একই খাবার আর খাবো না — আল-বাক্বারাহ ৬১ পর্ব ১

কল্পনা করুন: বনী ইসরাইলের কয়েকজন বসে আড্ডা দিচ্ছে। আড্ডা প্রসঙ্গে খাবারের কথা আসলো। তখন দুই জনের মধ্যে কথোপকথন শুরু হলো—

“আজকে দুপুরের মেনু কি?”
— “মান্‌ন, আর সাথে সালওয়া।”
“আচ্ছা। রাতের মেনু কি?”
— “সালওয়া, আর সাথে মান্‌ন।”

দিনের পর দিন মান্‌ন এবং সালওয়া খেয়ে তারা বিরক্ত। তাদের খাবারের মেনুতে বৈচিত্র্য দরকার। তারা নবী মূসার عليه السلام কাছে গিয়ে আপত্তি জানাল—

2_61_1

মনে করে দেখো, যখন তোমরা বলেছিলে, “মূসা, আমরা এই একই খাবার খেয়ে আর থাকতে পারব না। ” এই পৃথিবীতে জন্মায় এমন সব খাবারের জন্য তোমার প্রভুর কাছে দু’আ করো— যেমন তরকারি, শসা, রসুন, ডাল, পেঁয়াজ।

তারা মুসা নবীকে عليه السلام একেবারে পুরো বাজারের লিস্ট ধরিয়ে দিল আল্লাহর تعالى কাছ থেকে নিয়ে আসার জন্য!  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

তোমাদেরকে ভালো এবং পবিত্র যা কিছু খেতে দিয়েছি, সেটা খাও — বাকারাহ ৫৭

বনি ইসরাইলের এক বিশাল কাফেলা নিয়ে নবী মুসা عليه السلام হেঁটে যাচ্ছেন এক বিশাল মরুভূমির মধ্য দিয়ে। যেদিকে চোখ যায় কোনো পানি বা খাবারের ব্যবস্থা নেই, তার উপর প্রচণ্ড রোদের তাপ। নারী, শিশু, বৃদ্ধ নিয়ে কাফেলার মানুষদের মৃত প্রায় অবস্থা। এমন সময় আল্লাহর تعالى আদেশে তাদের মাথার উপরে মেঘ জড়ো হয়ে, তাদের জন্য আরামদায়ক ছায়া তৈরি করল।[৬][১][৩]

2_57

আমি মেঘ দিয়ে তোমাদের জন্য আরামদায়ক ছায়ার ব্যবস্থা করেছিলাম, তোমাদেরকে উপর থেকে মান্না এবং সালওয়া পাঠিয়েছিলাম—“তোমাদেরকে ভালো এবং পবিত্র যা কিছু খেতে দিয়েছি, সেটা খাও।” আর ওরা আমার উপর কোনোই অন্যায় করেনি, বরং ওরা নিজেদের সাথেই অন্যায় করছিল। [বাকারাহ ৫৭]

আরবি গামাম (غمام) হচ্ছে ঘন মেঘ, কিন্তু সেটা ঝড়ের মেঘের মতো ভয়ংকর মেঘ নয়, বরং ছায়া দেয়, এমন ঘন প্রশান্তিকর, হাসিখুশি মেঘ।[১] মরুভুমিতে বনি ইসরাইলিদের কোনো বাড়িঘর ছিল না। এত গাছপালাও ছিল না যেখানে হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারে। যদি আল্লাহ تعالى তাদের জন্য দিনের বেলা মেঘ দিয়ে ছায়ার ব্যবস্থা না করে দিতেন, তাহলে তারা হিট স্ট্রোক করে মারা যেত।[৩]  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)