তাই তুমি তোমার প্রভুর প্রতি সালাত পড়ো, আর বড় কুরবানি করো —আল-কাউছার

আমি তোমাকে আল-কাউছার উপহার দিয়ে দিয়েছি, তাই তুমি তোমার প্রভুর প্রতি সালাত পড়ো, আর বড় কুরবানি করো। তোমার শত্রুরাই তো নির্বংশ। [আল-কাউছার]

একদিন আমাদের বাবা-মাকে কবরে শুইয়ে দিয়ে আসতে হবে, এই নিয়তি মেনে নেওয়াটা বড় কষ্টের। প্রত্যেক বিবেকবান মানুষের জন্য সেদিন এক ভীষণ কষ্টের দিন। কিন্তু নিজের সন্তানকে কোনোদিন নিজের হাতে কাফনে জড়িয়ে কবরে শুইয়ে দিয়ে আসবো, এই চিন্তা কোনো বাবা-মা’র পক্ষে করা সম্ভব নয়। আদরের ছোট শিশু সন্তানকে কবর দেওয়ার মত কষ্টের অভিজ্ঞতা পৃথিবীতে আর একটিও নেই। রাসুল عليه السلام এর সাতটি সন্তান ছিল। ছয়টি সন্তানই অল্প বয়সে মারা গিয়েছিল, শুধুই ফাতিমা (রা) বেঁচে ছিলেন। রাসুল عليه السلام নিজের হাতে ছয়-ছয়টি সন্তানকে কবর দিয়েছেন।

আমরা কেউ কোনোদিন কল্পনাও করতে পারবো না সেটা কত কষ্টের অভিজ্ঞতা হতে পারে। একজন বাবা-মার পক্ষে সারাজীবনেও কোনোদিন সেই অভিজ্ঞতা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। একটি সন্তানের মৃত্যু হয়ত সামলানো যায়। দুটো, তিনটে হলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়া শুরু হয়। আর ছয়-ছয়টা সন্তানের মৃত্যু কী ভয়ংকর কষ্টের ব্যাপার হতে পারে, আমরা কোনোদিন কল্পনাও করতে পারবো না। বিশেষ করে তার শিশু সন্তান আব্দাল্লাহ এর মৃত্যুর অভিজ্ঞতা ছিল অনেক বেশি কষ্টের।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

বুদ্ধিমানেরা: আমার প্রতি সাবধান! — আল-বাক্বারাহ ১৯৬-১৯৯

সূরা আল-বাক্বারাহ’র ধারাবাহিক এই আয়াতগুলোতে আল্লাহ عز وجل আমাদেরকে হাজ্জের সম্পর্কে শিক্ষা দেবেন, যেগুলো শুধু হাজ্জেই নয়, বরং প্রতিটি মুসলিমের জন্য সারাজীবনের শিক্ষা—

2_196

তোমরা হাজ্জ এবং উমরা ঠিকভাবে সম্পন্ন করো আল্লাহর উদ্দেশ্যে । কিন্তু যদি তা করতে বাঁধা পাও, তাহলে তোমাদের জন্য যা সহজ, তা কুরবানি করো। আর যতক্ষণ না কুরবানি যথাস্থানে না পৌঁছায়, ততক্ষণ পর্যন্ত মাথা কামাবে না। তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ থাকলে, বা মাথার ত্বকে কষ্ট থাকলে, সে তার বদলে রোজা রাখবে, বা দান করবে, অথবা কুরবানি করবে। তারপর যখন তোমরা নিরাপদ অবস্থায় যাবে, তখন যদি কেউ একসাথে উমরা এবং হাজ্জ করে শেষ করতে চায়, তাহলে তার জন্য সহজ এমনকিছু সে কুরবানি করবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে সে হাজ্জের সময় তিন দিন রোজা রাখবে, এবং বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর সাতদিন রোজা রাখবে, এভাবে মোট দশদিন হবে। —এই নিয়মগুলো তাদের জন্য, যাদের নিকটজনেরা মাসজিদুল হারামের আশেপাশে বসবাস করে না। আল্লাহর প্রতি সাবধান থাকো, আর জেনে রেখো: আল্লাহ খুবই কঠিন শাস্তি দেন। [আল-বাক্বারাহ ১৯৬]

তোমরা হাজ্জ এবং উমরা ঠিকভাবে সম্পন্ন করো আল্লাহর عز وجل উদ্দেশ্যে

এখানে আল্লাহ عز وجل বিশেষভাবে বলছেন যে, হাজ্জ এবং উমরা করো আল্লাহর عز وجل উদ্দেশ্যে। আল্লাহ عز وجل শুধুই আমাদেরকে বলতে পারতেন, ‘হাজ্জ এবং উমরা ঠিকভাবে সম্পন্ন করো’। কিন্তু তিনি যোগ করেছেন, “আল্লাহর عز وجل উদ্দেশ্যে”। প্রশ্ন আসে, আল্লাহ عز وجل ছাড়া আর কোনো উদ্দেশ্যে কি হাজ্জ বা উমরা হয়?

চৌধুরী সাহেব বুঝতে পারলেন, এলাকার মানুষের কাছে তার জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য এবং আগামী ইলেকশনে জেতার জন্য তার নামের আগে ‘আলহাজ্ব’ লাগানোটা জরুরি হয়ে পড়েছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী গতবার ইলেকশনের আগে হাজ্জ করে এসে, আলহাজ্ব টাইটেল লাগিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে গেছে। মানুষ কেন জানি তার আলহাজ্ব উপাধি দেখেই তার উপর বেশি ভরসা করা শুরু করে দিয়েছে। ইলেকশনের পোস্টারগুলোতে তার নামের আগে বড় করে আলহাজ্ব লেখা থাকে, আর চৌধুরী সাহেবের নামের আগে কিছু থাকে না, ব্যাপারটা বড়ই চোখে লাগে। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জলদি হাজ্জ করে এসে নতুন করে ইলেকশনের পোস্টার ছাপাবেন। তাহলে এইবার আলহাজ্ব টাইটেলের সুবাদে তার ইলেকশনে জেতা আর কেউ ঠেকাতে পারবে না।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)