এই উদাহরণ দিয়ে আল্লাহ কি বোঝাতে চান? – বাকারাহ ২৬-২৭

2_26

স্ত্রী-মশার মতো ছোট কিছু বা তারচেয়ে বড় কিছুর [বা তার উপরে কিছুর] উদাহরণ দিতে আল্লাহ  লজ্জাবোধ করেন না। বিশ্বাসীরা জানে যে, এটি তাদের প্রভুর কাছ থেকে আসা সত্য, কিন্তু অবিশ্বাসীরা বলে, “এই (মশার) উদাহরণ দিয়ে আল্লাহ কী বোঝাতে চান?”—এর দ্বারা তিনি অনেককে বিপথে যেতে দেন এবং এর দ্বারা তিনি অনেককে সঠিক পথ দেখান। কিন্তু শুধুমাত্র চরম অবাধ্যদেরকেই তিনি বিপথে যেতে দেন। [বাকারাহ ২৬]

mosquito

কু’রআন পড়ে সঠিক পথ পাবার একটি শর্ত হচ্ছে সবসময় মনে রাখা যে, কু’রআনের স্রষ্টা আল্লাহ تعالى সব জানেন, আমি সেই তুলনায় কিছুই জানি না। যখন আমরা এই ব্যাপারটি ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারব, তখন আমরা — “স্ত্রী মশার মতো ছোট কিছু বা তারচেয়ে বড় কিছুর উদাহরণ দিতে আল্লাহ লজ্জাবোধ করেন না” — এই ধরনের আয়াত পড়ে ভাবব না, “মশা! এত কিছু থাকতে মশা? আল্লাহ تعالى  কি আরও বড় কিছু, যেমন হাতি, ডাইনোসর— এগুলোর উদাহরণ দিতে পারতেন না?” এখানেই হচ্ছে মানুষের সমস্যা। যারা মনে করে—সে নিজে অনেক কিছু জানে, বিজ্ঞান নিয়ে তার অনেক পড়াশোনা—তাকে মশার উদাহরণ দিলে, কেন হাতির কথা বলা হলো না, তা নিয়ে তর্ক করে। হাতির উদাহরণ দিলে কেন ডাইনোসরের উদাহরণ দেওয়া হলো না, সেটা নিয়ে তর্ক করে। তাদের তর্কের কোনো শেষ নেই। এই সমস্যা ১৪০০ বছর আগে আরব কাফির, মুশরিকদের ছিল, এবং এই বিংশ শতাব্দীতে ‘আধুনিক’ উঠতি পণ্ডিতদের মধ্যেও রয়েছে—যারা মনে করে এই পুরো মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে এক হঠাৎ দুর্ঘটনা থেকে, এর পেছনে কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই। একইভাবে এই ধরনের সমস্যা আজকালকার ‘আধুনিক’ উঠতি মুসলিমদেরও আছে, যারা মনে করে কু’রআনের বাণীর মধ্যে অনেক ঘাপলা আছে, এবং তারা চিন্তা ভাবনা করে আল্লাহর تعالى পরিকল্পনা এবং সৃষ্টির মধ্যে অনেক ফাঁক-ফোঁকর বের করে ফেলেছে।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

আরে! এরকম তো আমরা আগেও পেয়েছিলাম! — বাকারাহ ২৫

এই পর্বে আপনাদেরকে সূরা বাকারাহ-এর একটি সুন্দর আয়াত নিয়ে বলব—

2_25

যারা বিশ্বাস করে (ঈমান এনেছে) এবং সৎকাজ [সংস্কার, পুনর্গঠন, শান্তি প্রতিষ্ঠা, সংশোধন] করে, তাদেরকে সুসংবাদ দাও (মুহাম্মাদ عليه السلام) সেই বাগানগুলোর, যাতে পানির ধারা প্রবাহিত হয়। যখনই তাদেরকে সেখানকার খাবার থেকে ফল খেতে দেওয়া হবে, তারা বলবে, “এরকম কিছু আমরা আগে পেয়েছিলাম!” — কারণ তাদেরকে এমন কিছু দেয়া হবে, যেটা তারা মনে করতে পারে। এবং সেখানে তাদেরকে সম্পূর্ণ পবিত্র সঙ্গী/সঙ্গিনী দেওয়া হবে, আর সেখানে তারা অনন্তকাল থাকবে। [বাকারাহ ২৫]

বাকারার এই আয়াতে আল্লাহ تعالى আমাদেরকে জান্নাতের কিছু বর্ণনা দিলেন। জান্নাতে বাগানের পর বাগান থাকবে, যাদের মধ্য দিয়ে পানির ধারা প্রবাহিত হবে। কল্পনা করুন জান্নাতে আপনার বাড়ি থাকবে পাহাড়ের উপর, এবং বাড়ির সামনে থাকবে বিশাল সুন্দর বাগান, যার মধ্যে দিয়ে ঝর্ণা ধারা প্রবাহিত হচ্ছে।   (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

যদি পারো তো এর মতো একটা সূরা বানাও – বাকারাহ ২১-২৪

2-21

মানব জাতি! তোমাদের সেই প্রভুর প্রতি পূর্ণ দাসত্ব ও উপাসনা করো, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের আগে যারা ছিল তাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছেন, যাতে করে তোমরা তাঁর প্রতি সবসময় পূর্ণ সচেতন থাকতে পারো। [বাকারাহ ২১]

বেশিরভাগ অনুবাদে উ’বুদুকে ٱعْبُدُوا۟ ‘ই’বাদত করো’ বা ‘উপাসনা করো’ অনুবাদ করা হয়, যা মোটেও উ’বুদুর প্রকৃত অর্থকে প্রকাশ করে না। উ’বুদু এসেছে আবাদা  عبد থেকে যার অর্থ দাসত্ব করা। আমরা শুধুই আল্লাহর تعالى উপাসনা করি না, আমরা আল্লাহর تعالى দাসত্ব করি।[১] এমনটি নয় যে, আমরা পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়লাম, রোযা রাখলাম, যাকাত দিলাম—ব্যাস, আল্লাহর تعالى সাথে আমাদের সম্পর্ক শেষ, এরপর আমি যা খুশি তাই করতে পারি। বরং আমরা সবসময় আল্লাহর দাস। ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটা কাজে, প্রতিটা কথায় আমাদের মনে রাখতে হবে—আমরা আল্লাহর تعالى দাস এবং আমরা যে কাজটা করছি, যে কথাগুলো বলছি, তাতে আমাদের প্রভু সম্মতি দেবেন কি না এবং প্রভুর কাছে আমি জবাব দিতে পারব কি না।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

কিছু লোক আলো জ্বালাচ্ছে, কিন্তু চারিদিকে অন্ধকার নেমে আসছে – বাকারাহ ১৭-২১

অন্ধকার রাত, চারিদিকে কিছুই দেখা যাচ্ছে না। একদল মানুষ চেষ্টা করছে আলো জ্বালানোর। যখন আলো জ্বলে উঠল আর চারপাশ আলোকিত করে তুলল এবং তারা সামনে যাবার জন্য তৈরি হতে নিল, তখনি হঠাৎ করে চারদিকের আলো নিভে গেল। তারা আবার অন্ধকারে ডুবে গেল।

campfirePeople

প্রচণ্ড ঝড় হচ্ছে, মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছে। এরই মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকিয়ে চারিদিক কিছুক্ষণের জন্য আলোকিত করে দিচ্ছে। এর মধ্যে একদল মানুষ পথ চলার চেষ্টা করছে। যখন বিদ্যুৎ চমকায়, সামনে কিছুটা পথ দেখা যায়, তখন মানুষগুলো সামনে এগোনোর চেষ্টা করে। তারপর আবার যখন চারিদিক অন্ধকার হয়ে যায়, তখন তারা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। এরই মধ্যে হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে বাজ পড়ছে, আর মানুষগুলো কানে আঙুল ঠেসে দিয়ে মরার ভয়ে কাঁপছে।

thunderroad

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

আমরা কি বোকাদের মতো বিশ্বাস করবো? বাকারাহ ১১-১৬

এবার আল্লাহ تعالى আমাদেরকে এক অদ্ভুত প্রজাতির মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেন, যারা মুনাফিকদের মতো একেবারে ভন্ড না, আবার কাফিরদের মতো একদম পরিষ্কার শত্রুও নাঃ

2_11

যখন তাদেরকে বলা হয়, “পৃথিবীতে দুর্নীতি সৃষ্টি করো না”,  তারা বলে, “অবশ্যই না! আমরা শুধুই সংস্কার [শান্তি প্রতিষ্ঠা, সংশোধন] করছি মাত্র!”

এই আয়াতে মানুষগুলো দাবি করছে যে, তারা হচ্ছে মুসলিহুন مُصْلِحُونَ – অর্থাৎ যারা ভুল জিনিসকে ঠিক করে, ভেঙ্গে পড়া কিছুকে আবার জোড়া লাগায়, দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে। এখানে আল্লাহ্ ‌تعالى এমন এক ধরনের মানুষদের কথা বলছেন, যারা মনে করে যে, তারা সংস্কার করছে, সমাজের দোষ-ত্রুটিগুলো সংশোধন করছে, ইসলামের ‘সমস্যাগুলো’ তারা ঠিক করছে, কিন্তু আসলে তারা বোঝে না যে, তারা আসলে নিজেরাই দুর্নীতি ছড়াতে সাহায্য করছে।[১]  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

তাদের অন্তরে আছে এক অসুখ… – বাকারাহ ৮-১০

মুত্তাকী এবং কাফিরদের পর এবার আল্লাহ্ ‌تعالى আমাদেরকে মুনাফিক বা ভণ্ডদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিবেনঃ

2_8

আর মানুষের মধ্যে কেউ আছে যে বলে, “আমরা আল্লাহতে বিশ্বাস করি এবং আমরা পরকালেও বিশ্বাস করি” —  কিন্তু তারা মোটেও কিছুই বিশ্বাস করে না। [বাকারাহ-৮]

দেখুন, এখানে কিন্তু ভণ্ড লোকটা বলছে না যে, “আমি আল্লাহ্‌ এবং আখিরাতে বিশ্বাস করি” বরং সে বলছে ‘আমরা’; কেন আমরা? কেন আমি নয়?  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

ওদের বলে লাভ নেই, ওরা বদলাবে না – বাকারাহ ৬-৭

2_6

2_7

নিশ্চয়ই যারা অবিশ্বাস করে, তাদের তুমি সাবধান করো, আর না-ই করো, তাদের কাছে তা একই কথা—তারা বিশ্বাস করবে না। আল্লাহ তাদের বুদ্ধিমত্তা/হৃদয়ের উপর এবং তাদের শোনার ক্ষমতার উপর সিল করে দিয়েছেন; তাদের দৃষ্টির উপরে আছে এক পর্দা। তাদের জন্য আছে এক প্রচণ্ড শাস্তি। [বাকারাহ ৬-৭]

1370126783805সর্বনাশ! তার মানে কি কাফিরদের কাছে ইসলাম প্রচার করে আর কোনো লাভ নেই? আল্লাহ্‌ تعالى নিজেই যদি বলে দেন যে, তাদেরকে বলে কোনো লাভ নেই, তারা আর কোনোদিন বদলাবে না, তাহলে আর ধর্ম প্রচার করে কী লাভ? এর মানে কি, কিছু মানুষ সারা জীবন কাফির হয়েই থাকবে এবং তারা আর কোনদিনও বদলাবে না? আল্লাহ্‌ تعالى যদি তাদের অন্তর সিল করেই দেন, তাদের বদলানোর সব ব্যবস্থা বন্ধ করে দেন, তাহলে তাদের কী দোষ? তারা তো ইচ্ছা করলেও মুসলিম হতে পারবে না? এটা কি অন্যায় নয়?  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

ওরাই শেষ পর্যন্ত সফল হবে – বাকারাহ ৪-৫

সূরা বাকারাহ ৪ নম্বর আয়াতটি নিয়ে আধুনিক মুসলিমদের মধ্যে অনেক তর্ক বিতর্ক হয়েছে—

2_4

যারা তোমার (মুহাম্মাদ) উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে এবং তোমার আগে যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাস করে, যারা পরকালে নিশ্চিতভাবে বিশ্বাস করে।[বাকারাহ-৪]

Coexist

প্রশ্ন আসে, কেন আমাদেরকে কু’রআনের পাশাপাশি আগে যে কিতাবগুলো নাজিল হয়েছিল সেগুলোতে বিশ্বাস করতে হবে? −এর মানে কি আমাদের তাওরাত, জাবুর, ইনজিল এগুলো সব পড়তে হবে? আমাদের কি ইহুদিদের মতো তাওরাতে যা আছে সেটা মানতে হবে? খ্রিষ্টানদের মতো গস্পেলে যা আছে সেগুলো মানতে হবে? আজকে যারা ইহুদি এবং খ্রিষ্টান, তারা কি তাহলে আল্লাহর تعالى দেওয়া ধর্মের উপর আছে এবং তাদের কি কু’রআন মানার কোনো প্রয়োজন নেই? তারা কি মুসলিমদের মতোই জান্নাতে চলে যাবে?

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

যারা মানুষের চিন্তার ক্ষমতার বাইরে এমন সব ব্যাপারে বিশ্বাস করে – বাকারাহ ৩

এর আগের আয়াতে আল্লাহ تعالى আমাদেরকে বলেছেন যে, কুর’আন পড়ে যদি আমরা কোনো লাভ পেতে চাই, তাহলে আমাদের প্রথম যেটা দরকার সেটা হচ্ছে তাকওয়া: আল্লাহর تعالى প্রতি পূর্ণ সচেতনতা—এটা বিশ্বাস করা যে আমার দিকে সবসময় ক্যামেরা এবং মাইক্রোফোন তাক করে রাখা হয়েছে। আমি যা বলছি, যা করছি, যেদিকে তাকাচ্ছি, যেসব বদ চিন্তা করছি, তার সবগুলোই রেকর্ড করা হচ্ছে এবং একদিন আল্লাহর تعالى সামনে আমার সব কুকর্ম রিপ্লে করে দেখানো হবে। যতক্ষণ আমাদের ভিতরে এই তাকওয়া না আসছে, ততক্ষণ কুর’আন পড়ে আমরা সঠিক পথনির্দেশ পাব না। আমরা এক লাইন কুর’আন পড়ব, আর দশটা প্রশ্ন করব: “এরকম কেন হলো? ওরকম কেন হলো না? না, এটা তো ঠিক হলো না? ”

এর পরের আয়াতে আল্লাহ‌ تعالى আমাদেরকে মুত্তাকী (আল্লাহর تعالى প্রতি পূর্ণ সচেতন) হওয়ার জন্য শর্তগুলো সম্পর্কে বলছেন—

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

কু’রআন পড়ে কোনো লাভ হবে না, যদি… – বাকারাহ ১-২

Quran-and-Science

সূরা আল-বাক্বারাহ যারা ধৈর্য নিয়ে পুরোটা একবার পড়েছেন, তারা দেখবেন, এতে কু’রআনের এমন কোনো বিষয় নেই, যা নিয়ে কিছুটা হলেও বলা হয়নি। আপনি যদি আল-বাক্বারাহ পুরোটা একবার ভালো করে বুঝে থাকেন, তাহলে আপনি সহজেই অমুসলিম বা নাস্তিকদের সাথে যুক্তিতর্কে যেতে পারবেন এবং ইসলাম নিয়ে কাফিরদের যে সব বহুল প্রচলিত অভিযোগ, অশ্লীল উদাহরণ, ভুল ধারণা, ইসলামের উপর আক্রমণ —তা অনেকখানি মোকাবিলা করতে পারবেন। একইসাথে মানুষের জীবনে নিত্যদিনের কষ্ট, হতাশা, অবসাদ, অতৃপ্তি ইত্যাদি মানসিক সমস্যার যথাযথ সাইকোলজিক্যাল সমাধানও আপনি সুরা আল-বাক্বারাহ’তেই পেয়ে যাবেন।

এই সূরাটি পুরো কু’রআনের একটি সারাংশের মতো। মু’মিন হতে হলে নিজের মধ্যে কী কী পরিবর্তন আনতে হবে, কাফির কারা, মুশরিকদের সংজ্ঞা কী (মু’মিন এবং কাফির-এর সংজ্ঞা নিয়ে আমাদের মধ্যে ব্যাপক ভুল ধারণা আছে), আগেকার জাতিগুলো কী ধরনের ভুল করে গেছে, আমাদের কী ধরনের ভুল করা থেকে দূরে থাকতে হবে, যাতে করে আমরা আগেকার জাতিদের মতো শাস্তি না পাই; সালাত, সিয়াম, হাজ্জ, যাকাতের গুরুত্ব, নবীদের عليه السلام ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা; কখন কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করা যাবে, কখন যাবে না—এমন কিছু নেই যা নিয়ে এই সূরায় কিছুটা হলেও বলা হয়নি।

2_1

আলিফ – লাম – মীম

কু’রআনের এই আয়াতগুলো নিয়ে অনেক মতবাদ রয়েছে। সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য মতবাদ হলো—এগুলো কেন আল্লাহ تعالى কু’রআনে দিয়েছেন, সেটা এখনো মানবজাতি সন্দেহাতীতভাবে বের করতে পারেনি। আল্লাহ تعالى এই অদ্ভুত শব্দগুলো দিয়ে যেন আরবদের চ্যালেঞ্জ করছিলেন যে, “দেখো, কু’রআন তোমাদেরই আরবি ভাষায় নাজিল হয়েছে, কিন্তু এর মধ্যে এমন কিছু রয়েছে, যা বের করার মতো যথেষ্ট পর্যায়ের বুদ্ধিমত্তায় এখনো তোমরা পৌঁছাতে পারোনি। যদি পারো তো বের করো।” এভাবে তিনি আমাদের বুদ্ধিমত্তা এখনো কোথায় আছে, সে ব্যাপারে সাবধান করে দিচ্ছেন, যাতে করে আমরা নিজেদের দুর্বলতা উপলব্ধি করে বিনয়ের সাথে কু’রআন পড়ি।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)