তারা উটের দিকে তাকিয়ে দেখে না যে, কীভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? — আল-গাশিয়াহ পর্ব ২

তারা উটের দিকে তাকিয়ে দেখে না যে, কীভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে? আকাশকে কীভাবে উপরে ধরে রাখা হয়েছে? পাহাড়কে কীভাবে উঁচু করে গেঁড়ে দেওয়া হয়েছে? ভূমিকে কীভাবে বিছানো হয়েছে?
সুতরাং, তুমি উপদেশ দিতে থাকো। তুমি শুধুই একজন উপদেশদাতা। জোর করে মানানো তোমার কাজ নয়। তবে যে মুখ ফিরিয়ে নেবে এবং অস্বীকার করবে, আল্লাহ তাকে ভীষণ শাস্তি দেবেন। এরা শেষ পর্যন্ত আমার কাছেই ফিরে আসবে। আমিই তখন এদের কাছ থেকে সব হিসেব নেব।
— আল-গাশিয়াহ ১৭-২৬

সুরাহ গাশিয়াহ’য় আল্লাহ تعالى চারটি প্রশ্ন করেছেন। এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি দিতে গেলে অবস্থা হতো এরকম

“উটের দিকে তাকিয়ে দেখেছ, কীভাবে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে?”
— না, দেখিনি।

“আকাশকে কীভাবে উপরে ধরে রাখা হয়েছে?”
— জ্বি না।

“পাহাড়কে কীভাবে উঁচু করে গেঁড়ে দেওয়া হয়েছে?”
— না, দুঃখিত।

“ভূমিকে কীভাবে বিছানো হয়েছে?”
— না, কখনও ভাবিনি।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

সেদিন কিছু মানুষের চেহারা হবে খুশীতে উজ্জ্বল — আল-গাশিয়াহ পর্ব ১

সেই হতবিহ্বল করা দিনের কথা শুনেছ? যেদিন কিছু চেহারা থাকবে ভয়ে অবনত। ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত। তারা প্রবেশ করবে জ্বলন্ত আগুনে। ফুটন্ত পানির কুয়া থেকে পানি পান করতে দেওয়া হবে। বিষাক্ত কাটা ছাড়া আর কোনো খাবার পাবে না। যা কোনো পুষ্টি দেয় না, ক্ষুধাও মেটায় না।  —আল-গাশিয়াহ ১-৭

সেই হতবিহ্বল করা দিনের কথা শুনেছ?

আমরা যখন রাতে বিছানায় শুয়ে দেখি সবকিছু ভীষণ দুলতে শুরু করেছে, বুঝতে পারি যে ভূমিকম্প শুরু হয়ে গেছে। তখন আমরা আতংকে ছোটাছুটি শুরু করে দেই। এক ভূমিকম্পই আমাদের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দেয়। কয়েকদিন আতংকে কাটে কখন ভূমিকম্পের বাকিটুকু হবে। সারাদিন মাথায় চিন্তা ঘুরতে থাকে: আরেকবার ভূমিকম্প হলে বাড়ি টিকে থাকবে? সব সম্পত্তি ঠিকমত বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে? ছেলেমেয়েদের কোনো অসুবিধা হবে না তো? ঠিকমত নামাজ পড়া হচ্ছে? আমার কবর কি বাড়ির ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই হয়ে যাবে?  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)