বাবা-মা এবং নিকটজনদের জন্য ন্যায়সঙ্গতভাবে উইল-ওসীয়ত করে যাবে — আল-বাক্বারাহ ১৮০-১৮২

  • সম্পত্তি লিখে না দেয়ায় গলা টিপে মা-কে খুন। [দৈনিক জনকণ্ঠ, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫]
  • সম্পত্তির বিরোধের জের ধরে ছেলে-কে তার মা দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা [ইনকিলাব ১ জুন, ২০১৫]
  • ভাইয়ের সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে বাবাকে খুন। [দৈনিক পূর্বকোণ, জুলাই ১৪, ২০১৫]
  • সম্পত্তি লোভী দুই পুত্রের হাতে পিতা খুন। [ভোরের বার্তা জুলাই ১২, ২০১৪]
  • হবিগঞ্জে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ভাইদের হাতে এক ভাই খুন [যুগান্তর ০১ এপ্রিল, ২০১৫]
  • স্ত্রীর হাতে খুন তাবলিগ জামাতের নেতা ইব্রাহীম। [নয়া দিগন্ত ২০ মে ২০১৫]
  • সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারা নিয়ে নিজ স্ত্রী জবাই করে হত্যা করেছে স্বামীকে। [সংবাদ ২০ মে ২০১৫]

—সম্পত্তি নিয়ে মানব সভ্যতার সূচনা থেকে নানা ধরনের বর্বর হত্যাকাণ্ড ঘটে চলেছে। আজকের আধুনিক যুগেও বর্বরতা একটুও কমেনি। ধনী, গরিব, উন্নত, অনুন্নত, মুসলিম প্রধান, অমুসলিম প্রধান সব দেশেই সম্পত্তি নিয়ে ভয়ঙ্কর সব পাশবিক ঘটনা ঘটে।[৩২৪] একারণে কুর’আনে আল্লাহ تعالى আমাদের কঠিনভাবে সম্পত্তির সঠিক ভাগবাটোয়ারা করে দিতে বলেছেন। বিশেষ করে উত্তরাধিকারদের সঠিকভাবে ওসীয়ত বা উইল করে যাওয়া মুসলিমদের জন্য ফরজ।[১২][৮] দুঃখজনকভাবে মুসলিমরা যতখানি নামাজ, রোজার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়, কুর’আনে অন্যান্য ফরজ নির্দেশগুলোর ব্যাপারে ততখানিই উদাসীন থাকে। যার ফলাফল হয় ভয়াবহ, আর দোষ হয় মুসলিম সমাজের, সর্বোপরি ইসলামের।

2_180-182_title2_1802_1812_182

তোমাদের উপর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে যে, তোমাদের কেউ যখন মৃত্যুশয্যায় পৌঁছে যায়, তখন যদি যথেষ্ট সম্পত্তি রেখে যায়, তাহলে বাবা-মা এবং নিকটজনদের জন্য ন্যায়সঙ্গতভাবে উইল/ওসীয়ত করে যাবে। যারা আল্লাহর প্রতি সাবধান—মুত্তাক্বি, তাদের জন্য তা বাধ্যতামূলক।[১৮০] কেউ যদি উইল/ওসীয়ত শোনার পরেও তাতে পরিবর্তন করে, তাহলে তার উপর সমস্ত গুনাহ হবে। সাবধান! আল্লাহ অবশ্যই সব শোনেন, সব জানেন।[১৮১] কিন্তু কেউ ওসীয়তকারীদের বা সাক্ষীদের থেকে পক্ষপাতিত্ব বা অন্যায়ের আশংকা করে যদি তা তাদের মধ্যে সংশোধন করে দেয়, তাহলে তার কোনোই গুনাহ হবে না। অবশ্যই আল্লাহ অনেক ক্ষমা করেন, তিনি নিরন্তর দয়ালু।[১৮২] [আল-বাক্বারাহ ১৮০-১৮২]

আজকাল আধুনিক মুসলিমদের মধ্যে ইসলামের উত্তরাধিকার আইন সম্পর্কে একধরনের বিতৃষ্ণা কাজ করতে দেখা যায়। বিশেষ করে অমুসলিমদের নানা ধরনের অপপ্রচারের কারণে তারা বিভ্রান্ত হয়ে মনে করেন যে, ইসলামের উত্তরাধিকার আইন আজকের যুগের জন্য অচল। যেমন, একটি বহুল আলোচিত ব্যাপার হচ্ছে মেয়েদেরকে ছেলেদের অর্ধেক সম্পত্তি দেওয়া নিয়ে বিতর্ক। এই বলে অভিযোগ করা হয় যে, ইসলাম মেয়েদেরকে ছোট করে দেখে, ছেলেদের থেকে অর্ধেক সম্পত্তি দেয়। দুজন মেয়ের সাক্ষীকে একজন ছেলের সাক্ষীর সমান মনে করে। ইসলাম মেয়েদেরকে সমান অধিকার দেয় না, সমান সম্পত্তি দেয় না ইত্যাদি।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)