কু’রআনে জিহাদ – সংগ্রাম, এবং কিতাল – যুদ্ধ সম্পর্কে কিছু আয়াত রয়েছে, যেগুলো শুধু অমুসলিমরাই নয়, একই সাথে মুসলিমরাও ব্যাপক অপব্যবহার করেছে ইসলামকে একটি আগ্রাসী, আক্রমণাত্মক ধর্ম হিসেবে মানুষের কাছে অপপ্রচার করতে। একদিকে অমুসলিমরা এই আয়াতগুলোকে ব্যবহার করেছে ইসলামের শান্তির বাণীকে ধামাচাপা দিয়ে, অমুসলিমদের মনে ইসলামের প্রতি ভয় ঢুকিয়ে দিতে। অন্যদিকে একদল মুসলিম নেতারা এই আয়াতগুলো ব্যবহার করেছে সরলমনা মুসলিম যুবকদের মগজ ধোলাই করে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিল করতে।
বিশেষ করে বিংশ শতাব্দীতে এসে আমরা দেখতে পাই, পশ্চিমাদের অত্যাচারের শিকার হয়ে অনেক ইমাম, আলেম তাদের আগের শান্তিপ্রিয় নীতি রাতারাতি পাল্টে ফেলে, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত কথা বলা শুরু করেন। যেই ইমামরা একসময় অমুসলিমদের সাথে শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান সমর্থন করে বক্তৃতা দিতেন, তারাই কয়েক বছর পর সব অমুসলিমদের মেরে ফেলার মতো ফাতওয়া দেওয়া শুরু করেন। অনেকসময় তারা তাদের বক্তৃতা দেওয়ার দক্ষতা এবং ইন্টারনেটের প্রযুক্তির পারদর্শিতা খাঁটিয়ে সারা পৃথিবীতে হাজার হাজার মুসলিমের মধ্যে আগ্রাসী মানসিকতার সূচনা করে দেন। তাদেরকে ঠিক সেই সব কথাই বলতে দেখা যায়, যেটা আজকের মুসলিম তরুণ, যুবকরা শুনতে চায়, করার স্বপ্ন দেখে। তাদের জ্বালাময়ী লেখনী, রক্ত গরম করা বক্তৃতা তরুণরা চোখ বড় বড় করে গিলতে থাকে। যার ফলে রাতারাতি তারা তরুণদের কাছে সেলিব্রিটি হয়ে ওঠেন। তরুণরা কয়েকটা বক্তৃতা শুনেই সারা পৃথিবীর হাজার হাজার, লক্ষ আলেমদেরকে ‘বাতিল’, ‘সরকারের দালাল’, ‘ভন্ড’ বলে গালিগালাজ করা শুরু করে দেয়। আর এইসব দক্ষ বক্তাদেরকে পৃথিবীর বুকে একমাত্র সঠিক ইসলামের বাহক মনে করা শুরু করে। (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)