আমরা অনেক সময় মুসলিমদের ভেতরকার সমস্যা নিয়ে এত বেশি হতাশ হয়ে পড়ি যে, অন্য ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেও যে ব্যাপক সমস্যা আছে, তা ভুলে যাই। এই সুযোগে কিছু সুধীবৃন্দ এবং নাস্তিকরা, অমুসলিমদের মগজ ধোলাইয়ের শিকার হয়ে ইসলামের নামে গালিগালাজ করে একচোট দেখিয়ে দেয় যে, ইসলাম হচ্ছে যত নষ্টের মূল। অথচ একটু খোঁজ-খবর নিলেই দেখা যায়, ইহুদি, খ্রিস্টান, হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের মধ্যেও ভয়াবহ সমস্যা রয়েছে। এরকম একটি সমস্যা আল্লাহ تعالى এই আয়াতে উল্লেখ করেছেন—
যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে তুমি যদি সবরকম নিদর্শন এনেও দেখাও, তবুও তারা তোমার কিবলা অনুসরণ করবে না। তুমি কখনই তাদের কিবলার অনুসারী হবে না। এমনকি ওরা একে অন্যের কিবলাও অনুসরণ করে না। তোমার কাছে যে জ্ঞান এসেছে, তা আসার পরেও যদি তুমি ওদের খেয়াল-খুশি মতো করতে যেতে, তাহলে তুমিও সীমালঙ্ঘনকারীদের একজন হয়ে যেতে। [আল-বাক্বারাহ ১৪৫]
এই আয়াতে আল্লাহ تعالى বলছেন যে, অন্য ধর্মের অনুসারীদের মধ্যে কোনো ঐক্য নেই। ইহুদিদের কিবলা হচ্ছে বাইতুল-মাকদিস, যা আমরা আল-আক্বসা নামে চিনি।[৪] খ্রিস্টানদের কিবলা হচ্ছে পূর্ব দিক।[৪] তারা চার্চগুলোকে পূর্বমুখী করে তৈরি করে। কারণ তারা বিশ্বাস করে যীশু যখন আবার আসবেন, তখন তিনি পূর্ব দিক থেকে আসবেন।[২৭৭] এরা একে অন্যের কিবলাকে অনুসরণ বা সমর্থন করা তো দূরের কথা, অস্বীকার করে। ইহুদিরা মনে করে যীশু হচ্ছেন এক বড় প্রতারক, ভণ্ড নবী।[২৭৬]
কু’রআনে বনী ইসরাইল বলতে আজকের ‘ইসরাইল’ নামক দেশে যারা থাকে, তাদেরকে বোঝায় না। বর্তমান ইসরাইল মূলত একটি সেক্যুলার দেশ। সেই দেশে সেক্যুলার-নাস্তিক বাসিন্দাদের সাথে তাদের ধর্মপ্রাণ ইহুদি বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক পরিমাণে সংঘর্ষ চলছে, যেমন কিনা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতেও চলছে।[২৬৮] মুসলিম দেশগুলোতে যেমন শিয়া-সুন্নিদের মধ্যে সবসময় মারামারি লেগেই আছে, সেক্যুলার সরকার ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের কোণঠাসা করে রেখেছে, অনুরূপ একই ঘটনা ঘটছে ইহুদিদের দুটি চরমপন্থী সম্প্রদায়ের মধ্যে। তার উপর ইসরাইলের সেক্যুলার সরকার এবং ধর্মপ্রাণ ইহুদিদের মধ্যে লেগে আছে বিরাট কোন্দল।[২৬৯] (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)