তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার ক্ষতি থেকে — আল-ফালাক্ব

বলো, আমি আশ্রয় নেই অন্ধকার চিরে বের হওয়া আলোর প্রভুর কাছে। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার ক্ষতি থেকে। অন্ধকার ঘনিয়ে আসা রাতের ক্ষতি থেকে, যখন তা ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে যায়। যারা যাদু করে গ্রন্থিতে ফুঁ দেয়, তাদের ক্ষতি থেকে। হিংসুকের ক্ষতি থেকে, যখন সে হিংসার কাজ করে। [আল-ফালাক্ব]

বলো, আমি আশ্রয় নেই অন্ধকার চিরে বের করা আলোর প্রভুর কাছে

ফালাক্ব শব্দটির দুটো অর্থ রয়েছে— ১) অন্ধকার চিরে যখন আলোর রশ্মি বেড়িয়ে আসে, ২) যা অন্য কোনো কিছু চিরে বা ভেদ করে বের হয় বা জন্ম হয়। প্রথম অর্থ নিলে এই আয়াতের অর্থ হবে— বলো, আমি আশ্রয় নেই ঊষার প্রভুর কাছে। আর দ্বিতীয় অর্থ নিলে এই আয়াতের অর্থ দাঁড়াবে যে, আমরা আশ্রয় চাইছি সৃষ্টির প্রভুর কাছে। কারণ আমরা যদি লক্ষ্য করি, সকল সৃষ্টিই কিছু না কিছু বিদীর্ণ করে বেড়িয়ে এসে অস্তিত্ব নেয়। বীজ চিরে নতুন চারা বের হয়। মাটি চিরে গাছ বের হয়। মায়ের গর্ভ চিরে বাচ্চা জন্ম নেয়। ডিম চিরে ছানা বের হয়। শূন্য চিরে সৃষ্টিজগত বের হয়। অন্ধরকার মহাবিশ্ব চিরে নক্ষত্রের আলো বের হয়। —আমরা আশ্রয় চাইছি তাঁর تعالى কাছে যিনি অন্ধকার চিরে আলো বের করেন, যিনি সব সৃষ্টি করেন।[১৮][১৭][১][৪][২০]  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

ওদের বিশ্বাস একেবারেই নগণ্য পর্যায়ের — আল-বাক্বারাহ ৮৮-৯১

আপনি পাড়ার কলেজের শিক্ষক মীর-জাফর সাহেবকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করছেন, “ভাই, কিছু চরমপন্থি দলের উল্টোপাল্টা কাজকর্মকে ইসলামের শিক্ষা বলে প্রচার করে ধর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখি করছেন, এটা তো অন্যায়। চেতনার নাম করে কিশোর-তরুণদের উত্তেজনার ড্রাগ দিয়ে, তাদেরকে রাজনৈতিক নেতাদের হাতের পুতুল বানাচ্ছেন, এটা কি একটা বিরাট প্রতারণা নয়? পাবলিসিটির লোভে আপনি মানুষকে অহেতুক ফুসলিয়ে, তাদেরকে সস্তা আবেগের খোরাক দিচ্ছেন, আল্লাহর تعالى কাছে এসবের জবাব কীভাবে দেবেন?”

কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছে না। তার উত্তর, “ভাই, আমাকে এইসব ফালতু নীতিকথা বলে লাভ নেই। আমি একজন বিদেশ থেকে পিএইচডি করা শিক্ষিত মানুষ। আমি জানি আমি যা করছি সেটা ঠিক কাজ। আমাকে এই সব সব হাজার বছরের পুরনো আরব কেচ্ছা কাহিনী শুনিয়ে কোনো লাভ নেই। আমি কোনো গ্রামের অর্ধশিক্ষিত লোক না যে, আপনার এই সব শাস্তির কথা শুনে ভয় পাব। আপনি অন্যদিকে দেখেন।”

এই ধরনের মানুষরা কোনো আধুনিক সৃষ্টি নয়। হাজার বছর আগেও এই ধরনের মানুষ ছিল—

2_88

ওরা বলে, “(তোমরা যাই বলো না কেন) আমাদের অন্তর একদম সুরক্ষিত, কিছুই ঢুকবে না।” কিসের সুরক্ষিত? বরং আল্লাহ ওদেরকে ঘৃণা ভরে পরিত্যাগ করেছেন ওদের অবিশ্বাসের জন্য। ওদের বিশ্বাস একেবারেই নগণ্য পর্যায়ের। [আল-বাক্বারাহ ৮৮]

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)