মসজিদে বসে নামায শেষে চৌধুরী সাহেব তার বন্ধুর সাথে ব্যবসার ব্যাপারে আলাপ করছেন। তিনি দুঃখ করে বন্ধুকে বললেন, “ভাই, ট্যাক্স দিতে দিতে অবস্থা খারাপ। ব্যবসার খরচ করে কুলাতে পারছি না।” বন্ধু জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি ট্যাক্স পুরোটা দেন নাকি? আমি তো নামমাত্র ট্যাক্স দেই।” তিনি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “বলেন কি? কীভাবে?” বন্ধু বললেন , “আমি একজনকে টাকা খাওয়াই। সে আমাকে ট্যাক্স সার্টিফিকেট দিয়ে দেয়। আপনার সাথে কালকে পরিচয় করিয়ে দেব।” চৌধুরী সাহেব এদিক ওদিক তাকিয়ে নিচু গলায় বললেন, “ছি, ছি, ভাই। মসজিদে বসে এই সব কথা বলতে হয় না, এটা আল্লাহর ঘর। চলেন, ওই চায়ের দোকানে গিয়ে বাকি আলাপ করি।”
আল্লাহর تعالى সম্পর্কে এই ধরনের চরম অবমাননাকর ধারণার একটি উদাহরণ দেওয়া আছে এই আয়াতে—
যখন তারা বিশ্বাসীদের সাথে দেখা করে, তখন বলে, “আমরা ঈমানদার”; কিন্তু যখন তারা নিজেদের মধ্যে থাকে, তখন বলে, “তোমরা কেন তাদেরকে বলে দিলে আল্লাহ আমাদেরকে কী প্রকাশ করেছেন? তারা তো আল্লাহর সামনে এনিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাঁড় করাবে? তোমরা কি বুদ্ধি ব্যবহার করো না?” [আল-বাক্বারাহ ৭৬]
ইহুদীরা নিজেদের ভেতরে ঠিক করে রেখেছিল যে, তারা মুসলিমদেরকে বলবে না: তাওরাতে রাসুল عليه السلام এর আগমনের উপরে ভবিষ্যৎবাণী করে কিছু আয়াত রয়েছে।[৩][১১] যেমন, তাওরাতে আল্লাহ تعالى মুসা নবীকে عليه السلام বলেছেন—
I will raise up a prophet from among their countrymen like you, and I will put My words in his mouth, and he shall speak to them all that I command him. [Deuteronomy 18:18 — New American Standard Bible]
তারা একে অন্যকে সাবধান করে দিয়েছিল, যেন এই ভবিষ্যৎবাণীর কথা মুসলিমরা কখনো জানতে না পারে। কারণ মুসলিমরা যদি এই কথা জেনে যায়, তাহলে এই সত্য গোপন করার জন্য মুসলিমরা কিয়ামতের দিন ইহুদীদের বিরুদ্ধে আল্লাহর تعالى কাছে অভিযোগ করতে পারবে। আর যদি মুসলিমরা না জানে, তাহলে কিয়ামতের দিন ইহুদীদেরকে কেউ দোষ দিতে পারবে না।[৩][১১]
ইহুদীদের আল্লাহর تعالى সম্পর্কে ধারণা কতটা ছোট, তার প্রমাণ মেলে এই আয়াতে। তারা ভাবত যে, যদি মুসলিমরা না জানে তাওরাতের সেই আয়াতগুলোর কথা, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কিয়ামতের দিন কোনো অভিযোগ থাকবে না। তারা এটা ভুলে গিয়েছিল যে, আল্লাহ تعالى সব শোনেন, সব দেখেন, সব জানেন। ইহুদীরা নিজেদের মধ্যে কী ফন্দি-ফিকির করছে, এই ব্যাপারটা যে আল্লাহ تعالى ঠিকই দেখছেন, এই সামান্য বোধটুকু পর্যন্ত তাদের লোপ পেয়েছিল।[১][৩][১১]
এই ধরনের চরম নির্বোধ মানুষদেরকে আল্লাহর تعالى প্রশ্ন—
তারা কি বোঝে না: আল্লাহ ভালো করেই জানেন তারা কী প্রকাশ করে, এবং তারা কী গোপন করে? [আল-বাক্বারাহ ৭৭]
যাদের আল্লাহর تعالى সম্পর্কে এই ধরনের নিচু ধারণা থাকে, তাদেরকেই প্রশ্ন করতে দেখা যায়—
“আচ্ছা ভাই, আল্লাহ তো সব পারেন। তাহলে তিনি কি এমন একটা ভারি পাথর বানাতে পারবেন, যেটা তিনি নিজেই তুলতে পারবেন না?”
“আল্লাহ যদি সব কিছু সৃষ্টি করে থাকেন, তাহলে তাকে সৃষ্টি করল কে?”
“আল্লাহ কি জানেন না যে, আমি জান্নাতে যাব, না জাহান্নামে যাব? তাহলে আমাকে পৃথিবীতে পাঠিয়ে তার পরীক্ষা করার দরকার কী?”
এই দুটি আয়াত থেকে আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাই: আমাদের আক্বিদা সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকতে হবে। যদি আমাদের আক্বিদায় গণ্ডগোল থাকে, তাহলে আমরা সেই ইহুদী ধর্মগুরুদের মতো আল্লাহর تعالىসম্পর্কে চরম ভুল ধারণা নিয়ে জীবন পার করব। আমাদের প্রতিদিনের চিন্তায়, কাজে অনেক ভুল থেকে যাবে, যা আমরা উপলব্ধি করব না, বা করলেও নিজেকে সংশোধন করার তাগিদ অনুভব করব না।[১১] তখন ভণ্ড আলেমরা আমাদেরকে তাদের কথার মারপ্যাঁচে ফেলে মগজ ধোলাই করতে থাকবে, আর আমরা কিছুই বুঝতে পারব না। একই সাথে উপরের প্রশ্নগুলোর মতো প্রশ্ন শুনে আমাদের আত্মা শুকিয়ে যাবে, ঈমান নড়বড়ে হয়ে যাবে। আমরা এই ধরনের প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে না পেরে, ইসলামকে নিয়ে ভিতরে ভিতরে সন্দেহে ভুগতে থাকব। আর শয়তান এই সুযোগে আমাদেরকে এমন সব জিনিস দেখাবে এবং শোনাবে, যা আমাদের নড়বড়ে ঈমানকে একেবারেই ভেঙ্গে দেবে।
প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি, তাওরাতে যে মুহাম্মাদের عليه السلام আগমনের ভবিষ্যৎবাণী করা আছে, তা নিয়ে মুসলিমদের সাথে ইহুদী, খ্রিস্টানদের দ্বন্দ্ব রয়েছে। ওরা দাবি করে যে, তাওরাতে যিশুর عليه السلام কথা বলা আছে, মুহাম্মাদের عليه السلام কথা নয়। এই দাবিটি হাস্যকর, কারণ তাওরাতের ভাষা হচ্ছে, “মুসা নবীর عليه السلام মতো একজন নবীকে আল্লাহ تعالى পাঠাবেন।” আমরা যদি মুহাম্মাদ عليه السلام এবং মুসাকে عليه السلام তুলনা করি, তাহলে দেখব—
- দুজনেরই বাবা-মা ছিলেন, যেখানে যীশুর জন্ম হয়েছিল অলৌকিক ভাবে, কোনো বাবা ছাড়া।
- দুজনেই বিয়ে করে সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন, যেখানে যীশু বিয়ে করেননি, কোনো সন্তান জন্ম দেননি।
- দুজনেই স্বাভাবিক মানুষের মতো মারা গেছেন, যেখানে যীশুকে অলৌকিক ভাবে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সুতরাং যীশু عليه السلام কোনোভাবেই মুসার عليه السلام মতো নন, বরং মুহাম্মাদ عليه السلام হচ্ছেন মুসার عليه السلام মতো।
এই যুক্তির প্রতিবাদে ইহুদী, খ্রিস্টানরা পাল্টা যুক্তি দেখাবে যে, মুসার عليه السلام মতো যীশু عليه السلام মিশর ছেড়ে চলে গিয়েছেন, কখনো রাজনৈতিক ক্ষমতা অর্জন করেননি, সম্পত্তির অধিকারী হননি ইত্যাদি। তারা এরকম ডানে-বায়ে, উপরে-নীচে অনেকগুলো অপ্রাসঙ্গিক তুলনা দেখিয়ে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, যেখানে তারা মুসলিমদের পরিষ্কার তুলনাগুলোর বিরুদ্ধে কিছুই বলতে পারে না।
এর পরের আয়াতটা আমাদেরকে একটি কঠিন বাস্তবতা শেখাবে—
ওদের অনেকে নিরক্ষর এবং কিতাব/ধর্মীয় আইন সম্পর্কে তাদের কিছু মনগড়া চিন্তা-ভাবনা ছাড়া আর কোনো ধারণা নেই। তারা শুধুই অনুমানের উপর নির্ভর করে। [আল-বাক্বারাহ ৭৮]
আজকে চারিদিকে তাকালে আমরা এই আয়াতের অনেক বাস্তব উদাহরণ দেখতে পাবো—
“সুদ নেওয়া হারাম হবে কেন ভাই? আমি আমার কষ্টের টাকা খাঁটিয়ে সেটা থেকে আয় করছি। এতে হারাম হবার মতো কী হল? কু’রআনে কখনই এরকম অযৌক্তিক নিষেধ থাকতে পারে না।”
“নামায না পড়লে কার কী ক্ষতি হচ্ছে যে, আল্লাহ আমাকে জাহান্নামে পাঠাবেন? ইসলাম এত কঠিন না। আপনারা সব কাঠমোল্লা হয়ে যাচ্ছেন।”
“মেয়েদের দায়িত্ব হচ্ছে ঘরের ভেতর। মেয়েদের মসজিদে যেতে ইসলামে মানা করা আছে।”
“আমি প্রতি মাসেই এতিমখানায় হাজার হাজার টাকা দিচ্ছি। ঘুষ খাওয়ার কারণে আমার যে পাপ হচ্ছে, তা দানের সওয়াবের কারণে কাটাকাটি হয়ে যাচ্ছে।”
ধর্ম নিয়ে এই ধরনের মনগড়া চিন্তা ভাবনা যারা করেন, তাদের পিএইচডি ডিগ্রি-ই থাকুক, বা তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হোক না কেন — এরা একধরনের নিরক্ষর। ২৫-৩০ বছরে কমপক্ষে ৩০০টা বই পড়ে, একটার পর একটা একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন করেও কেউ যদি মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতার কাছ থেকে আসা একমাত্র বাণী ‘কু’রআন’ পড়তে না পারে, তাহলে তাদেরকে নিরক্ষর বলা ছাড়া আর কিছু বলার নেই।
ইসলামের উপমহাদেশীয় ভার্সন
আমরা উপমহাদেশের মুসলিমরা, যারা ইসলাম সম্পর্কে প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান অর্জন করিনি, তারা বড় হই একধরনের ‘উপমহাদেশীয়-ইসলাম’ শিখে। এই উপমহাদেশীয়-ইসলাম ১৪০০ বছর আগে আরবে রাসুল মুহাম্মাদের عليه السلام প্রচার করা ইসলাম থেকে বহু দিক থেকে ভিন্ন। যেমন, আমাদেরকে শেখানো হয়: মৃত্যুর পরে মসজিদের ইমাম ডেকে এনে মিলাদ করতে হবে, কুলখানি করতে হবে; বিপদে-আপদে তাবিজ, ডাব পড়া, পানি পড়া ব্যবহার করা; কয়েকজন হাফিজ ভাড়া করে এনে এক দিনে ভর-ভর করে কু’রআন তিলাওয়াত করিয়ে কয়েক’শ টাকা দিয়ে কু’রআন ‘খতম’-এর সওয়াব হাসিল করা ইত্যাদি। এই ধরনের সাধারণ ব্যাপার থেকে শুরু করে জিহাদ, নারীদের অধিকার, বিধর্মীদের সাথে সম্পর্কের মতো জটিল সব ব্যাপারে ব্যাপক ভুল ধারণা রয়েছে।
ইসলামকে এভাবে বিকৃত করার পেছনে গত কয়েক শতাব্দীর বেশ কয়েকজন মাওলানা, পীর এবং দরবেশের হাত রয়েছে।[১৬০] তারা এই উপমহাদেশীয়-ইসলামে জেনে-শুনে এমন অনেক কিছু ঢুকিয়ে গেছেন, যা একশ্রেণীর ধর্ম-প্রেমী মানুষের জন্য নিরন্তর আয়ের ব্যবস্থা করে গেছে। এই বিকৃত ইসলাম আর আমাদের জন্য একটি সম্পূর্ণ-ফ্রি ধর্ম নেই, বরং অন্য ধর্মের মতো মুসলিমদেরকেও আজকাল তাদের মুসলিম ‘পুরোহিত’-দেরকে অনেক টাকা খাওয়াতে হয়: আল্লাহর تعالى কাছ থেকে কিছু আদায় করার জন্য। ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান নেই এমন বনী ইসরাইলকে, তাদের ধর্মীয় গুরুরা যেমন হাজার বছর আগে ইচ্ছে মতো মগজ ধোলাই করে গেছে, ঠিক একই ভাবে গত হাজার বছরে অনেক মাওলানা, পীর, দরবেশ আমাদের ইসলামের উপরে অল্প জ্ঞানের সুযোগ নিয়ে, আমাদেরকে ঘোল খাইয়ে গেছে। এদের জন্য আল্লাহ تعالى কঠিন সাবধানবাণী করেছেন এর পরের আয়াতে—
দুর্দশা-কষ্ট আছড়ে পড়ুক তাদের উপর, যারা সামান্য কিছু কামাই করার জন্য নিজেদের হাতে কিছু লিখে বলে, “এটা আল্লাহর বাণী।” দুর্দশা-কষ্ট আছড়ে পড়ুক তাদের উপর, তাদের হাত যা লিখেছে সেজন্য! ধ্বংস হোক ওই সব কিছু, যা তারা কামাই করেছে! [আল-বাক্বারাহ ৭৯]
এই সব ভণ্ড মানুষরা একদিন ধ্বংস হবেই। একই সাথে তারা যেই সব বাড়ি, গাড়ি, জমি-জমা করেছে, সেগুলো ধ্বংস হবে। যারা এই সব ভণ্ডদের সাথে কিছু খ্যাতি, টাকাপয়সার লোভে হাত মিলিয়েছেন, তাদের সময় থাকতে সরে পরা উচিত। তওবা করে নিজেদেরকে সংশোধন করা উচিত। নাহলে যখন আল্লাহর শাস্তি আসবে, তখন তারাও সেই শাস্তির মধ্যে পড়ে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। ইতিহাস ঘাঁটলে এইসব ভণ্ড মাওলানা, পীর, দরবেশদের ভয়ংকর করুন পরিণতির কথা জানা যায়। ইতিহাস থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত: কীভাবে তারা বারবার ধ্বংস হয়ে গেছে, একসময় সব হারিয়ে চরম অপমানিত হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছে।
মানুষের চাপে পড়ে ধর্মকে সুবিধামত পরিবর্তন করার একটি উদাহরণ দেই—
অনেক সময় মসজিদের ইমামদেরকে চাপে পড়ে অনেক কিছু বলতে হয়, যেটা ইসলাম সমর্থন করে না। ধরুন একদিন আপনার মসজিদের ইমাম জুম্মার খুতবায় রাগ করে বললেন, “আপনারা যারা মদ, জুয়া, দুই নম্বর গাড়ির ব্যবসার সাথে জড়িত, অনুগ্রহ করে হারাম ব্যবসা বন্ধ করে মসজিদে দান করুন। মসজিদে দান করছেন — এই অজুহাতে হারাম ব্যবসা চালিয়ে যাবেন না।” খুতবা শেষে মসজিদের বোর্ড মেম্বাররা হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসলেন, “ইমাম সাহেব! একি সর্বনাশ করলেন? আমাদের মসজিদে যত দান আসে, তার বেশিরভাগই আসে কোটিপতি চৌধুরী সাহেব এবং তার মতো ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে। আপনার কথা শুনে তার মতো বড়লোকরা দান করা বন্ধ করে দিলে তো আমরা পথে বসব! আপনি আগামী খুতবায় অবশ্যই আপনার ভুল স্বীকার করবেন। নাহলে আপনার কালকে থেকে আর আসার দরকার নেই।”
পরের শুক্রবারে খুতবায় ইমাম সাহেব বললেন, “ভাই সাহেবরা, আমি একটি ভুল ফাতাওয়া দিয়েছি। আপনাদের যারা হারাম ব্যবসার সাথে জড়িত, তারা ব্যবসায় লাভের যতটুকু সম্ভব মসজিদে দান করে সম্পত্তি হালাল করতে থাকুন। পাপের বোঝা হালকা করার এই চমৎকার সুযোগ ছাড়বেন না।”
এটা হচ্ছে “সামান্য কিছু কামাই করার জন্য নিজেদের হাতে কিছু লিখে বলে, ‘এটা আল্লাহর বাণী।’” — এর একটি উদাহরণ। এভাবে যারা দুনিয়ার চাপে পড়ে ধর্মকে বিকৃত করে ফেলে, তারা প্রস্তুত হোক। কঠিন শাস্তি আসছে তাদের উপর।
শেষে এই কথাটাও বলা উচিত যে, এরকম আলেমের সংখ্যাও কম নয়, যারা তাদের জীবন দিয়ে ইসলামের বিশুদ্ধ জ্ঞান আমাদের কাছে পৌঁছে গেছেন। একারণে আমরা সব আলিমদের প্রতি যেন কখনো ঢালাও ভাবে শ্রদ্ধা হারিয়ে না ফেলি, কারণ সৎ এবং সাহসী আলিমরা না থাকলে কোনোদিন আমরা জানতে পারতাম না: ওই বিকৃত আলেমদের মাফিয়া সংগঠনগুলো কীভাবে আমাদেরকে গত হাজার বছরে বার বার বিভ্রান্ত করেছে।
সূত্র:
- [১] নওমান আলি খানের সূরা বাকারাহ এর উপর লেকচার।
- [২] ম্যাসেজ অফ দা কু’রআন — মুহাম্মাদ আসাদ।
- [৩] তাফহিমুল কু’রআন — মাওলানা মাওদুদি।
- [৪] মা’রিফুল কু’রআন — মুফতি শাফি উসমানী।
- [৫] মুহাম্মাদ মোহার আলি — A Word for Word Meaning of The Quran
- [৬] সৈয়দ কুতব — In the Shade of the Quran
- [৭] তাদাব্বুরে কু’রআন — আমিন আহসান ইসলাহি।
- [৮] তাফসিরে তাওযীহুল কু’রআন — মুফতি তাক্বি উসমানী।
- [৯] বায়ান আল কু’রআন — ড: ইসরার আহমেদ।
- [১০] তাফসীর উল কু’রআন — মাওলানা আব্দুল মাজিদ দারিয়াবাদি।
- [১১] কু’রআন তাফসীর — আব্দুর রাহিম আস-সারানবি।
- [১৬০] হাদিসের নামে জালিয়াতি – ডঃ খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গির, ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়।
Assalamualaikum. You’ve told the truth. I agree with you 100%.
জাযাকা আল্লাহ খাইরান।