আমি কি তোমাদের ঘুমকে একধরনের বিরতি করে দিইনি? —আন-নাবা ৯

আমি কি তোমাদের ঘুমকে একধরনের বিরতি, রাতকে একরকম আবরণ এবং জীবিকা অন্বেষণের জন্য দিন তৈরি করে দিইনি? —আন-নাবা ৯-১১

ঘুম আল্লাহর تعالى পক্ষ থেকে এক বিরাট উপহার। ধনী, গরিব, জ্ঞানী, মূর্খ সবাইকে সমানভাবে এই উপহার ভোগ করার সুযোগ দিয়েছেন। বরং এই উপহারটি তিনি গরিবদেরকে বেশি দিয়েছেন ধনীদের থেকে। অনেক ধনীরা আছেন, যারা তাদের আলিশান বাড়িতে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে, নরম বিছানায়, দু-তিনটা বালিশ দিয়েও  আরামে ঘুমাতে পারেন না। ঠিকমতো ঘুমের জন্য তাদেরকে নিয়মিত ঘুমের ওষুধ খেতে হয়। অন্যদিকে গরিবরা তাদের কুঁড়ে ঘরের মাটিতে মাদুর বিছিয়ে শক্ত বালিশে আরাম করে সারারাত ঘুমায়। কিছু মানুষের জীবনে প্রাচুর্যের শেষ নেই, কিন্তু এক রাত ঘুমের জন্য তারা এমন কোনো চেষ্টা নেই যে তারা করছে না। মাসের পর মাস ঘুমের পিল খেয়ে যাচ্ছে রাতে কয়েক ঘণ্টা ঘুমের জন্য। একসময় গিয়ে পিল কাজ করা বন্ধ করে দিচ্ছে। —ঘুম যে কত বড় একটি উপহার, সেটা তারাই বোঝে, যারা রাতের ঘুম হারিয়ে ফেলে।  

ঘুমকে আল্লাহ تعالى বলেছেন سبات সুবাত, অর্থাৎ বিরতি, থামা, বন্ধ করা। ক্লান্ত দেহ, মনকে পুনরায় সতেজ করার জন্য ঘুমের বিকল্প নেই। চা, কফি, এনার্জি ড্রিঙ্ক ইত্যাদি যা কিছুই মানুষ পান করুক না কেন, ঘুম মানুষকে যতটা সতেজ করে, ততটা আর কোনো কিছুই পারে না। দুপুর বেলা দশ-বিশ মিনিট ঘুমিয়ে নিলে বাকি দিন এবং সন্ধ্যায় দেহ-মন যতটা সতেজ, চাঙ্গা থাকে; মাথা যতটা ঠাণ্ডা থাকে; চিন্তাভাবনা যতটা পরিষ্কার হয়— তা অন্য কোনো বিকল্প পানীয় বা ওষুধ থেকে পাওয়া যায় না। 

একইভাবে ঘুম মানুষকে মানসিক শান্তি দেয়। সারাদিনের মানসিক চাপ, অশান্তির পর রাতের বেলা যখন ঘুমিয়ে পরে, পরেরদিন জেগে উঠে সেই চাপ এবং অশান্তি অনেকখানি দূর হয়ে মন শান্ত হয়ে যায়। আজকে পৃথিবীতে লক্ষ মানুষকে নানা ধরনের ওষুধ এবং পানীয় পান করে মন শান্ত করতে হয়, অস্থিরতা কমাতে হয়। অথচ আল্লাহ تعالى মানুষকে ঘুম দিয়েছেন প্রতিদিন নানা ব্যস্ততার মাঝে শান্তি, স্থিরতা খুঁজে পাওয়ার জন্য। 

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

যাতে করে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো – বাকারাহ ৫৬

এর আগের আয়াতে নবী মুসা عليه السلام বনি ইসরাইলিদের একদল প্রতিনিধিকে নিয়ে পাহাড়ে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি তাদেরকে আল্লাহর تعالى দেওয়া শারি‘আহ সম্পর্কে জানান। এবং শারী‘আহর মূলনীতি লেখা পাথরের ফলকগুলো দেখান। কিন্তু প্রতিনিধিরা বলল যে, তারা শুধু মুসা عليه السلام-এর মুখের কথায় এত বড় একটা ব্যাপার মেনে নেবে না, তারা আল্লাহকে تعالى নিজের চোখে দেখতে চায়, নিজের কানে শুনতে চায়।[৩] তখন তাদের উপরে এক ভয়ংকর বজ্রপাত হলো এবং তারা নিষ্প্রাণ হয়ে গেল—

ThunderStrike

2_56

তারপর তোমাদেরকে নিষ্প্রাণ অবস্থা থেকে আবার প্রাণ দেওয়া হলো, যাতে করে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো। [আল-বাকারাহ ৫৬]

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)