একে অন্যকে সত্যের প্রতি তাগাদা দেয় এবং ধৈর্য-নিষ্ঠ হতে তাগাদা দেয়—আল-আসর

ফুরিয়ে যাওয়া সময়ের শপথ। মানুষ অবশ্যই ক্ষতির মধ্যে রয়েছে। তবে তারা নয়, যারা বিশ্বাস করে, ভালো কাজ করে, একে অন্যকে সত্যের প্রতি তাগাদা দেয় এবং ধৈর্য-নিষ্ঠ হতে তাগাদা দেয়।  —আল-আসর

আপনি আরাম করে ঘুমিয়ে সুন্দর একটা স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পর আপনার মনে হলো যে, কিছু একটা ঘাপলা আছে। এরকম তো হওয়ার কথা না। চোখ খুলে দেখলেন যে, আপনি আসলে এক অতল নীল সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছেন। উপরে সূর্যের আলোর আভা দেখা যাচ্ছে। আপনি যদি এখনি চেষ্টা করেন তাহলে সাঁতরে উপরে উঠতে পারেন। এই অবস্থায় আপনি দুটো কাজ করতে পারেন। আপনি ভাবতে পারেন, “থাক না, আরামেই তো ঘুমিয়ে ছিলাম। আবার ঘুম দেই।” চোখ বন্ধ করে আবার ঘুমিয়ে গেলেন। সুন্দর স্বপ্ন দেখা শুরু করলেন। একসময় আপনি তলিয়ে গেলেন।

অথবা আপনি প্রাণপণে হাত-পা ছুড়ে সাঁতরে উপরে উঠতে লাগলেন। কিন্তু কিছুদূর না যেতেই আপনার পায়ে বাঁধা একটা শিকলে টান লাগলো। নীচে তাকিয়ে দেখলেন যে, আপনার পায়ের সাথে শিকল দিয়ে আপনার ঘুমন্ত ভাইয়ের পা আটকানো। সেও আপনার মতো ঘুমে তলিয়ে যাচ্ছে। আপনি একা কোনোভাবেই সাঁতরে উপরে উঠতে পারবেন না। তখন আপনি জলদি সাঁতরে ভাইয়ের কাছে গিয়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ডাকতে লাগলেন। সে একসময় জেগে উঠলো। আপনার ডাক শুনে, পরিস্থিতি উপলব্ধি করে সেও জলদি সাঁতরে উপরে উঠতে লাগলো। কিন্তু কিছুদূর না যেতেই আপনারা দুজনেই আবার পায়ের শিকলে টান লেগে আটকে গেলেন। নীচে তাকিয়ে দেখলেন এক লম্বা শিকলে আপনার বাবা, মা, আত্মীয়, সমাজের অন্য মানুষরা সবাই বাঁধা। সবাই ঘুমিয়ে আছে। গভীর সমুদ্রে তলিয়ে যাচ্ছে। আপনার বাঁচার তখন একটাই পথ খোলা: একে একে সবাইকে ডেকে তুলে একসাথে সাঁতরে উপরে ওঠার চেষ্টা করা। কিন্তু সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। আপনার দম শেষ হয়ে যাচ্ছে…[১]  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার ক্ষতি থেকে — আল-ফালাক্ব

বলো, আমি আশ্রয় নেই অন্ধকার চিরে বের হওয়া আলোর প্রভুর কাছে। তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার ক্ষতি থেকে। অন্ধকার ঘনিয়ে আসা রাতের ক্ষতি থেকে, যখন তা ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে যায়। যারা যাদু করে গ্রন্থিতে ফুঁ দেয়, তাদের ক্ষতি থেকে। হিংসুকের ক্ষতি থেকে, যখন সে হিংসার কাজ করে। [আল-ফালাক্ব]

বলো, আমি আশ্রয় নেই অন্ধকার চিরে বের করা আলোর প্রভুর কাছে

ফালাক্ব শব্দটির দুটো অর্থ রয়েছে— ১) অন্ধকার চিরে যখন আলোর রশ্মি বেড়িয়ে আসে, ২) যা অন্য কোনো কিছু চিরে বা ভেদ করে বের হয় বা জন্ম হয়। প্রথম অর্থ নিলে এই আয়াতের অর্থ হবে— বলো, আমি আশ্রয় নেই ঊষার প্রভুর কাছে। আর দ্বিতীয় অর্থ নিলে এই আয়াতের অর্থ দাঁড়াবে যে, আমরা আশ্রয় চাইছি সৃষ্টির প্রভুর কাছে। কারণ আমরা যদি লক্ষ্য করি, সকল সৃষ্টিই কিছু না কিছু বিদীর্ণ করে বেড়িয়ে এসে অস্তিত্ব নেয়। বীজ চিরে নতুন চারা বের হয়। মাটি চিরে গাছ বের হয়। মায়ের গর্ভ চিরে বাচ্চা জন্ম নেয়। ডিম চিরে ছানা বের হয়। শূন্য চিরে সৃষ্টিজগত বের হয়। অন্ধরকার মহাবিশ্ব চিরে নক্ষত্রের আলো বের হয়। —আমরা আশ্রয় চাইছি তাঁর تعالى কাছে যিনি অন্ধকার চিরে আলো বের করেন, যিনি সব সৃষ্টি করেন।[১৮][১৭][১][৪][২০]  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)