আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার জন্য — আল-বালাদ পর্ব ১

না! আমি শপথ করছি এই শহরের। এমন এক শহরের যার নাগরিক স্বয়ং তুমি। শপথ করছি জন্মদাতার এবং যা সে জন্ম দেয়। নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি কঠিন পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার জন্য। সে কি মনে করে যে, তার উপরে কারও ক্ষমতা নেই? বলে কিনা, “অনেক টাকা উড়িয়ে দিলাম।” সে কি মনে করে যে, তাকে কেউ দেখছে না?
আমি কি তাকে দুটো চোখ বানিয়ে দেইনি? একটা জিভ, দুটো ঠোঁট? আমি কি তাকে ভালো-মন্দের পরিষ্কার দুটো পথ দেখিয়ে দেইনি? — আল-বালাদ

শপথ করছি জন্মদাতার এবং যা সে জন্ম দেয়

কুর‘আনে যখন আল্লাহ تعالى কোনো কিছুর শপথ নেন, তার মানে সেটা কোনো বিরাট ব্যাপার। মানুষ যেন তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা ভাবনা করে। এই সুরাহ’য় আল্লাহ تعالى আমাদেরকে পৃথিবীতে যে প্রাণ জন্ম দেওয়ার পদ্ধতি রয়েছে, তা লক্ষ্য করতে বলছেন। আমরা কি চিন্তা করে দেখেছি, আজকে জন্ম দেওয়ার যে পদ্ধতি আল্লাহ تعالى দিয়েছেন, তার থেকে ভালো কোনো পদ্ধতি কিছু হতে পারে কিনা? যদি কোনো উদ্ভিদ বা প্রাণী তার জন্মদাতা ছাড়াই এমনিতেই জন্ম হতো, তাহলে কী অবস্থা হতো? প্রথম জন্মদাতাকে কে জন্ম দিয়েছিল?

আমরা জানি, মুরগি ডিম পারে, তারপর ডিম থেকে মুরগি হয়। কিন্তু সর্বপ্রথম মুরগি ডিম ছাড়াই কীভাবে জন্ম নিলো? যদি সে ডিম থেকে এসে থাকে, তাহলে সেই ডিম কে পেড়েছিল?  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

একসময় তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ, তারপর তিনি তোমাদের প্রাণ দিয়েছিলেন — বাকারাহ ২৮

2_28

কেমন করে তোমরা আল্লাহকে অস্বীকার/অবিশ্বাস করো [অকৃতজ্ঞ হও]? অথচ একসময় তোমরা ছিলে নিষ্প্রাণ, তারপর তিনি তোমাদের প্রাণ দিয়েছিলেন। এরপর তিনি তোমাদের মৃত্যু ঘটাবেন, তারপর আবার তিনি তোমাদের প্রাণ দিবেন এবং সবশেষে তাঁর কাছেই তোমাদের ফিরে যেতে হবে। [বাকারাহ ২৮]

আল্লাহ تعالى এখানে ঠিক দুইবার নিষ্প্রাণ এবং দুইবার প্রাণ পাবার কথা বলেছেন। প্রথমে আমরা ছিলাম أَمْوَٰتًا —যার অর্থ হয় দুটি—মৃত বা প্রাণহীন।[৫] প্রথমবার নিষ্প্রাণ বলতে আল্লাহ تعالى মানুষের দেহ তৈরির জন্য যা কাঁচামাল দরকার, তার কথা বলেছেন। কারণ চিন্তা করলে দেখা যায়: পৃথিবীতে যত মানুষ এসেছে এবং আসবে তাদের সবার জন্য যে কাঁচামাল দরকার, তা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে আছে নিষ্প্রাণ অবস্থায়। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম নিষ্প্রাণ কাঁচামাল অবস্থায় এখনই মহাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে।[৪] মানুষের দেহ তৈরির জন্য দরকার ৬০% অক্সিজেন, ১৮% কার্বন, ১০% হাইড্রোজেন, ৩% নাইট্রোজেন, ১.৫% ক্যালশিয়াম, ১.০%ফসফরাস, আর অল্প কিছু অন্যান্য মৌলিক পদার্থ। ভবিষ্যতে যত মানুষ জন্মাবে, তাদের জন্য এই সমস্ত মৌলিক পদার্থ মহাবিশ্বে এখনই ছড়িয়ে আছে, আল্লাহর تعالى নির্দেশের অপেক্ষায়। আল্লাহর تعالى নির্দেশ পেলেই এই নিষ্প্রাণ কাঁচামালগুলো একসাথে হয়ে একটি মানব শিশুর দেহ তৈরি করা শুরু করে দেবে এবং একসময় আল্লাহ تعالى তার মধ্যে প্রাণ দিয়ে দেবেন।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)