চৌধুরী সাহেবের সন্তানটির জন্ম হলো ডেলিভারির তারিখের দুই মাস আগে। তাকে সাথে সাথে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হলো। ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত হাল ছেড়ে দিলেন। নার্সরা এসে তাকে সান্ত্বনা জানাচ্ছে, তাকে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করছে। এই অবস্থায় তিনি জায়নামাজে বসে জীবনে প্রথমবারের মতো আল্লাহর تعالى কাছে অনেক কাঁদলেন। সারাজীবন আল্লাহর تعالى অবাধ্যতা করার জন্য ক্ষমা চাইলেন। বাকি জীবন দৃঢ়ভাবে ইসলাম মেনে চলার জন্য শপথ করলেন। তারপর ভেজা চোখে আইসিইউতে ফিরে গিয়ে দেখলেন: ডাক্তাররা ছোটাছুটি করছে — তার শিশুটির অবস্থা কোনো এক অদ্ভুত কারণে ভালো হতে শুরু করেছে! আল্লাহর تعالى প্রতি কৃতজ্ঞতায়, শ্রদ্ধায় তিনি খুশিতে কেঁদে ফেললেন। মনে মনে অসংখ্যবার আল্লাহকে تعالى ধন্যবাদ দিলেন। একটু আগে করা শপথের কথা নিজেকে বার বার মনে করিয়ে দিলেন।
এক বছর পরের ঘটনা। চৌধুরী সাহেবের বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলছে। ডিজে নিয়ে এসে ব্যাপক ধুমধাম করে ডিস্কো হচ্ছে। বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন, নারী-পুরুষ সবাই মাখামাখি করে নাচানাচি করছে। চারিদিকে রঙ বেরঙের পানীয়। টিভিতে প্রায় নগ্ন গায়িকার মিউজিক ভিডিও চলছে। ওদিকে বাইরে মাগরিবের আজান হচ্ছে। কিন্তু গানের শব্দে কেউ আজান শুনতে পারছে না।
এত কিছুর পরও তোমরা (সঠিক পথ থেকে) ফিরে গেলে। যদি তোমাদের উপর আল্লাহর অনুগ্রহ এবং দয়া না থাকত, তাহলে তোমরা অবশ্যই সব হারিয়ে ফেলতে। [আল-বাক্বারাহ ৬৪]