আমার প্রতিশ্রুতি অন্যায়কারীদের কাছে পৌঁছাবে না — আল-বাক্বারাহ ১২৪-১২৫

আপনি বহুবছর বিদেশে কাজ করে দেশে ফিরছেন। এর মধ্যে আপনার এক সন্তান হয়েছে, যাকে আপনি এর আগে কখনো দেখেননি। দেশে ফিরে আপনি তাকে প্রথম বারের মতো দেখবেন, এই খুশিতে আপনি আত্মহারা। কয়েকটা দিন সন্তানের সাথে হেসে-খেলে দিন পার করতে না করতেই, একরাতে স্বপ্ন দেখলেন: আপনি কুরবানি করছেন, আপনার হাতে রক্তাক্ত ছুড়ি, কিন্তু একি! কুরবানির পশুর জায়গায় পড়ে রয়েছে আপনার মৃত সন্তান! আপনি ঘুম ভেঙ্গে লাফ দিয়ে জেগে উঠলেন। এরকম একটা জঘন্য স্বপ্ন দেখে অস্থিরতায় ঘেমে গেলেন। স্বপ্নটা এতটা বাস্তব ছিল, মনে হচ্ছিল ভবিষ্যতের কোনো একটা ঘটনা আপনি নিজের চোখে ঘটতে দেখছেন। এত ভয়ঙ্কর বাস্তব স্বপ্ন আপনি এর আগে কখনো দেখেননি।

পরদিন আপনি ছেলের সাথে খেলছেন। কিন্তু আপনার মন বসছে না। বার বার রাতের দুঃস্বপ্নের কথাটা মনে হচ্ছে। সেদিন রাতে আবারো আপনি সেই স্বপ্নটা দেখলেন। চিৎকার দিয়ে লাফ দিয়ে জেগে উঠলেন। পরদিন আবারো একই স্বপ্ন। কয়েকদিন একই স্বপ্ন দেখার পর আপনি বুঝতে পারলেন, এটা কোনো সাধারণ স্বপ্ন নয়। আপনাকে এই ঘটনা ঘটাতে হবে। আপনাকে স্বপ্নের মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে এই কাজ করার।

আপনি স্ত্রীকে বলতে গেলেন। আর দশজনের মতো যদি আপনার স্ত্রী হতো, তাহলে সে চিৎকার দিয়ে উঠত, “কী! তোমার কি মাথা খারাপ? জলদি ডাক্তার দেখাও। খবরদার যদি আর কখনো এই কথা শুনি, তাহলে আমি কালকেই আমার ছেলেমেয়ে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যাব।” কিন্তু না, আপনার পরহেজগার, একান্ত নিষ্ঠাবান স্ত্রী আপনাকে বোঝালেন, “আল্লাহর تعالى নির্দেশ আমাদেরকে মানতেই হবে।”

আপনি ভাবলেন: ছেলেকে ঘটনাটা খুলে বলি, তাহলে অন্তত ছেলেটা ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করবে, কিছু একটা ঘটাবে, আর আপনাকে এই কাজটা করতে হবে না। কিন্তু ছেলেকে বলার পর সে শান্ত ভাবে আপনাকে বোঝালো, “বাবা, আল্লাহই تعالى তোমাকে এই কাজ করতে বলছেন। তোমাকে তো অবশ্যই আল্লাহর تعالى নির্দেশ মানতে হবে। চিন্তা করো না বাবা, আমি একটুও কাঁদবো না। তুমি কুরবানি করার আগে আমার চোখটা ঢেকে দিও, যাতে আমি ভয় পেয়ে সরে না যাই।” আপনার বুক ভেঙ্গে গেল। আপনি বুঝতে পারলেন, আপনাকে এই কাজটা করতে হবেই।

বহুবছর আগে আপনাকে এরকম আরেকটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। আপনার কাছে নির্দেশ এসেছিল: আপনার স্ত্রী এবং শিশু বাচ্চাটাকে মরুভূমিতে রেখে আসতে হবে। আপনি স্ত্রীকে বললেন, “আমার কাছে নির্দেশ এসেছে, তোমাকে এবং বাচ্চাটাকে মরুভূমিতে রেখে আসতে হবে।” আপনার স্ত্রী কিছুক্ষণ পাথরের মতো দৃষ্টিতে তাকিয়ে থেকে নীরবে মেনে নিলেন। আপনি তাদেরকে নিয়ে উটের পিঠে চড়ে, শিশুকে বুকে নিয়ে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে মরুভূমিতে চলছেন। এই ভয়ঙ্কর যাত্রায় বাচ্চাটা যে কোনো সময় মারা যেতে পারে। কিন্তু তারপরেও আপনি যাচ্ছেন।

গহীন মরুভূমিতে বহুদূর যাওয়ার পর তাদেরকে একটা জায়গায় থামতে বললেন। সেখানে তাদেরকে দাঁড় করিয়ে রেখে আপনাকে বিদায় নিতে হবে। নিজের ভেতরের কান্না আটকে রেখে, শোকে পাথর হয়ে তাদের কাছ থেকে বিদায় নিলেন। আপনার স্ত্রী বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে আপনার চলে যাওয়া দেখলেন। আপনি চলে যাচ্ছেন, আর হাজারো দুশ্চিন্তা আপনার মাথায় আসছে, “ওদের কাছে যে খাবার রেখে এসেছি, সেটা তো কিছুক্ষণ পরেই শেষ হয়ে যাবে? ওরা পানি পাবে কোথা থেকে? পানি থাকা তো দূরের কথা, চারিদিকে যতদূর চোখ যায়, কোনো গাছপালাও নেই। এভাবে কতক্ষণ বেঁচে থাকবে ওরা?”

এরকম ভয়ঙ্কর কিছু পরীক্ষা, যেগুলো আমরা আমাদের জীবনে দেওয়ার কথা চিন্তাও করতে পারি না, নবী ইব্রাহিম-এর عليه السلام জীবনে সত্যি সত্যিই ঘটেছিল, যার উল্লেখ এই আয়াতে এসেছে—

2_124

মনে কর দেখো, যখন ইব্রাহিমকে তার প্রভু কিছু নির্দেশ দিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন, এবং তিনি তার সব পূরণ করেছিলেন।
আল্লাহ تعالى বলেন, “আমি তোমাকে মানবজাতির ইমাম করবো।”
ইব্রাহিম বলেন, “আমার বংশধরেরাও কি?”
আল্লাহ تعالى বলেন, “আমার প্রতিশ্রুতি অন্যায়কারীদের কাছে পৌঁছাবে না।” [আল-বাক্বারাহ ১২৪]

2_124_title

আমাদের যখন বাচ্চাদেরকে স্কুলে আনতে যেতে দেরি হয়, জ্যামে আটকিয়ে থাকি, পুরো সময়টা আতংকে থাকি: বাচ্চাদের কিছু হলো কিনা; কোনো ছেলেধরা এসে ধরে নিয়ে গেল কিনা। সেখানে নবী ইব্রাহিম عليه السلام নিজের হাতে তার শিশু সন্তানকে, স্ত্রীকে মরুভূমিতে রেখে এসেছিলেন। তিনি জানতেন সেখানে তাদের বাঁচার কোনোই উপায় নেই। তারা পিপাসায় কাতরাতে কাতরাতে ভীষণ কষ্ট পেয়ে মারা যাবে। তারপরেও তিনি সেই কঠিন পরীক্ষা দিয়েছেন, কারণ আল্লাহর تعالى আদেশের উপর কোনো কথা নেই।

এছাড়াও এখানে লক্ষ্য করার মতো ব্যাপার হলো: তার স্ত্রী তার প্রতি কতটা সমর্থন দিয়েছেন। আজকে যদি কোনো প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি করা ডাক্তার ভাই তার স্ত্রীকে বলেন, “চলো, অনেক তো টাকা কামানো হলো, এবার আমরা গ্রামে গিয়ে একটা ক্লিনিক খুলে গরিবদের সেবা করি।” সাথে সাথে তার স্ত্রী চিৎকার দিয়ে উঠবেন, “কী! তোমার কি মাথা খারাপ! গ্রামে গিয়ে আমি শপিং করবো কোথায়? হিন্দি সিরিয়াল দেখবো কীভাবে? বান্ধবীদের নিয়ে কফি হাউজ, রেস্টুরেন্টে খাবো কীভাবে? তোমার যদি এতই দরদ হয়, তুমি একা যাও। আমি এখান থেকে নড়বো না।”

তার বাবা-মা তাকে বার বার ফোন করে বোঝাতে চাইবেন, “তুমি ১০ বছর ধরে ডাক্তারি পড়লে কী জন্য? আমরা এত কাঠখড় পুড়িয়ে তোমাকে হাসপাতালের চাকরিটা জোগাড় করে দিলাম, আর তুমি আমাদেরকে এইভাবে অপমান করে সেই চাকরি ছেড়ে দিচ্ছ? তোমার মাথায় এই সব কুবুদ্ধি তোমার ওই দাঁড়িওলা বন্ধুটা ঢুকিয়েছে, তাই না?”

একইভাবে কোনো ডাক্তার বোন যদি স্বামীকে অনুরোধ করেন, “আমি আমাদের গ্রামে গিয়ে সপ্তাহে একদিন একটা ক্লিনিকে বসে ফ্রি রোগী দেখে দেই?” সাথে সাথে স্বামী বলবে, “তোমার কি আমার বাড়ির কারো প্রতি কোনো দায়িত্ব নেই? আমার গুরুত্ব কি তোমার কাছে গ্রামের রোগীদের থেকে কম? ইসলামে না স্বামীর অধিকার সবার আগে?” তারপর তার শাশুড়ি ছেলের জন্য আবার মেয়ে দেখা শুরু করবে।

নবী ইব্রাহিম عليه السلام যখন আল্লাহর تعالى দেওয়া প্রতিটি পরীক্ষা পাস করলেন, আল্লাহ تعالى তাকে পুরো মানবজাতির ইমাম উপাধি দিলেন। তিনি হয়ে গেলেন সকল নবীর ইমাম: অনুসরণ করার মতো আদর্শ, নেতা, অগ্রগামী।[৫] সকল পির, আওলিয়া, বুজুর্গের ইমাম। তিনি শুধু মুসলিমদেরই নয়, সকল ধর্মের সকল মানুষের ইমাম হয়ে গেলেন। এই অনন্য সাধারণ সন্মান তিনি এমনিতেই পাননি। তিনি ইতিহাসের কঠিনতম পরীক্ষাগুলো পাশ করে অর্জন করেছেন।

এই আয়াতে আল্লাহ تعالى আমাদেরকে শেখাচ্ছেন: বড় কিছু পেতে হলে ত্যাগ স্বীকার করে সেটা অর্জন করতে হবে। আমরা অনেকেই মনে করি, “আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি, রোজা রাখি, যাকাত দেই। আজকাল আরবি পড়াও শুরু করেছি। ফেইসবুকে ইসলামের উপরে পোস্ট দিচ্ছি। আমার জান্নাতে যাওয়া আর ঠেকায় কে? ফেরেশতারা নিশ্চয়ই লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে আমার অটোগ্রাফ নেওয়ার জন্য।”[১]

আবার আমরা অনেকে মনে করি: “ফেইসবুকে আমার ৫০০০ ফ্রেন্ড। আমার পোস্ট করা ‘একমত হইলে লাইক দিন’ ছবিগুলোতে শত শত লাইক পড়ে। আমার মতো সফল দাঈ কয়জন আছে?” —আমাদের কু’রআনে নবীদের জীবনী পড়ে দেখা দরকার: কী ভয়ঙ্কর সব পরীক্ষা তারা দিয়েছেন, কী চরম পর্যায়ের ত্যাগ তারা স্বীকার করেছেন। আর এদিকে আমরা কয়েক বছরও ইসলাম নিয়ে পড়াশুনা করি না। যদিও বা করি, তারপর কয়েক বছর মানুষের মাঝে থেকে জীবনের কঠিন সংগ্রামে অংশ নেই না। অথচ ঠিকই মনে করি বিরাট দাঈ, স্কলার হয়ে গেছি: ইসলাম নিয়ে মানুষের যাবতীয় সমস্যার সমাধান আছে আমার কাছে!

এই আয়াতে আল্লাহ تعالى আমাদেরকে শেখাচ্ছেন: জীবনে বড় কিছু পাওয়ার জন্য কোনো শর্টকাট নেই। দেখ, তোমাদের পিতা ইব্রাহিম কী করে গেছেন।

“আমার প্রতিশ্রুতি অন্যায়কারীদের জন্য প্রযোজ্য নয়”
আল্লাহর تعالى কাছে বংশগৌরব বলে কিছু নেই। তিনি শুধুই দেখেন কার তাকওয়া কোন পর্যায়ের।[৬] নবী ইব্রাহিম عليه السلام যিনি মানবজাতির ইমাম, আল্লাহর تعالى কাছে তার বংশধরদের জন্য সাফল্য চেয়েও পাননি। আল্লাহ تعالى অন্যায়কারীদের কোনো সন্মান দেন না, সে সৈয়দ বংশেরই হোক, বা কোনো পির বংশেরই হোক না কেন।

এই আয়াতে নবী ইব্রাহিম-এর عليه السلام জন্য একটা দুঃসংবাদ রয়েছে: তার বংশধররা সবাই ভালো হবে না। কিছু জালিম-অন্যায়কারী হবে।[১] পিতা হিসেবে এটা শোনাটা খুবই দুঃখের ব্যাপার। আজকে যদি আমরা জানতে পারি: আমাদের এক ছেলে বড় হয়ে ক্রিমিনাল হবে, তাহলে নিশ্চয়ই আমাদের বুক ভেঙ্গে যাবে।

কা’বা তৈরি

2_125

মনে করে দেখো, আমি কা’বাকে মানুষের জন্য আশ্রয় এবং শান্তির জায়গা করেছি, “ইব্রাহিমের দাঁড়াবার জায়গাটাকে তোমাদের প্রার্থনার জায়গা বানাও।” আমি ইব্রাহিম এবং ইসমাইলকে দায়িত্ব দিয়েছি, “আমার ঘরকে তাওয়াফকারী, ইবাদতের জন্য অবস্থানকারী এবং যারা রুকু-সিজদা করে তাদের জন্য পবিত্র রাখো।” [আল-বাক্বারাহ ১২৫]

হাজ্জ করতে গিয়ে অনেকেরই এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়: প্রথম যখন তারা মক্কায় পৌছিয়ে মসজিদে হারামে গিয়ে নিজের চোখে কা’বা দেখেন, সাথে সাথে তারা এক অনাবিল শান্তি অনুভব করেন। যতই বদমেজাজি হন, হাজ্জে যাত্রার তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকুক না কেন, একজন ঈমানদার নিজের চোখে কা’বা দেখার সাথে সাথে প্রশান্ত হয়ে যান। হাজার হাজার মানুষ দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা নদীর পানির মতো সেই কা’বাকে ঘিরে ক্রমাগত ঘুরছেন, কোনো হইচই নেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টা একের পর এক মানুষ ছুটে আসছেন কা’বাকে নিজের চোখে প্রথমবার দেখার জন্য, আর কা’বা চোখে পড়ার সাথে সাথে তারা থ’ হয়ে যাচ্ছেন, অনেকের চোখ দিয়ে পানি বেড়িয়ে যাচ্ছে —সে এক অদ্ভুত দৃশ্য!

আফসোসের ব্যাপার হলো, আজকাল দেখা যায় মানুষ তাওয়াফ করছে, আর ফোনে বলছে, “জানিস্ আমি এখন কোথায়? বল্‌ দেখি?” মানুষ নামাজ পড়ছে, আর অনেকে তাদের সামনে দাঁড়িয়ে কা’বাকে পেছনে রেখে নিজের ছবি তুলছে। অনেকে সাঈ করছে, আর কিছুক্ষণ পর পর বসে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস লিখছে, “আর মাত্র দুইবার, তারপরেই আমি হাজ্বি।” কতটা অপরিপক্ব বুদ্ধির মানুষ হলে কেউ এমন কাজ করতে পারে!

হাজ্জে গেলে মুসলিম উম্মাহর অবস্থার পরিচয় পাওয়া যায়। যখন আমরা দেখি হাজ্জের মধ্যে মানুষ তুমুল তর্ক করছে: হোটেল কেন ভালো হয়নি, কলে গরম পানি নেই কেন; মোবাইলে একনাগাড়ে গল্প, সারাক্ষণ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে টেপাটেপি, কা’বার সাথে সেলফি —আমরা বুঝতে পারি এই উম্মাহর কাছে ইসলাম একটা ফ্যাশন ছাড়া আর কিছু নয়। তাদের ভেতরে ইসলামের শিক্ষা এখনো প্রবেশ করতে পারেনি।[১] এটা এমন একটা উম্মাহ নয়, যারা সমাজ, সংস্কৃতি, দেশের ঊর্ধ্বে উঠে ইসলামের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে কিছু করতে পারে।

সূত্র:

  • [১] নওমান আলি খানের সূরা আল-বাকারাহ এর উপর লেকচার এবং বাইয়িনাহ এর কু’রআনের তাফসীর।
  • [২] ম্যাসেজ অফ দা কু’রআন — মুহাম্মাদ আসাদ।
  • [৩] তাফহিমুল কু’রআন — মাওলানা মাওদুদি।
  • [৪] মা’রিফুল কু’রআন — মুফতি শাফি উসমানী।
  • [৫] মুহাম্মাদ মোহার আলি — A Word for Word Meaning of The Quran
  • [৬] সৈয়দ কুতব — In the Shade of the Quran
  • [৭] তাদাব্বুরে কু’রআন – আমিন আহসান ইসলাহি।
  • [৮] তাফসিরে তাওযীহুল কু’রআন — মুফতি তাক্বি উসমানী।
  • [৯] বায়ান আল কু’রআন — ড: ইসরার আহমেদ।
  • [১০] তাফসীর উল কু’রআন — মাওলানা আব্দুল মাজিদ দারিয়াবাদি
  • [১১] কু’রআন তাফসীর — আব্দুর রাহিম আস-সারানবি
  • [১২] আত-তাবারি-এর তাফসীরের অনুবাদ।
  • [১৩] তাফসির ইবন আব্বাস।
  • [১৪] তাফসির আল কুরতুবি।
  • [১৫] তাফসির আল জালালাইন।

নতুন আর্টিকেল বের হলে জানতে চাইলে কু’রআনের কথা ফেইসবুক পেইজে লাইক করে রাখুন—

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *