এরপরও কীভাবে তুমি বিচার দিনকে অস্বীকার করতে পারো? — আত-তীন পর্ব ২

শপথ ডুমুর এবং জলপাই ফলের। শপথ সিনিন এলাকার তুর পর্বতের। আর এই নিরাপদ শহরের। নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর খাঁড়া গঠনে সৃষ্টি করেছি। তারপর আমি তাকে নিকৃষ্টতম পর্যায়ে নেমে যেতে দেই। তবে তারা নয়, যারা ঈমান এনেছে এবং সঠিক কাজ করেছে। তাদের জন্য এমন সুন্দর প্রতিদান রয়েছে, যা কখনও শেষ হবে না। এরপরও কীভাবে তুমি বিচার দিনকে অস্বীকার করতে পারো? আল্লাহ কি অন্য সব বিচারকের থেকে বড় বিচারক নন? — আত-ত্বীন

নাস্তিকরা প্রশ্ন করে: যদি সত্যিই সৃষ্টিকর্তা থাকে, তাহলে কীভাবে যুদ্ধ, খুন, ধর্ষণ হয়? কীভাবে স্রস্টা মানুষকে শিশু ধর্ষণের মত বিকৃত সব অপরাধ করতে দেয়? একজন দয়ালু, বুদ্ধিমান, বিবেকবান সৃষ্টিকর্তা কীভাবে মানুষ নামের এরকম হিংস্র, ধ্বংসাত্মক, নিষ্ঠুর একটা প্রাণী তৈরি করতে পারে? মানুষের অস্তিত্বই কী সবচেয়ে বড় প্রমাণ নয় যে, সৃষ্টিকর্তা বলে আসলে কিছু নেই? সবই হচ্ছে স্বার্থপর বিবর্তনের ফসল?

অন্যদিকে, অনেক মুসলিমরা প্রশ্ন করেন: মানুষকে জাহান্নামে এমন সব ভয়ংকর, নিষ্ঠুর শাস্তি কেন দেওয়া হবে? মানুষের অপরাধ আর কতই বা বড় হয় যে, তাকে লক্ষ কোটি বছর আগুনে পোড়াতে হবে? একজন ন্যায়বান স্রস্টা কীভাবে মানুষকে এত শাস্তি দিতে পারে? আর মানুষকে এমনভাবে বানানো হলো কেন যে, সে এত অপরাধ করতে পারে? মানুষকে কি আরেকটু ভালো করে বানানো যেত না?  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)

নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর খাঁড়া গঠনে সৃষ্টি করেছি —আত-ত্বীন পর্ব ১

শপথ ডুমুর এবং জলপাই ফলের। শপথ সিনিন এলাকার তুর পর্বতের। আর এই নিরাপদ শহরের। নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর খাঁড়া গঠনে সৃষ্টি করেছি। তারপর আমি তাকে নিকৃষ্টতম পর্যায়ে নেমে যেতে দেই। তবে তারা নয়, যারা ঈমান এনেছে এবং সঠিক কাজ করেছে। তাদের জন্য এমন সুন্দর প্রতিদান রয়েছে, যা কখনও শেষ হবে না। এরপরও কীভাবে তুমি বিচার দিনকে অস্বীকার করতে পারো? আল্লাহ কি অন্য সব বিচারকের থেকে বড় বিচারক নন?  — আত-তীন

শপথ ডুমুর এবং জলপাই ফলের। শপথ তুর পর্বতের। আর এই নিরাপদ শহরের।

আল্লাহ تعالى যখন কোনো কিছুর শপথ করেন, তা নিশ্চয়ই খুবই গুরুত্বপূর্ণ? একারণে অনেকেই গবেষণা করেছেন ডুমুর এবং জলপাই ফলের মধ্যে এমন কী রহস্য রয়েছে যে, কুর‘আনে এই দুটি ফলের নাম দেওয়া হলো? গবেষণা থেকে যদিও এসব ফলের অনেক উপকারিতা বেড়িয়ে এসেছে, কিন্তু আল্লাহর تعالى সৃষ্টি প্রতিটি ফলেরই বিরাট সব উপকারিতা রয়েছে। এক কলা’র বিশাল গুণ নিয়ে একটি প্রবন্ধ লেখা যাবে। তাই আমাদেরকে দেখতে হবে এইসব ফলের নাম এবং তারপর ধারাবাহিকভাবে দুটি জায়গার নাম উল্লেখ করার মধ্যে আর কোনো কারণ আছে কিনা।

অনেক সময় কোনো জায়গার নাম হয়ে যায় সে জায়গায় জন্ম নেওয়া কোনো ফুল, ফল, ফসল বা কোনো বিশেষ ঘটনার নাম থেকে। যেমন, কেউ যদি বলে, “ফজলি আমের কসম!…” এটা শুনলে বাংলাদেশীদের মনে পড়ে রাজশাহীর কথা। একইভাবে আরবদেরকে যখন আত-তীন এবং যয়তুন-এর কথা বলা হয়, তখন তাদের মনে পড়ে বায়তুল মাকদিস-এর আশেপাশের এলাকার কথা যেখানে এই ফলগুলো প্রচুর পরিমাণে জন্মে এবং যেখানে ঈসা (আ)-এর নবুয়ত প্রাপ্তি হয়েছিল। একইভাবে তুর পর্বত হচ্ছে সেই বিশেষ জায়গা, যেখানে আল্লাহ تعالى সরাসরি মুসা عليه السلام-এর সাথে কথা বলেছিলেন। আর নিরাপদ শহর হচ্ছে মক্কা। আজকে পৃথিবীতে তিনটি বৃহত্তম ধর্ম—ইসলাম, খ্রিস্ট এবং ইয়াহুদি—এই তিন জাতির জন্যই এই তিনটি জায়গা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো ঘটেছে এই তিন জায়গায়। এই বিশেষ গুরুত্বকে তুলে ধরার জন্যই সম্ভবত আল্লাহ تعالى এই শপথগুলোর উল্লেখ করেছেন।[৪][১৭][১৮]

  (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)