ওরা বসে বসে দেখছিল বিশ্বাসীদের সাথে কী করা হচ্ছিল —আল-বুরুজ

বিশাল নক্ষত্রে ভরা আকাশের শপথ। শপথ সেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া দিনের। শপথ সাক্ষীর এবং যা সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। — আল-বুরুজ ১-৩

চিত্র: মরুভূমির রাতের পরিষ্কার আকাশে আমাদের ছায়াপথ

বুরুজ শব্দটির অর্থ দুর্গ, উঁচু দালান, প্রাসাদ, বড় নক্ষত্র ইত্যাদি।[৫] কুরআনে আল্লাহ تعالى আরও বলেন, “আমি আকাশে নক্ষত্র বীথি বসিয়েছি, সবার দেখার জন্য আকর্ষণীয় করেছি।”— ১৫:১৬। “সুউচ্চ মর্যাদাবান তিনি, যিনি আকাশে নক্ষত্রবীথি দিয়েছেন, দিয়েছেন একটি জ্বলন্ত সূর্য এবং উজ্জ্বল চাঁদ।”—২৫:৬১। মহাকাশে বিশাল সব সৃষ্টি তিনি تعالى তৈরি করে রেখেছেন, যাদের বিশালত্ব আমাদের কল্পনার সীমার বাইরে। আমাদের সূর্য এত বড় যে, এর ভেতরে তের লক্ষ পৃথিবী ঢুকিয়ে দেওয়া যাবে। আর সূর্য তেমন কোনো বড় নক্ষত্রও নয়। এমন সব দানবাকৃতির নক্ষত্র মহাবিশ্বে ছড়িয়ে আছে, যাদের ভেতরে দশ কোটি সূর্য এঁটে যাবে। এখন পর্যন্ত জানা সবচেয়ে বড় নক্ষত্রটি পঞ্চাশ কোটি সূর্যের সমান।[৪৩৮]  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

যারা পেছনে কথা লাগায়, সামনাসামনি অপমান করে —এরা সব শেষ হয়ে যাক —আল-হুমাযাহ

যারা পেছনে কথা লাগায়, সামনাসামনি অপমান করে —এরা সব শেষ হয়ে যাক। যে সম্পদ জমা করে গুণেগুণে রেখে মনে করে যে, তার সম্পদ তাকে অমর করে রাখবে। কখনই না! তাকে ছুড়ে ফেলা হবে এক চূর্ণবিচূর্ণকারীর ভেতরে। জানো সেটা কী? সেটা আল্লাহর আগুন, লেলিহান শিখা। এটা মানুষের হৃদয়-মনকে জ্বালিয়ে দিয়ে আসে। এটা তাদের উপর ঘিরে আসবে। উঁচু উঁচু থামে। —আল-হুমাযাহ

হুমাযাহ হচ্ছে কারও পেছনে কথা লাগানো, গীবত করা। আর লুমাযাহ হচ্ছে কাউকে সামনা-সামনি দোষ ধরে অপমান করা, বাজে আচরণ করা।[৫][১৮] কিছু উদাহরণ দেই—

ফোন এসেছে। ওপাশ থেকে বলছে, “ভাবী, কেমন আছেন? আপনাকে অনেকদিন ফোন করে পাই না।” ভাবী উত্তর দিলেন, “আমার ফোনটা নষ্ট ছিল। ঠিক করতে দিয়েছিলাম।” ওপাশ থেকে, “ঠিক করতে? কেন ভাইসাহেব কি আপনাকে নতুন ফোন কিনে দেয় না? আজকাল সবার হাতে আমি-ফোন ৭। আমাকে ও নতুন মডেল বের হলেই কিনে দেয়। আপনারটা তো বোধহয় এখনও আমি-ফোন ৪ তাই না?” ভাবী বললেন, “না, না, অবশ্যই দেয়। আমি নিজেই কিনি না। আগেরটা তো চলছেই।” ওপাশ থেকে, “এটা কেমন কথা হলো? আপনি ঘরের সব কাজ করেন। বাচ্চাদের পালেন। আবার আপনাকে ভাঙ্গা ফোনও চালাতে হবে? ভাই মনে হচ্ছে আপনাকে ঠিকমতো কদর করেন না।”

ব্যাস, ভাবীর মাথায় ঢুকে গেলো, “ভাই আপনাকে ঠিকমতো কদর করেন না।” প্রথমে একটু মন খারাপ হলো। তারপর অভিমান। অভিমান বাড়তে বাড়তে রাগে পরিণত হলো। রাগ থেকে ঘৃণা। সন্ধ্যায় স্বামী যখন ঘরে ঢুকল, তখন থমথমে অবস্থা। স্বামী যখন বলল, “ইয়ে, খুব ক্ষুধা লেগেছে, একটু নাস্তা দেবে?”, সাথে সাথে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ!

—ফোন যে করেছিল, সে হচ্ছে হুমাযাহ। এরা মানুষে মানুষে কথা লাগায়। কানা-ঘুষা করে। অন্যের চরকায় তেল দেওয়া হচ্ছে এদের জীবিকা। এরা তাদের লিকলিকে জিভ দিয়ে অন্যের অন্তরে বিষ ঢেলে দেয়।  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)