তাই তুমি তোমার প্রভুর প্রতি সালাত পড়ো, আর বড় কুরবানি করো —আল-কাউছার

আমি তোমাকে আল-কাউছার উপহার দিয়ে দিয়েছি, তাই তুমি তোমার প্রভুর প্রতি সালাত পড়ো, আর বড় কুরবানি করো। তোমার শত্রুরাই তো নির্বংশ। [আল-কাউছার]

একদিন আমাদের বাবা-মাকে কবরে শুইয়ে দিয়ে আসতে হবে, এই নিয়তি মেনে নেওয়াটা বড় কষ্টের। প্রত্যেক বিবেকবান মানুষের জন্য সেদিন এক ভীষণ কষ্টের দিন। কিন্তু নিজের সন্তানকে কোনোদিন নিজের হাতে কাফনে জড়িয়ে কবরে শুইয়ে দিয়ে আসবো, এই চিন্তা কোনো বাবা-মা’র পক্ষে করা সম্ভব নয়। আদরের ছোট শিশু সন্তানকে কবর দেওয়ার মত কষ্টের অভিজ্ঞতা পৃথিবীতে আর একটিও নেই। রাসুল عليه السلام এর সাতটি সন্তান ছিল। ছয়টি সন্তানই অল্প বয়সে মারা গিয়েছিল, শুধুই ফাতিমা (রা) বেঁচে ছিলেন। রাসুল عليه السلام নিজের হাতে ছয়-ছয়টি সন্তানকে কবর দিয়েছেন।

আমরা কেউ কোনোদিন কল্পনাও করতে পারবো না সেটা কত কষ্টের অভিজ্ঞতা হতে পারে। একজন বাবা-মার পক্ষে সারাজীবনেও কোনোদিন সেই অভিজ্ঞতা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। একটি সন্তানের মৃত্যু হয়ত সামলানো যায়। দুটো, তিনটে হলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়া শুরু হয়। আর ছয়-ছয়টা সন্তানের মৃত্যু কী ভয়ংকর কষ্টের ব্যাপার হতে পারে, আমরা কোনোদিন কল্পনাও করতে পারবো না। বিশেষ করে তার শিশু সন্তান আব্দাল্লাহ এর মৃত্যুর অভিজ্ঞতা ছিল অনেক বেশি কষ্টের।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

কেউ যদি জিবরাইলের শত্রু হয় — আল-বাক্বারাহ ৯৭-৯৮

একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে একজন সন্মানিত সত্তা উপরের মহাজগত থেকে রওনা হয়েছেন নিচে মহাবিশ্বের দিকে। তার গন্তব্য ছায়াপথের বাইরের দিকে সূর্য নামের একটি বিশেষ নক্ষত্রের তৃতীয় গ্রহ পৃথিবী। এই গ্রহে মাটি থেকে তৈরি বুদ্ধিমান প্রাণীরা মারামারি, খুনাখুনি, নৈতিকভাবে জঘন্য সব কাজ করে নিজেদেরকে শেষ করে ফেলছে। তাদেরকে সংশোধন করার জন্য সর্বোচ্চ ক্ষমতাবানের কাছ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণী এসেছে, যা তিনি নিয়ে যাচ্ছেন সেই বুদ্ধিমান প্রাণী ‘মানবজাতি’র বিশেষ একজনের কাছে পৌঁছে দিতে।

কিন্তু সেই গ্রহে আরেক ধরনের শক্তিশালী বুদ্ধিমান প্রাণী রয়েছে, যারা শক্তির তৈরি। এদের অনেকে নিজেদেরকে মাটির তৈরি প্রাণীদের থেকে উঁচু পর্যায়ের মনে করে। এরা চায় না সেই বাণী মানুষ নামের ‘নিচুস্তরের’ প্রাণীদের কাছে পৌঁছাক। হাজার বছর ধরে তারা নানা ভাবে মানুষকে প্রতারিত করেছে, ভুল পথে নিয়ে গেছে। মানব জাতিকে শেষ করে দেওয়া তাদের উদ্দেশ্য।

জিন নামের শক্তির তৈরি এই প্রাণীদের মধ্যে আবার একজন আছে, যে ভয়ঙ্কর। তার নাম ইবলিস। সে একসময় এতটাই উপরে উঠে গিয়েছিল যে, এই সন্মানিত সত্তার মতো সেও একসময় মহান স্রষ্টার সাথে কথা বলতে পারত। অনেক কাল আগে সে স্রষ্টার সাথে এক ভয়ঙ্কর বেয়াদবি করে উপরের জগত থেকে বিতাড়িত হয়েছে। তখন সে স্রষ্টার কাছ থেকে অমরত্ব চেয়ে নিয়েছিল, যেন সে মানবজাতিকে সারা জীবন ভুল পথে তাড়িয়ে নিতে পারে। সে কোনোভাবেই চায় না মানুষের জন্য ভালো কিছু হোক। তাই সে তার বাহিনী নিয়ে প্রস্তুত। যেভাবেই হোক মানুষের কাছে এই বাণী পৌঁছানো আটকাতে হবে। আর পৌঁছে গেলেও, সেটা যেন মানুষের মধ্যে প্রচার না হয়, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

সেই সন্মানিত সত্তা পৃথিবীতে এসে পৌঁছালেন। ইবলিস এবং তার বাহিনীর ব্যাপারে তিনি মোটেও চিন্তিত নন, কারণ তার প্রচণ্ড ক্ষমতার কাছে ওরা কিছুই না। তিনি আরও উচ্চতর শক্তির তৈরি। সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান মহান স্রষ্টা নিজে তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছেন। সৃষ্টিজগতে দ্বিতীয় আর কেউ নেই, যে এই গুরু দায়িত্ব তাঁর থেকে ভালো ভাবে পালন করতে পারে। ইবলিস এবং তার বাহিনী হাজার চেষ্টা করেও কিছুই করতে পারল না। তিনি সেই বিশেষ মানুষটির কাছে স্রষ্টার বাণী পৌঁছে দিলেন।

এই সন্মানিত সত্তার নাম জিবরাইল। তিনি বহুবার পৃথিবীতে এসে নবীদের عليه السلام কাছে মহান আল্লাহর تعالى বাণী পৌঁছে দিয়েছেন—

2_97

বলে দাও, “কেউ যদি জিবরাইলের শত্রু হয় —যে কিনা নিঃসন্দেহে আল্লাহর অনুমতিতে কু’রআনকে নিয়ে এসেছে তোমার অন্তরে, এর আগে যা এসেছিল তাকে সত্যায়িত করে —যা একটি পথনির্দেশ এবং বিশ্বাসীদের জন্য সুসংবাদ।” [আল-বাক্বারাহ ৯৭]

cloud light 2

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)