সুরা আল-বাক্বারাহতে আল্লাহ تعالى আমাদেরকে তৃতীয় বারের মতো ভালো এবং পবিত্র খাবার খাওয়ার নির্দেশ দিলেন—
তোমরা যারা বিশ্বাস করেছ, ভালো এবং পবিত্রগুলো গ্রহণ করো, যা আমি তোমাদেরকে সংস্থান হিসেবে দিয়েছি। আর আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও, যদি তোমরা শুধু তাঁরই ইবাদত করো। [আল-বাক্বারাহ ১৭২]
এর আগে ৫৭তম এবং ১৬৮তম আয়াতেও তিনি আমাদেরকে বলেছেন হালাল এবং তাইয়িব (ভালো এবং পবিত্র) খাবার খেতে। একই সুরায় তিন তিনবার আমাদেরকে মনে করিয়ে দেওয়া থেকে সহজেই বোঝা যায়, ভালো এবং পবিত্র খাবার খাওয়াটা আল্লাহর تعالى কাছে কত গুরুত্ব রাখে। কুর’আনে কোনো কিছু তিনি একবার আদেশ করলেই যথেষ্ট। যেমন তিনি কুর’আনে মাত্র একবার আদেশ করেছেন রোজা রাখতে। মুসলিমদের মধ্যে রোজা রাখতে আগ্রহের কোনো কমতি নেই। যেই বান্দা বছরে কোনো দিন নামাজ পড়ে না, সেও রমজানে ৩০ দিন রোজা রাখে। অথচ কুর’আনে কমপক্ষে তিনবার ভালো, এবং পবিত্র খাবার খেতে বলার পরেও অনেক মুসলিমই সেই নির্দেশ প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে যায়। আল্লাহ تعالى জানেন কোন ব্যাপারগুলোতে আমরা সাবধান হবো না। সেই ব্যাপারগুলো একারণেই তিনি বার বার মনে করিয়ে দেন।
যেমন: আল্লাহ تعالى আমাদেরকে প্রকৃতিতে হাজার রকমের পানীয় দিয়েছেন—ডাবের পানি, তালের রস, আখের রস; আপেল-কমলা-আঙ্গুরসহ শত ফলের জুস; গ্রিন-টি, হারবাল-টিসহ শত ধরণের স্বাদের চা, কফি—কিন্তু তারপরেও ক্ষতিকর সফট ড্রিঙ্কস, ফ্রুটজুস, বিয়ার, হুইস্কি পান করার জন্য আমাদের অন্তর খাঁ খাঁ করতে থাকে। প্রকৃতিতে কয়েক হাজার রকমের স্বাস্থ্যকর, সুস্বাদু পানীয় পেয়েও আমাদের মন ভরে না। প্রকৃতিতে পাওয়া স্বাস্থ্যকর ফলগুলোকে বিকৃত করে, গাঁজিয়ে, বেশি করে চিনি এবং কেমিক্যাল দিয়ে বিষাক্ত কক্টেইল বানিয়ে, তারপর রঙ মিশিয়ে রঙ্গিন করে পান করে আমাদের মন ভরাতে হয়। (আর্টিকেলের বাকিটুকু পড়ুন)