এটা ছিল এক ভীষণ কঠিন পরীক্ষা—বাকারাহ ৪৯

চারিদিকে মুসলিমদের এত দুঃখ, কষ্ট। মুসলিম দেশগুলোতে এত অভাব, রক্তারক্তি, মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি— এসব দেখে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে: কেন শুধু মুসলিমদেরই এত কষ্ট? ইসলাম মেনে আমরা কি ভুল করছি? কেন আজকে মুসলিম দেশগুলোতে মুসলিমদেরকে এভাবে মেরে শেষ করে ফেলা হচ্ছে? এত অভাব, অপমান, মারামারি দেখে আর থাকতে না পেরে অনেকেই ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। তাদের অন্তরে ঈমানের প্রদীপ নিভু নিভু হয়ে যেতে থাকে। এমনকি অনেকে শেষ পর্যন্ত ধর্ম ছেড়ে দেন। —তাদের জন্য বাকারাহ-এর এই আয়াতটি চিন্তার খোরাক দিবে, কারণ ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম অপমান এবং অত্যাচারের শিকার সিরিয়া, গাজা, ফিলিস্তিন, মায়ানমারের মুসলিমরা নয়, বরং তারা ছিল বনু ইসরাইল—

2_49

মনে পড়ে, আমি তোমাদেরকে ফিরাউনের লোকদের কবল থেকে বার বার বাঁচিয়েছিলাম, যারা তোমাদেরকে জঘন্য রকমের কষ্ট দিত: তোমাদের ছেলে সন্তানদেরকে নৃশংসভাবে হত্যা করত, আর তোমাদের নারীদেরকে ইচ্ছা করে বাঁচিয়ে রাখত—এটা ছিল তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে এক ভীষণ কঠিন পরীক্ষা। [বাকারাহ ৪৯]

syria

এই আয়াতে আল্লাহ تعالى মুসলিমদেরকে মানসিকভাবে তৈরি করছেন যে, মুসলিমরা যদি মনে করে থাকে যে তারাই সবচেয়ে কষ্ট ও অপমানের জীবন পার করছে, তাদের আর কোনো আশা নেই, তাহলে তারা বনু ইসরাইলিদের ভয়াবহ ইতিহাসের কথা আরেকবার ভেবে দেখুক। কী অসম্ভব অবস্থার মধ্য থেকে তাদেরকে তিনি একসময় বের করে এনেছিলেন। কী ভয়ঙ্কর দুঃখ কষ্টের মধ্যেও সেই জাতিটি শেষ পর্যন্ত টিকে থেকেছিল এবং একসময় পৃথিবীতে অন্যতম সন্মানিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বনু ইসরাইলিদের ইতিহাস থেকে মুসলিমদের জন্য আর কিছু না হোক, অন্তত কিছুটা হলেও শান্তি এবং মনোবল পাওয়া যায়: তাদেরকে যদি আল্লাহ تعالى সেই ভয়ঙ্কর জীবন থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন, তাহলে আমাদেরকেও নিশ্চয়ই একদিন মুক্তি দেবেন।

তৃতীয় ফিরাউন (মিশরের তখনকার রাজাদের উপাধি) যার নাম ছিল: ‘রামসিস ২’, কোনোভাবে জানতে পেরেছিল যে, বনু ইসরাইলের বংশে একটি ছেলে জন্মাবে, যে বড় হয়ে তার রাজত্ব এবং ক্ষমতা কেড়ে নেবে। তা প্রতিহত করতে সে বনু ইসরাইলিদের নবজাতক ছেলে শিশুদের জবাই করে বা শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলত।[৪][১]

এই আয়াতে ব্যবহৃত ذَبَّحَ হচ্ছে যাবিহার তীব্রতর রূপ, যার মানে হচ্ছে তারা শুধু হত্যাই করত না, হত্যার প্রক্রিয়াটাও ছিল নৃশংস। ব্যাপারটা কতটা বীভৎস তা আজকে আমরা চিন্তাও করতে পারি না। আজকাল আমরা যখন খবরের কাগজে পড়ি: ডাকাতির পর ডাকাতরা পরিবারের সবাইকে জবাই করে রেখে গেছে, এমনকি ছোট শিশুটাকেও ছেড়ে দেয়নি—তখন আমরা বিশ্বাস করতে পারি না যে, কীভাবে মানুষ এরকম পশুর মতো একটা কাজ করতে পারে?

চিন্তা করে দেখুন, যদি সরকারি ভাবে আজকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, এখন থেকে প্রতি বছর যত ছেলে শিশু জন্মাবে, তাদের সবাইকে জবাই করে মেরে ফেলা হবে— তাহলে আমাদের কী ভয়াবহ এক অবস্থায় জীবন যাপন করতে হবে! একজন মা যখন একটি শিশু জন্ম দিয়ে দেখবে সেটা ছেলে সন্তান, তারপর সরকারের ক্যাডাররা এসে শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে নৃশংস ভাবে হত্যা করবে —সেটা সেই বাবা, মা-র জন্য যে কী কঠিন এক ব্যাপার, তা কি চিন্তায়ও আনা যায়? এমনই এক ভয়ঙ্কর অবস্থায় বনু ইসরাইলিরা একসময় পার করে এসেছে।

ফিরাউনের নৃশংসতা এখানেই থামেনি: ওরা তোমাদের ছেলে সন্তানদেরকে নৃশংসভাবে হত্যা করত, আর তোমাদের নারীদেরকে ইচ্ছা করে বাঁচিয়ে রাখত। এখানে আল্লাহ تعالى বলেননি, “সে তোমাদের মেয়ে সন্তানদেরকে ছেড়ে দিত, বা জীবিত রাখত”, বরং তিনি বলেছেন, “তোমাদের নারীদেরকে ইচ্ছা করে বাঁচিয়ে রাখত।” يَسْتَحْيُونَ এসেছে اِستَحيَى থেকে যার দুটো অর্থ হয়: ১) কাউকে ইচ্ছা করে বাঁচিয়ে রাখা ২) অত্যন্ত লজ্জিত হওয়া।[৮] ফিরাউনের লোকেরা বনু ইসরাইলের মেয়ে সন্তানদেরকে ইচ্ছা করে বাঁচিয়ে রাখত, যেন তারা একসময় নারীতে পরিণত হয়।

يَسُومُونَكُمْ سُوٓءَ ٱلْعَذَابِ হচ্ছে একটি আরবি প্রবাদ, যার মানে হচ্ছে এমনভাবে কাউকে কালিমা দিয়ে তার মুখ কালো করে দেওয়া, যেন সে আর সমাজে মুখ দেখাতে না পারে।[১] ফিরাউনের লোকেরা বনু ইসরাইলি নারীদেরকে ইচ্ছা করে বাঁচিয়ে রেখে তাদের পরিবারের মুখে কালিমা লেপে দিত। একজন নারীর সাথে কী করলে, তখন তার পরিবার আর কাউকে মুখ দেখাতে পারে না— মনে হয় না তার বিস্তারিত বিবরণ দেবার দরকার আছে।[১]

একটা পরিবারের সন্মান হচ্ছে সেই পরিবারের নারীদের সম্ভ্রম। যখন পরিবারের কোনো মেয়ের সম্ভ্রম হানি হয়, তখন সেই পরিবারের সন্মান ধুলিস্যাত হয়ে যায়। সমাজে তারা আর মুখ দেখাতে পারে না। বাকিটা জীবন তাদের অভিশপ্তের মতো পার করতে হয়।

ফিরাউন সবচেয়ে বড় যুদ্ধাপরাধগুলোর অন্যতম দুটো করে গেছে— শিশু হত্যা এবং নারীদের সম্ভ্রম হানি। আজকে চারিদিকে তাকিয়ে দেখলে আমরা এরকম অনেক ফিরাউন দেখতে পাই, যারা একই ধরনের যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করে যাচ্ছে মুসলিম জাতিগুলোর বিরুদ্ধে। সিরিয়া, ফিলিস্তিন, মায়ানমার— এই সব মুসলিম জাতিগুলোর সাথে এই ধরনের জঘন্যতম যুদ্ধাপরাধগুলো এখনও ঘটে চলেছে। [অক্টোবর ২০১৩]

বনু ইসরাইলিদের ফিরাউনের হাত থেকে বাঁচানোর কেউ ছিল না। মধ্যপ্রাচ্যে অন্য কোনো বিত্তশালী বনু ইসরাইল জাতি ছিল না, যাদের বিপুল পরিমাণে তেল, সোনা, সামরিক শক্তি ছিল। তারা ছিল অসহায় একটি জাতি। কিন্তু আজকে মুসলিম বিশ্বে অনেকগুলো বিত্তশালী, শক্তিশালী মুসলিম জাতি আছে, যারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সহজেই সব কাফির শক্তিকে পরাজিত করে দিতে পারে। কিন্তু তারা সেটা করে না। লক্ষ শিশু নৃশংসভাবে মারা গেছে, হাজার হাজার মুসলিম নারী সম্ভ্রম হারিয়েছে, কিন্তু তারপরেও বিত্তশালী মুসলিম জাতিগুলো যে যার মতো এখনকার ফিরাউনদের সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছে।

আল-বাকারাহ-এর এই আয়াতে আল্লাহ تعالى আমাদের আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়েছেন: কীভাবে লজ্জাজনক ঘটনাগুলোর ব্যাপারে কথা বলতে হয়। তিনি কু’রআনে কখনই কোনো লজ্জাজনক ঘটনাকে খোলামেলাভাবে বর্ণনা করেন না। বরং অত্যন্ত মার্জিত ভাষায়, যতদূর সম্ভব ইঙ্গিতে ঘটনাটির নোংরামির ধারনা দেন।

অথচ আজকাল মুসলিমদের আলোচনা, পত্রিকার ভাষা, এমনকি টিভিতে খবরের ধারাবর্ণনা দেখলে দেখা যায় যে, নোংরা ঘটনাগুলোকে কোনো এক বিকৃত কারণে যতটুকু সম্ভব রগরগে ভাষায় বর্ণনা করা হচ্ছে। যেমন, আজকাল খবরের কাগজ খুললেই দেখা যায়: কিছু অসুস্থ মানসিকতার সাংবাদিকরা ধর্ষণের ঘটনাগুলো বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করছে। প্রথমত, তারা সেই রিপোর্টগুলো লিখতে গিয়ে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা সংগ্রহ করে একধরনের বিকৃত আনন্দ পায়, তারপর সেটা তারা রগরগে ভাষায়, যতটুকু অশ্লীলভাবে সম্ভব বর্ণনা করার চেষ্টা করে। খবরের কাগজের মাধ্যমে দেশের লক্ষ কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীদেরকে—যারা এগুলো জেনে কিছুই করতে পারবে না—তাদেরকে এধরনের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়ার পেছনে যে আসলে সংবাদ মাধ্যমগুলোর কোনো এক বিকৃত উদ্দেশ্য আছে, তা সহজেই বোঝা যায়। তাদের সেই আর্টিকেলগুলো অনেক ‘মুসলিম’ আগ্রহ নিয়ে শুধু নিজেই বার বার পড়ে না, মানুষের কাছেও প্রচার করে বেড়ায়। বিশেষ করে ফেইসবুকে এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ পেলে একদিনের মধ্যেই হাজার হাজার মুসলিমদের সেগুলো ‘লাইক/শেয়ার’ দিতে দেখা যায়—কী লজ্জাজনক ঘটনা!

অথচ কু’রআনে আল্লাহ تعالى আমাদেরকে পরিষ্কার করে দেখিয়ে দিয়েছেন, এধরনের অপরাধগুলো কীভাবে মার্জিত ভাষায় এবং কী ধরনের ইঙ্গিতের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হবে। যখন একটি জাতি তাদের নারীদের এসব স্পর্শকাতর, লজ্জাজনক ব্যাপার নিয়ে এরকম খোলামেলা, রগরগে ভাষায় নির্লজ্জের মতো কথা বলতে শুরু করে, তখন সেই জাতির পুরুষদের পশুতে পরিণত হতে আর বেশি বাকি থাকে না।

“এটা ছিল তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে এক ভীষণ কঠিন পরীক্ষা”—আয়াতের শেষ অংশটুকু খুব তাৎপর্যময়। বনি ইসরাইলিদের যে ভয়াবহ জীবন ছিল, সেটা ছিল তাদের জন্য: بَلَآءٌ عَظِيمٌ— এক ভীষণ কঠিন পরীক্ষা।

কী দরকার ছিল এই কঠিন পরীক্ষার?

যখন কেউ কোনো কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যায়, তখন আল্লাহর تعالى প্রতি তার বিশ্বাস এবং আস্থার পরিচয় মেলে। একটি কঠিন পরীক্ষা পার করার পর যাদের ভেতরে ঈমান রয়েছে, তাদের ঈমান ইস্পাত দৃঢ় হয়ে যায়, আর যাদের ঈমান এমনিতেই নড়বড়ে ছিল, তারা ঈমান হারিয়ে ফেলে এবং তাদের মুখোশ খুলে যায়।[৬] জীবনের কঠিন পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্য থেকে মু’মিন এবং মুনাফিকদের ছেঁকে আলাদা করা হয়। এর মাধ্যমে মুমিনদেরকে আরও সহনশীল এবং নৈতিকভাবে শক্তিশালী করা হয়, যা তাকে জীবনের আগামী কঠিন সময়গুলো সহজে পার করার শক্তি জোগায়। একটা উদাহরণ দেই—

ধরুন, একদিন আপনার বাবার ক্যান্সার ধরা পড়ল। বাবাকে প্রচণ্ড যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখে আপনি দুঃখে-কষ্টে উদ্ভ্রান্তের মতো ছুটাছুটি করছেন, এক হসপিটাল থেকে আরেক হসপিটালে যাচ্ছেন। কিন্তু কোনোভাবেই আপনার বাবার অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না। এই অবস্থায় কী করবেন বুঝতে না পেরে, বহু বছর পরে জায়নামাজে বসলেন আল্লাহর تعالى কাছে সাহায্য চাইবার জন্য। জীবনে প্রথমবারের মতো সিজদায় গিয়ে আপনার চোখে পানি চলে আসল। শেষ পর্যন্ত আপনার বাবা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে না আসলেও, এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আল্লাহর تعالى সাথে আপনার একটি সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেল। আপনি বাবাকে যেদিন নিজের হাতে কবরে শুইয়ে দিয়ে এসে রাতভর কাঁদলেন, সেদিন আপনার মনের ভিতরে কিছু একটা নাড়া দিল।

এরপর থেকে প্রতিদিন আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া শুরু করলেন। একদিন বাথরুমে রেজার হাতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন আজকে থেকে আর শেভ করবেন না। তারপর কোনো এক সন্ধ্যায় পরিবারের সাথে সময় কাটাতে গিয়ে উপলব্ধি করলেন: আপনার পরিবারকে আল্লাহর تعالى আরও কাছে নিয়ে যাওয়া দরকার। এভাবে আপনার বাবার অসুখের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আল্লাহ تعالى আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে তাঁর অনেক কাছে নিয়ে গেলেন। আপনার বাবা জীবিত  থাকতে আপনার জন্য এর চেয়ে বড় আর কিছু আশা করতেন না।

পৃথিবীতে মুসলিমদের উপর এত অত্যাচার দেখে আপনি যদি মনে করেন, “কেন আল্লাহ تعالى মুসলিমদেরকে এতো কষ্ট দিচ্ছে? ওরা কী দোষ করেছে?”—তাহলে আপনি ভুল প্রশ্ন করছেন। বরং আপনার নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত— কিয়ামতের দিন যখন আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে আল্লাহর تعالى সামনে দাঁড় করানো হবে এবং তিনি تعالى আমাকে জিজ্ঞেস করবেন, “তোমার চোখের সামনে লক্ষ মুসলিম শিশু মারা গেছে, হাজার হাজার মুসলিম নারীর সম্ভ্রমহানি হয়েছে। তুমি তোমার অফিসের কলিগদের কাছে এনিয়ে কয়েকদিন দুঃখ প্রকাশ, ফেইসবুকে দুই-চার পয়সার স্ট্যাটাস দেওয়া, আর কিছু আর্টিকেল শেয়ার করা ছাড়া, সেই অসহায় মানুষদের সত্যিকারের কাজে লাগে, এরকম কিছু কি করেছিলে?”—এই প্রশ্নের কী উত্তর দেবো আমি?

সূত্র:

নতুন আর্টিকেল বের হলে জানতে চাইলে কু’রআনের কথা ফেইসবুক পেইজে লাইক করে রাখুন—

6 thoughts on “এটা ছিল এক ভীষণ কঠিন পরীক্ষা—বাকারাহ ৪৯”

  1. খুব সুন্দর করে লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। এতো ভালো লেখা আমি অনেক অনেক দিন পরে পড়লাম। এখানে দেওয়া প্রশ্নগুলো আমার মনেও কখনো কখনো এসেছে বা সময় খারাপ গেলে মনে আসে। ঈমান আনার চেয়ে তা দৃঢ় ভাবে ধরে রাখা অনেক কঠিন।আমি অনেক কমই জানি। নফসের সাথে এই প্রতি মুহূর্তের যুদ্ধে জয়ী হতে গভীরভাবে ইসলামকে জানা আর নিয়মিত তার অনুশীলন দরকার। তার জন্য আপনার এই লেখাগুলো কাজে দেবে ইনশাআল্লাহ। আশা করবো আপনি নিয়মিত লিখবেন। জাযাকাল্লাহ।

    1. শুনে খুব খুশি হলাম বোন। আপনাকে আমি অনুরোধ করব ‘সূচিপত্রে’ গিয়ে প্রথম থেকে পড়া শুরু করার। আশাকরি আপনি অনেক অপকৃত হবেন।

  2. “আপনার নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত: “কিয়ামতের দিন যখন আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে আল্লাহর ﷻ সামনে দাঁড় করানো হবে……. …..মানুষদের সত্যিকারের কাজে লাগে, এরকম কিছু কি করেছিলে?”—এই প্রশ্নের কী উত্তর দিবো আমি?””

    ভাই, এই জন্যই আমি সবসময় চিন্তা করি তাদের কিভাবে আমি আমার অবস্থান থেকে সাহায্য করতে পারি, কি করলে আমি আল্লাহর কাছে বলতে পারব যে অন্তত একটুকু তাদের জন্য করেছি…যা করি তা হল তাদের শান্তির জন্য নামায়ে দুআ করি…আমরা অনেক দুর্বল, স্বার্থপর..জীবনের দেীড় ঝাপে হযতো বেশীকিছূ হয়তো করতে পারবনা…তবু আপনার কাছে জানতে চাইছি কিভাবে তাদের কে সাহায্য করতে পারি?

    1. ভাই, আপনার বাড়ির কাজের মানুষগুলো কি তাদের হক পাচ্ছে?
      তাদের পরিবার কি শান্তিতে আছে?
      বাড়ির দারোয়ান, ড্রাইভার — একবার তাদের বাসায় গিয়ে দেখে আসুন কীভাবে তাদের জীবনের অবস্থার উন্নতি করা যায়।

  3. আয়াতে কঠিন শাস্তির কথা উল্লেখ আছে কিন্তু কালিমা লেপনের যে প্রবাদটা উল্লেখ করলেন তা তো নেই। জানাবেন কি?

    1. আর্টিকেলের এই অংশটুকু দেখুন:

      এছাড়াও এই আয়াতেই তিনি বলেছেন যে, ফিরাউন তাদেরকে জঘন্য রকমের কষ্ট দিত— يَسُومُونَكُمْ سُوٓءَ ٱلْعَذَابِ হচ্ছে একটি আরবি প্রবাদ, যার মানে হচ্ছে এমনভাবে কাউকে কালিমা দিয়ে তার মুখ কালো করে দেওয়া, যেন সে আর সমাজে মুখ দেখাতে না পারে।[১] ফিরাউনের লোকেরা বনি ইসরাইলি নারীদেরকে ইচ্ছা করে বাঁচিয়ে রেখে তাদের পরিবারের মুখে কালিমা লেপে দিত। একজন নারীর সাথে কী করলে, তখন তার পরিবার আর কাউকে মুখ দেখাতে পারে না— মনে হয় না তার বিস্তারিত বিবরণ দেবার দরকার আছে। আপনারা সবাই বুঝতে পারছেন কী সেই জঘন্য কাজ।[১]

Leave a Reply to Md. Zaker Hossain Khan Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *