চৌধুরী সাহেব একজন স্বঘোষিত নাস্তিক। তিনি একসময় কু’রআনের ‘ভুল’ নিয়ে অনেক লেখালেখি করেছেন। নবীদেরকে عليه السلام নিয়ে অনেক অপমানজনক কৌতুক করেছেন। তাদেরকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে, মানুষকে সস্তা আনন্দ দেওয়া এবং ফেইসবুকে লাইক পাওয়ার জন্য অনেক উক্তি দিয়েছেন। কিন্তু একসময় গিয়ে চৌধুরী সাহেব বুঝতে পারলেন: তার যুক্তি এবং চিন্তা ভাবনায় বেশ কিছু ভুল আছে। তিনি কু’রআন নিয়ে যতই পড়াশুনা করেন, ততই ধাক্কা খান। তিনি এখন আর আগের মতো “কু’রআন মানুষের বানানো বই”, “স্রস্টা বলে আসলে কেউ নেই”, “নবীরা সব মানসিক ভারসাম্যহীন হেলুসিনেশনে ভোগা মানুষ” — এইসব উলটোপালটা কথা নিজেকে ঠিক আর মানাতে পারছেন না। কিন্তু সমস্যা হলো তিনি যদি তার কথাবার্তা এবং লেখায় এইসব প্রকাশ করে ফেলেন, তাহলে সর্বনাশ হয়ে যাবে। তার নাস্তিক বন্ধুরা, যাদের সাথে তিনি ওঠা বসা করেন, যারা তাকে তার ‘জ্ঞানের’ জন্য অনেক সন্মান করে, যারা তার কথা শোনার জন্য তাকে রেস্টুরেন্টে নিয়ে ফ্রি কফি খাওয়ায় —তারা তখন তাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা শুরু করবে। ফেইসবুকে তার এত বিখ্যাত একাউন্ট, তিন হাজার মুরিদ (ফলোয়ার) তাকে থুথু দিবে। না, এটা কোনোভাবেই হতে দেওয়া যাবে না। তিনি নিজেকে বোঝান: “না! আমি দুর্বল হয়ে যাচ্ছি। কু’রআন সম্পর্কে কিছু ভালো ভালো কথা পড়ে আমি আমার অবস্থান থেকে নড়তে পারি না। আজকে থেকে এই সব বই পড়া বন্ধ। রিচারড ডকিন্স, এন্থনি ফ্লিউ, রবার্ট ব্রাউন এদের বই আবার রিভিশন দিতে হবে। মনের জোর ফিরে পাওয়া দরকার।”
এই ধরনের চরম অবাধ্যদের সম্পর্কে আল্লাহ تعالى বলেছেন—
আমি অবশ্যই তোমাকে একদম পরিষ্কার বাণী দিয়েছিলাম। একমাত্র চরম অবাধ্যরাই এটা অস্বীকার করবে। [আল-বাক্বারাহ ৯৯]