক্বারাহ ১৬৪ পর্ব ১

এই আয়াতে আল্লাহ تعالى বুদ্ধিমান মানুষদের চিন্তা করার জন্য কিছু নিদর্শন দিয়েছেন। তিনি تعالى বলছেন যে, যদি মানুষ বুদ্ধিমান হয়, তাহলে এই ব্যাপারগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করলে মানুষ এই উপসংহারে পৌঁছাবেই: আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ থাকতেই পারে না।

2_164_title

2_164আকাশ এবং পৃথিবীর সৃষ্টিতে, দিন-রাতের পরিবর্তনে, মানুষের জন্য পণ্য নিয়ে সমুদ্রে ভেসে চলা জাহাজে, আকাশ থেকে আল্লাহর পাঠানো পানিতে, যা মৃত জমিকে আবার প্রাণ দেয়, এর মধ্যে সব ধরণের প্রাণীকে ছড়িয়ে দেয়, বাতাসের পরিবর্তনে এবং আকাশ এবং পৃথিবীর মাঝখানে মেঘের নিয়ন্ত্রিত চলাচলে —এসবের মধ্যে বিবেক-বুদ্ধির মানুষদের জন্য অবশ্যই বিরাট নিদর্শন রয়েছে। [আল-বাক্বারাহ ১৬৪]

এই আয়াতে একটি খুবই শক্তিশালী বাণী রয়েছে। আল্লাহ تعالى কে —তা তিনি শুধু কু’রআন, হাদিসের বাণীর মাধ্যমেই আমাদেরকে জানাননি, আমাদের চারপাশের এই বিশাল জগতের মধ্যে পরিষ্কারভাবে তাঁর تعالى পরিচয় ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁকে জানার জন্য যে, আমাদের শুধু হালাক্বাতে গিয়ে লেকচার শোনা, মসজিদে গিয়ে খুতবা শোনা, বা শুধু ধর্মীয় বই পড়তে হবে তা নয়, তাঁর এই বিশাল সৃষ্টিজগৎ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করলে, পৃথিবী ঘুরে দেখলে, আকাশ নিয়ে চিন্তা করলে, আমরা তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারবো। আল্লাহর تعالى আয়াত ءَايَٰت—যার অর্থ নিদর্শন—দুই ভাবে আমাদের কাছে এসেছে: ১) তাঁর পাঠানো বাণীর মাধ্যমে, এবং ২) তাঁর সৃষ্টিজগতের মাধ্যমে।[১] যারা বুদ্ধিমান, তারা সৃষ্টিজগতের মধ্যেই আল্লাহর পরিচয় تعالى খুঁজে পায়। তাঁর একত্ব এবং মহত্ত্ব উপলব্ধি করে বিস্ময়ে মাটিতে লুটিয়ে যায়।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

তুমি কি জানো না: সবগুলো আকাশ এবং পৃথিবীর অধিপতি একমাত্র আল্লাহ? — আল-বাক্বারাহ ১০৭

কু’রআনে কিছু আয়াত রয়েছে, যেখানে আল্লাহ تعالى আমাদের অনেক মানসিক সমস্যার সমাধান দিয়ে দিয়েছেন। এই আয়াতগুলো আমরা যখন মনোযোগ দিয়ে পড়ি, তখন একটা ধাক্কা খাই। যখন আমরা এই আয়াতগুলো সময় নিয়ে ভেবে দেখি, তখন আমাদের হতাশা, অবসাদ, ডিপ্রেশন, কিছু না পাওয়ার দুঃখ, নিজের উপরে রাগ, অন্যের উপরে হিংসা, প্রিয়জনকে হারানোর বেদনা —এই সবকিছু কাটিয়ে ওঠার শক্তি খুঁজে পাই। আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করি যে, আমরা এতদিন থেকে যেসব সমস্যায় ভুগছিলাম, তার সমাধান তো কু’রআনেই দেওয়া আছে!
এরকম একটি আয়াত হলো—

2_107

তুমি কি জানো না: সবগুলো আকাশ এবং পৃথিবীর অধিপতি একমাত্র আল্লাহ? আল্লাহ ছাড়া তোমাদেরকে রক্ষা করার কেউ নেই, সাহায্য করারও কেউ নেই? [আল-বাক্বারাহ ১০৭]

heaven house

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কিছু ঘটনার সাথে এই আয়াতের সম্পর্ক কোথায়, তার কিছু উদাহরণ দেই—  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

পৃথিবীতে সবকিছু আমাদের জন্য বানানো হয়েছে — বাকারাহ ২৯

2_29

তিনি পৃথিবীতে যা আছে, তার সব কিছু সৃষ্টি করেছেন তোমাদের জন্যই। তারপর তিনি নির্দেশ করেছিলেন আকাশের প্রতি এবং তাদেরকে সাতটি/অনেক আকাশে গঠন করেছেন। আর একমাত্র তিনিই সবকিছুর ব্যাপারে সব জানেন। [বাকারাহ ২৯]

নাস্তিকরা প্রশ্ন করে: পৃথিবী যদি সত্যিই মানুষের জন্য বানানো হতো, তাহলে পৃথিবীতে তেলাপোকা, মশা-মাছি, সাপ, বাঘ, কুমির এতো সব ভয়ংকর প্রাণী কেন? পৃথিবীর ৭০% ভাগ জায়গা সমুদ্রের পানি, তাও আবার পান করা যায় না এমন নোনা পানি কেন? পৃথিবীতে অল্প যা ভুমি আছে, তার আবার ২৭% বসবাসের অযোগ্য পাহাড়-পর্বত কেন? আমাদের থাকার জন্য পুরো পৃথিবী সমতল ভুমি হলো না কেন? সত্যিই যদি কোনো করুণাময় সৃষ্টিকর্তা থাকে, তাহলে প্রতি বছর ভুমিকম্প হয় কেন? পৃথিবী দেখে তো মনে হয় না এটা আসলে মানুষের জন্য বানানো হয়েছে। বরং মনে হয় মানুষ কোনোভাবে সংগ্রাম করে পৃথিবীতে টিকে আছে।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

যদি পারো তো এর মতো একটা সূরা বানাও – বাকারাহ ২১-২৪

2-21

মানব জাতি! তোমাদের সেই প্রভুর প্রতি পূর্ণ দাসত্ব ও উপাসনা করো, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের আগে যারা ছিল তাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে করে তোমরা তাঁর প্রতি সবসময় পূর্ণ সচেতন থাকতে পারো। [বাকারাহ ২১]

বেশিরভাগ অনুবাদে উ’বুদুকে ٱعْبُدُوا۟ ‘ই’বাদত করো’ বা ‘উপাসনা করো’ অনুবাদ করা হয়, যা মোটেও উ’বুদুর প্রকৃত অর্থকে প্রকাশ করে না। উ’বুদু এসেছে আবাদা  عبد থেকে যার অর্থ দাসত্ব করা। আমরা শুধুই আল্লাহর تعالى উপাসনা করি না, আমরা আল্লাহর تعالى দাসত্ব করি।[১] এমনটি নয় যে, আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়লাম, রোযা রাখলাম, যাকাত দিলাম—ব্যাস, আল্লাহর تعالى সাথে আমাদের সম্পর্ক শেষ, এরপর আমি যা খুশি তাই করতে পারি। বরং আমরা সবসময় আল্লাহর দাস। ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটা কাজে, প্রতিটা কথায় আমাদের মনে রাখতে হবে—আমরা আল্লাহর تعالى দাস এবং আমরা যে কাজটা করছি, যে কথাগুলো বলছি, তাতে আমাদের প্রভু সম্মতি দেবেন কি না এবং প্রভুর কাছে আমি জবাব দিতে পারব কি না।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)