সুরা মাসাদ বা লাহাব কুর‘আনের অন্যতম বিতর্কিত সূরাহ। শুধুই যে অমুসলিমরা এই সূরাহকে আক্রমণ করে তাই নয়, একইসাথে অনেক মুসলিমদেরকেও দেখা যায় এই সূরাহ নিয়ে নানা সন্দেহে ভুগতে। তাদের উভয়ের অভিযোগ হচ্ছে, কেন কুর‘আনে শুধুই দুইজনকে অভিশাপ দিয়ে পুরো একটা সূরাহ দেওয়া হলো? এই সূরাহ পড়ে মুসলিমদের কী লাভ? কুর‘আন না মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক? এই সূরাহ’র মধ্যে তো কোনো পথনির্দেশ দেখা যাচ্ছে না? কোটি কোটি মানুষ এই সূরাহ মুখস্ত করে কোটি কোটি বার পড়ছে, শুধুই কোনো এক বদ পরিবারকে অভিশাপ দেওয়ার জন্য, এ কেমন কথা হলো? নামাজে দাঁড়িয়ে লক্ষ কোটি মানুষ এক পরিবারের গুষ্টি উদ্ধার করছে, এতে মুসলিম উম্মাহর কী উপকার হচ্ছে?
আবু লাহাবের হাত ধ্বংস হয়ে যাক। সেও ধ্বংস হয়ে যাক। ধন-সম্পদ, সন্তান কোনো কিছুই তার কাজে আসবে না। অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান শিখার আগুনে। আর হবে তার স্ত্রীও, যে ইন্ধন বহনকারিণী। তার গলায় জড়ানো থাকবে খেজুর-ছালের শক্ত রশি। [আল-মাসাদ]
ধরুন, আপনি একজন অতিমানব। আপনি ভবিষ্যৎ বলতে পারেন। অনেকেই আপনার ক্ষমতার উপর বিশ্বাস করে আপনার কথামত জীবন পার করছে। কিন্তু আপনার এক ধনী আত্মীয় হচ্ছে আপনার চরম শত্রু। সে আপনাকে সবার সামনে গালাগালি করে। আপনাকে ভণ্ড, প্রতারক বলে কুৎসা রটায়। আপনি যে আপনার অতীন্দ্রিয় ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে মানুষের উপকার করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, সেটা সে যেভাবেই হোক বন্ধ করে দিয়ে চায়।
একদিন আপনি ভবিষ্যৎ বাণী করলেন, “চৌধুরী সাহেব শীঘ্রই ধ্বংস হয়ে যাবে। তার ধনসম্পদ, সন্তান কোনো কিছুই কাজে লাগবে না। সে এক মর্মান্তিক মৃত্যু বরণ করবে।” —এখন চৌধুরী সাহেব যদি বহাল তবিয়তে থেকে স্বাভাবিকভাবে মারা যায়, তাহলে আপনি শেষ। অথবা তার একজন সন্তানও যদি অসুখের সময় পাশে থাকে, তাহলেও আপনার কথা মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যাবে। অথবা সে যদি তার বিশাল সম্পত্তি খরচ করে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য চলে যায়, তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ বাণী মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যাবে। তখন আপনার উপর থেকে সবার ভরসা উঠে যাবে। আপনি যে সমাজ সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেটা মাঠে মারা যাবে। কেউ আর আপনার কথায় বিশ্বাস করবে না। আপনার যাবতীয় কথা তখন মানুষের কাছে ভণ্ডামি মনে হবে।
সূরাহ মাসাদ বা লাহাব হচ্ছে আবু লাহাব বেঁচে থাকতে করা এক ভবিষ্যৎ বাণী। আবু লাহাব ইচ্ছা করলেই রাসুল عليه السلام কে ভুল প্রমাণ করে দিতে পারতো এই বলে যে, “আমি এখন মুসলিম।” ব্যাস, এক কথায় রাসুল عليه السلام ভণ্ড প্রমাণ হয়ে যেত, কুর‘আন মিথ্যা প্রমাণ হয়ে যেত। কিন্তু সে পারেনি। পুরো জীবন সে আক্রোশ ধরে রেখেছে, মারা গেছে ভয়ংকর অসুস্থ অবস্থায়। তার সম্পত্তি কোনো কাজেই লাগেনি। তার সন্তানরাও তাকে কোনো সাহায্য করেনি। একজন সন্তানও যদি এগিয়ে আসতো বাবার সাহায্যে, তাহলেই কুর‘আন ভুল প্রমাণ হয়ে যেত। কিন্তু তা হয়নি। আবু লাহাবের ভয়ংকর পরিণতি কুর‘আনের ভবিষ্যৎ বাণী অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণ করে দিয়েছে। সাহাবিগণ এই সূরাহ তিলাওয়াত করতেন, আর তাদের ঈমান চাঙ্গা হয়ে যেত। তারা তাদের চোখের সামনে কুর‘আনের ভবিষ্যৎ বাণী পূরণ হতে দেখেছেন, ইসলামের সত্যতার অকাট্য প্রমাণ দেখেছেন। যেই সূরাহ পড়ে আজকে কিছু মুসলিমের ঈমানে ফাটল ধরে যায়, সেই সূরাহই একসময় মুসলিমদের ঈমান আরও মজবুত করে দিত।
আবার কেউ দাবি করেন, আবু লাহাব যদি নিজেকে মুসলিম বলে দাবিও করত, তারপরেও তো রাসুল عليه السلام তাকে মুনাফিক বলে উড়িয়ে দিতে পারতেন। বেশিরভাগ মানুষ হয়ত রাসুলের عليه السلام কথাই বিশ্বাস করতো। সুতরাং আবু লাহাবের আসলে কোনো উপায় ছিল না। —এটা একটা ফালতু যুক্তি। আবু লাহাবের সব পথ খোলা ছিল মুসলিম হয়ে যাওয়ার। তার এক কথায় তখনকার সব মুসলিমের ঈমানে ফাটল ধরে যেত। রাসুল عليه السلام এর মানুষের উপর আস্থা চলে যেত। ইসলামের প্রচারকে সে এক কথায় নড়বড়ে করে দিতে পারত। —আসল কথা হচ্ছে সে করেনি। সে যদি করতো, তাহলে কী হতো —এই সম্ভাবনা কোনো যুক্তি নয়। সম্ভাবনা দিয়ে কোনো যুক্তি হয় না।
ধরুন, আমি ঘোষণা দিলাম, আজকে অনেক খাবার থেকে যাবে, কারণ রান্না এত বাজে হয়েছে যে, কেউ খাবে না। দেখা গেল আমার কথাই ঠিক। অনেক খাবার বেঁচে গেলো। এখন কেউ যদি দাবি করে যে, যদি খাবারগুলো সবাই ঠিকই খেত, তাহলে তো আমি বলতাম যে, সবাই আসলে জোর করে খেয়েছে। —এধরনের কথা শুনে মনে হবে, “তাইতো! ঠিক কথাই তো বলেছে। তার মানে নিশ্চয়ই রান্না ভালোই ছিল?” —এটা একটা ভুয়া-যুক্তি। মানুষ জোর করে খেত, নাকি খেত না, এই সম্ভাবনা কোনো যুক্তি নয়। এরকম সম্ভাবনার কথা বলে রান্না ভালোই ছিল এই দাবি কখনই করা যাবে না। বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ খায়নি, সুতরাং রান্না বাজে হয়েছে।
যুক্তি দাঁড় করানো হয় বাস্তবতা, ফ্যাক্ট দিয়ে, সম্ভাবনা দিয়ে নয়। যেমন, আপনি যুক্তি দেখালেন যে, আজকে বৃষ্টি হয়েছে, তাই রাস্তা ভেজা থাকবে। এখন কেউ দাবি করলো যে, সুরায়েজের পানি বের হয়েও তো রাস্তা ভিজে থাকতে পারে। অনেকগুলো পানির ট্যাংক ফেটে পানি পরেও তো রাস্তা ভিজে থাকতে পারে। তখনও তো দাবি করবে যে বৃষ্টি হয়েছে?
—এভাবে ইসলাম বিদ্বেষী, নাস্তিকরা নানা ধরনের সম্ভাবনাকে যুক্তির মত করে উপস্থাপন করে মুসলিমদের ভড়কে দেয়। আমরা তাদের ভুয়া-যুক্তি শুনে ঘাবড়ে যাই। চিন্তা করি, “তাই তো! এরকমও তো হতে পারত? তখন কী হতো? হায়! হায়! ইসলাম কি তাহলে ভুল?”
সূরাহ মাসাদ শুধু সাহাবীদের জন্যই নয়, হাজার বছর ধরে মুসলিমদের জন্য এক অলৌকিকতার প্রমাণ। ইতিহাস সাক্ষী যে কুর‘আনের ভবিষ্যৎ বাণী অক্ষরে অক্ষরে পালন হয়েছে। আজকে আমরা সেই ভবিষ্যৎ বাণীকে মনে করি এবং উপলব্ধি করি যে, আল্লাহর تعالى কথার বিরুদ্ধে যাওয়ার ক্ষমতা কারও নেই।
সূরাহ মাসাদ হচ্ছে একজন মুসলিমের আসল পরিচয় বের করে দেওয়ার একটা পরীক্ষা। কারণ আমরা দেখি, মুসলিমরা কয়েক প্রজাতির হয়—
১) প্রকৃত মুসলিম: এরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে কুর‘আনের প্রতিটি শব্দ আল্লাহর تعالى বাণী। এখানে কোনোই বিকৃতি হয়নি। এরা কখনই সূরাহ মাসাদ পড়ে সন্দেহে পড়ে যায় না। এরা যদি নাও বুঝে সূরাহ মাসাদ-এর গুরুত্ব কী, তখন এরা ভাবে, “নিশ্চয়ই আল্লাহ تعالى কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এটা দিয়েছেন। তিনি উদ্দেশ্য ছাড়া কোনো কিছু করেন না। আমি এখনও বুঝতে পারছি না উদ্দেশ্যটা কী। যদি সময় নিয়ে পড়াশুনা করি, তাহলে হয়ত বুঝতে পারবো।” এদেরকে অন্য দুই প্রজাতির মুসলিমরা ‘অন্ধ বিশ্বাসী’, ‘গোঁড়া’, ‘আনসফিস্টিকেটেড’ ইত্যাদি বলে ডাকে।
২) নড়বড়ে মুসলিম: এরা নামাজ, রোজা করে, কুর‘আন পড়ে, কিন্তু মনের মধ্যে নানা খটকা। মাঝে মাঝেই তাদের মনে হয়, কুর‘আন মনে হয় না পুরোটা আল্লাহর تعالى বাণী। এখানে মনে হয় রাসুলের عليه السلام কিছু কথা ঢুকে গেছে। অথবা, আগেকার আরবরা মনে হয় কিছু দুই নম্বরি করেছে কুর‘আন সংকলন করার সময়। এরা সূরাহ লাহাব পড়ে মহা দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। তাদের নড়বড়ে ঈমানে ফাটল ধরা শুরু হয়ে যায়।
৩) ভণ্ড মুসলিম, ইসলাম বিদ্বেষী: এরা হচ্ছে মুসলিম বেশভূষাধারি ইসলাম বিদ্বেষী। এদের ভিতরে ইসলামের প্রতি গোপন বিতৃষ্ণা আছে, যা কোনো উপলক্ষ পেলেই বেরিয়ে আসে। এরা কোনোভাবেই বিশ্বাস করে না কুর‘আন অবিকৃত আল্লাহর تعالى বাণী। এরা নিশ্চিত আরবরা দুই নম্বরি করেছে কুর‘আন সংকলন করার সময়, আর রাসুল عليه السلام নিজের সুখ, দুঃখের কথা আল্লাহর تعالى নামে চালিয়ে দিয়েছেন। সূরাহ মাসাদ দেখে খুশিতে এদের দাঁত বের হয়ে যায়, “এইতো পেয়েছি! এই সূরাহ যে রাসুলের নিজের দেওয়া অভিশাপ, এটা তো পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। মেজাজ খারাপ ছিল, কিছু গালাগালি করে সূরাহ নামে চালিয়ে দিয়েছে।”
—এদের কথা বার্তা শুনে মনে হয় বেশ যুক্তিযুক্ত কথা, কিন্তু যারা যুক্তি গঠনের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি জানেন, তারা ধরতে পারেন যে, এদের যুক্তিগুলো আসলে ভুয়া যুক্তি।
আজেক যুগ পাল্টেছে। আজকে মুসলিমরা যদি যুক্তি-তর্কের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতিগুলো না শেখে, ধরতে না পারে কোনগুলো ফ্যালাসি অর্থাৎ ভুয়া-যুক্তি, তাহলে তাদের ঈমানে খুব সহজেই ফাটল ধরিয়ে দেওয়া যায়। এমন সব চ্যালেঞ্জ দেওয়া যায় যে, মুসলিমরা আর এরপরে এক ওয়াক্ত নামাজও মন দিয়ে পড়তে পারবে না। প্রত্যেক মুহূর্তে ভাবতে থাকবে, “আমি কী তাহলে এতদিন ভুল ধর্ম অনুসরণ করেছি?”
এই সূরাহ’য় মানুষের শেখার কী আছে?
দুর্নীতিবাজ চৌধুরী সাহেব যখন তিলাওয়াত করবে, “আবু লাহাবের হাত ধ্বংস হয়ে যাক। সেও ধ্বংস হয়ে যাক। তার ধন-সম্পদ, সন্তান কোনো কিছুই তার কাজে আসবে না। অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান শিখার আগুনে।”— তখন সে নিজেকে আবু লাহাবের জায়গায় বসিয়ে ভাববে, “চৌধুরীর হাত ধ্বংস হয়ে যাক। সেও ধ্বংস হয়ে যাক। তার ধন-সম্পদ, সন্তান কোনো কিছুই তার কাজে আসবে না। অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান শিখার আগুনে।”
এটা তার আত্মা কাঁপিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তার চোখের সামনে বাস্তবতা ফুটে উঠবে যে, অন্যায়ভাবে আত্মসাৎ করা ধন-সম্পত্তি একদিন তার কোনোই কাজে আসবে না। সন্তানগুলোর সাথে ইতিমধ্যেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে। এরা যে শুধুই তার সম্পত্তির জন্য এখনও তার আশেপাশে ঘুরঘুর করছে, সেটা পরিষ্কার। শেষ বয়সে গিয়ে যে এরা তার কোনো কাজে আসবে না, তার আলামত এখনই পাওয়া যাচ্ছে। এরা নিজেদের মত বিদেশে গিয়ে জীবন উপভোগ করবে, আর সে একা ধুঁকে ধুঁকে মরবে। তাহলে কী লাভ এভাবে নিজের জীবন নষ্ট করে? এখনও সময় আছে ভালো হয়ে যাওয়ার। আবু লাহাবের পরিণতি কত ভয়ংকর হয়েছিল, তার অকাট্য প্রমাণ কুর‘আন এবং ইতিহাসে আছে। তার নিজের উচিত এ থেকে শিক্ষা নেওয়া।
আর চৌধুরী সাহেবের দুর্নীতির ভুক্তভোগীরা এই সূরাহ তিলাওয়াত করে মনে শান্তি পাবে যে, আল্লাহ تعالى ন্যায় বিচার করবেনই। চৌধুরী আমাদের যত ক্ষতি করেছে, তার জন্য আল্লাহ تعالى তাকে ধ্বংস করে দেবেন। কঠিন শাস্তি পাবে সে। আল্লাহ تعالى আগেও ইসলামের শত্রুদের চরম কষ্ট দিয়ে দুনিয়া থেকে নিয়ে গেছেন আখিরাতে আরও শাস্তি দেওয়ার জন্য। এখনও তিনি تعالى নিশ্চয়ই করবেন। কুর‘আন সাক্ষী, ইতিহাস সাক্ষী।
“আর হবে তার স্ত্রীও, যে ইন্ধন বহনকারিণী। তার গলায় জড়ানো থাকবে খেজুর-ছালের শক্ত রশি।”
—একজন দুর্নীতিবাজ মানুষকে সাবধান করে, তাকে সৎ পথে ফিরিয়ে আনার জন্য সবচেয়ে কাছের মানুষ হচ্ছে তার স্ত্রী। একজন স্ত্রী প্রতিদিন সুযোগ পায় তার স্বামীকে অন্যায়ের পথ থেকে ফিরিয়ে আনার জন্য। কিন্তু স্ত্রী যদি স্বামীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হয়ে, বরং স্বামীর কামানো কালো টাকা উড়িয়ে জৌলুসের জীবন পার করে, গলায় সোনা, হীরার অলঙ্কার পড়ে ঘুরে বেড়ায়, যত পারে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত থাকে, পাছে স্বামীর সাথে সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়, তাহলে সে নিজেকে আবু লাহাবের স্ত্রীর জায়গায় একবার কল্পনা করুক— “অচিরেই সে দগ্ধ হবে লেলিহান শিখার আগুনে। আর হবে তার স্ত্রীও, যে ইন্ধন বহনকারিণী। তার গলায় জড়ানো থাকবে খেজুর-ছালের শক্ত রশি।”
একবার কল্পনা করুক: তার সোনা, হীরার অলঙ্কার পড়া সুসজ্জিত গলা একদিন খালি হয়ে যাবে, আর সেখানে শক্ত বেড়ি পরিয়ে পশুর মত তাকে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। যেই শয়তানের সাথে সে দুনিয়ার জীবন পার করেছে, তার সাথেই আবার জাহান্নামে চিরজীবন পার করতে হবে।
কুর‘আনে আমরা চার ধরনের পরিবারের উদাহরণ পাই—
১) অসাধারণ নারী, অসাধারণ অভিভাবক — মারিয়াম عليها السلام এবং তার অভিভাবক জাকারিয়া عليه السلام।
২) অসাধারণ নারী, জঘন্য অভিভাবক — ফিরাউনের স্ত্রী আসিয়া এবং তার স্বামী ফিরাউন।
৩) অসাধারণ স্বামী এবং খারাপ স্ত্রী — নবী নূহ عليه السلام এবং তার স্ত্রী।
৪) জঘন্য স্বামী এবং জঘন্য স্ত্রী — আবু লাহাব এবং তার স্ত্রী।
সূরাহ মাসাদ-এ হচ্ছে সবচেয়ে জঘন্য জোড়ার উদাহরণ এবং তাদের পরিণতি দেওয়া হয়েছে। আজকে বহু মুসলিম পরিবারে এই ধরনের জোড়া দেখা যায়। স্বামী দুর্নীতিবাজ, আর স্ত্রী আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবের পরিবারে দিনরাত আগুন লাগিয়ে বেড়ায়। সূরাহ মাসাদ এই ধরনের মানুষদের জন্য সাবধান বাণী।
[১] বাইয়িনাহ এর কু’রআনের তাফসীর। [২] ম্যাসেজ অফ দা কু’রআন — মুহাম্মাদ আসাদ। [৩] তাফহিমুল কু’রআন — মাওলানা মাওদুদি। [৪] মা’রিফুল কু’রআন — মুফতি শাফি উসমানী। [৫] মুহাম্মাদ মোহার আলি — A Word for Word Meaning of The Quran [৬] সৈয়দ কুতব — In the Shade of the Quran [৭] তাদাব্বুরে কু’রআন – আমিন আহসান ইসলাহি। [৮] তাফসিরে তাওযীহুল কু’রআন — মুফতি তাক্বি উসমানী। [৯] বায়ান আল কু’রআন — ড: ইসরার আহমেদ। [১০] তাফসীর উল কু’রআন — মাওলানা আব্দুল মাজিদ দারিয়াবাদি [১১] কু’রআন তাফসীর — আব্দুর রাহিম আস-সারানবি [১২] আত-তাবারি-এর তাফসীরের অনুবাদ। [১৩] তাফসির ইবন আব্বাস। [১৪] তাফসির আল কুরতুবি। [১৫] তাফসির আল জালালাইন। [১৬] লুঘাতুল কুরআন — গুলাম আহমেদ পারভেজ। [১৭] তাফসীর আহসানুল বায়ান — ইসলামিক সেন্টার, আল-মাজমাআহ, সউদি আরব [১৮] কু’রআনুল কারীম – বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর — বাদশাহ ফাহাদ কু’রআন মুদ্রণ কমপ্লেক্স। [১৯] তাফসির আল-কাবির। [২০] তাফসির আল-কাশ্শাফ।
মা-শা-আল্লাহ, চমৎকার যুগোপযুগী বিশ্লেষণ। জাযাকাল্লাহু খাইরা।
Ma SA Allah…..
Jajakallah Khair…..
অসাধারন যুক্তি… চালিয়ে যান, আমরা পাসে আছি সবসময়??
মারহাবা।
আলহামদুলিল্লাহ, সুন্দর লেখনি। দোয়া করি এভাবেই কুরআনের শিক্ষা আমাদের মাঝে ছড়িয়ে দিন মহান আল্লাহর ইচ্ছায়।
সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লহ! সুবহানাল্লাহ!
অসাধারণ পর্যালোচনা।
এই সুরার বিরোদ্ধে এতবড় অভিযোগ ছিল, তা জানাই ছিল না।
উত্তর তো দূরের কথা।
জাযাকাল্লাহু খাইরা ফিদ্দুনীয়া ওয়াল আখিরাহ