যারা অন্যায় থেকে বাঁচতে ভিটেমাটি ত্যাগ করেছে —আল-বাক্বারাহ ২১৮

অন্যায় থেকে বাঁচার জন্য প্রেক্ষাপট অনুসারে ইসলামে দুটো পথ রয়েছে— ১) অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিহাদ করা, অথবা ২) অন্যায় থেকে সরে যাওয়া। যখন মুসলিমরা কোনো দেশে বা এলাকায় সংখ্যালঘু বা প্রতিপক্ষের তুলনায় এতটাই দুর্বল যে, কোনো ধরনের সশস্ত্র প্রতিরোধ করতে গেলে প্রতিপক্ষের আক্রমণে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছু অর্জন হবে না, তখন তাদের হিজরত করে চলে যাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো উপায়। এভাবে অনর্থক রক্তপাত হবে না, মুসলিমরা বেঁচে থেকে আল্লাহর ইবাদত করতে পারবে, অন্য জায়গায় গিয়ে ইসলামের প্রচারও করতে পারবে। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ ইসলামের ইতিহাসে প্রথম হিজরত, যেখানে রাসুল عليه السلام একদল মুসলিমকে মুশরিকদের অত্যাচার থেকে বাঁচাতে মক্কা থেকে আবিসিনিয়ায় হিজরত করে চলে যেতে বলেন। এধরনের হিজরতে কোনো অপমান নেই, এটি কোনো কাপুরুষের মতো কাজও নয়, বরং আল্লাহর কাছে এটি পুরোপুরি গ্রহণযোগ্য একটি কাজ—

2_218

যারা বিশ্বাস করেছে এবং যারা অন্যায় থেকে বাঁচতে ভিটেমাটি ছেড়ে চলে গেছে এবং আল্লাহর পথে চলতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছে, কোনো সন্দেহ নেই, ওরা অবশ্যই আল্লাহর দয়া পাওয়ার আশা করতে পারে। আল্লাহ অবশ্যই অনেক ক্ষমা করেন, তিনি নিরন্তর দয়ালু। [আল-বাক্বারাহ ২১৮]

ইসলামিক পরিভাষায় হিজরত হচ্ছে অত্যাচার, অন্যায় থেকে বাঁচতে এবং অন্য মুসলিমদের সাথে যোগ দিতে ভিটেমাটি ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যাওয়া। একইসাথে কোনো শিরক দুষ্ট জায়গা থেকে অন্য কোনো কম শিরক দুষ্ট জায়গা, যেখানে পাপ অপেক্ষাকৃত কম হয়, অবস্থা অপেক্ষাকৃত ভালো, মুসলিমদের জান-মালের নিরাপত্তা অপেক্ষাকৃত বেশি, সেখানে চলে যাওয়াও হিজরত।[৩৫৪]  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)