চৌধুরী সাহেব বলেন, “অ্যালকোহল পান করাটা কোনো বড় গুনাহ না, কারণ হাজার হলেও, কু’রআনেই বলা আছে, ‘তারা যদি তোমাকে মদ এবং জুয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে: বলে দাও, এগুলোতে বিরাট ক্ষতি আছে, কিন্তু মানুষের জন্য কিছু উপকারও আছে’। দেখলে তো? খোদ আল্লাহই বলে দিয়েছেন মদ এবং জুয়াতে কিছু উপকার আছে। সুতরাং একটুআধটু হুইস্কি পান করলে কোনো সমস্যা নেই, আমি তো আর মাতাল হয়ে যাচ্ছি না। বরং একটু হুইস্কি বা ওয়াইন পান করলে হজম ভালো হয়। আর লটারিতে তো কোনো সমস্যাই নেই। হাজার হলেও হার্ট ফাউন্ডেশনের লটারি, এতে কত মানুষের চিকিৎসা হবে কখনও চিন্তা করে দেখেছ? বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্রতর ত্যাগ সবসময়ই আল্লাহ পছন্দ করেন।”
এধরনের চৌধুরী সাহেব টাইপের মানুষরা আপনাকে বলবে না, কু’রআনের আয়াতে আসলে বলা আছে—
ওরা তোমাকে মদ-মাদক এবং জুয়ার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে, বলে দাও, “এই দুটোতেই বিরাট পাপ, ক্ষতি রয়েছে এবং মানুষের জন্য কিছু উপকারও। কিন্তু এই দুটো থেকে যে পাপ, ক্ষতি হয়, তা তাদের উপকার থেকে অনেক বেশি। আর ওরা তোমাকে কী খরচ করবে সে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, ‘প্রয়োজন মেটাবার পর যা বাড়তি থাকে।’ এভাবেই আল্লাহ تعالى তার নির্দেশকে তোমাদের কাছে পরিষ্কার করে দেন, যাতে করে তোমরা চিন্তাভাবনা করো।” [আল-বাক্বারাহ ২১৯]
অনেক মুসলিম সত্যিই মনে করেন অল্প পরিমাণে অ্যালকোহল পান করা যেহেতু বৈজ্ঞানিক ভাবেই সমর্থিত, তাই তারা তা হারাম মনে করেন না। তারা বিশ্বাস করেন যে, শুধুমাত্র মাতাল হওয়ার মতো পরিমাণ পান করলেই তা হারাম। যদিও বিজ্ঞানীরা কী বলছেন তাতে কিছুই আসে যায় না সেটা হালাল না হারাম হবে কিনা। কিন্তু যারা বিজ্ঞানীদের উপর নির্ভর করেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদ। ২০১৫ সালে বিস্তারিত পরীক্ষা করে বিবিসিতে দেখানো হয়েছে যে, অল্প পরিমাণে অ্যালকোহল খাওয়াও লিভারের জন্য ক্ষতিকর। যারা নিয়মিত ‘নিরাপদ’ পরিমাণে অ্যালকোহল পান করে আসছিলেন, তাদের লিভারও দফারফা। দীর্ঘদিন অ্যালকোহল ছেড়ে না থাকলে লিভার আর সুস্থ অবস্থায় ফিরে যেতে পারে না। এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশের পর শত বছর ধরে চলে আসা চিকিৎসা বিজ্ঞানের বইগুলো শীঘ্রই পরিবর্তন হতে যাচ্ছে।[৩১৩] (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)