যখন আল্লাহর সহযোগিতা এবং সেই বিজয় আসবে, আর তুমি দেখবে মানুষ দলে দলে আল্লাহর দীনে প্রবেশ করছে, তখন তুমি প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা ভরে তোমার রবের পবিত্রতা ঘোষণা করবে, আর তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবে। তিনি অবশ্যই বার বার ক্ষমা করেন। [আন-নসর]
একটি সামরিক বাহিনী যখন কোনো যুদ্ধে বিজয়ী হয়, তাদের প্রথম কাজ হয় বিজয় উল্লাস। এই উল্লাসে তারা নানা ধরনের অশ্লীল কাজ করে। মদ, বিনোদনে গা ভাসিয়ে দেয়। অন্যায়ভাবে জমি দখল শুরু হয়। পরাজিত মানুষগুলোর সম্পত্তি কেড়ে নিয়ে তাদের পথে বসিয়ে দেয়, হয় দাস বানিয়ে ফেলে, না হয় খুন করে ফেলে। বিশেষ করে পরাজিত পক্ষের নেতাদের এবং তাদের পরিবারগুলোর পরিণতি হয় ভয়ংকর। কিন্তু ইতিহাসে এমন এক বিজয়ের ঘটনা আছে, যেদিন জয়ী হওয়া সামরিক বাহিনী কোনো ধরনের উল্লাস করা তো দূরের কথা, কোনো বিনোদন, বিজয় অনুষ্ঠান, মদের আসর কিছুই করেনি এবং তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও সেই দিনটির স্মরণে প্রতিবছর বিজয় দিবস পালন করে না। সেই বিজয়ী বাহিনী সেদিন বিনীতভাবে এলাকায় প্রবেশ করেছে, নামাজ পড়েছে, তারপর পরাজিত মানুষগুলোকে ডেকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কোনো ধরনের আগ্রাসী আচরণ, জমি দখল, বা নারীদের সাথে অন্যায়ের তো প্রশ্নই আসেনা। ইতিহাসে এরকম বিজয়ের ঘটনা আর নেই। এই বিজয় ছিল মক্কা বিজয়। সুরা আন-নসর এই বিজয়ের আগাম ভবিষ্যৎ বাণী।
যখন আল্লাহর সহযোগিতা এবং সেই বিজয় আসবে…
তখন মুসলিমরা কী করবে? বিজয় উল্লাস করবে? একে অন্যের পিঠ চাপড়াবে? নিজেদেরকে সোনার পদক, বীরউত্তম উপাধি দেবে? লম্বা ছুটি কাটাতে বিদেশে বেড়াতে যাবে? না—
তখন তুমি প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা ভরে তোমার রবের পবিত্রতা ঘোষণা করবে, আর তাঁর কাছে ক্ষমা চাইবে।
যুদ্ধ মানুষের জীবনে সবচেয়ে কঠিন অভিজ্ঞতা। যুদ্ধে মানুষ নিজের সহায় সম্পত্তি হারায়। বন্ধু, আত্মীয়, নিজের বাবা-মা, সন্তানদেরকে চোখের সামনে শত্রুর হাতে খুন হতে দেখে। নিজে বহুবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে একটুর জন্য বেঁচে ফিরে আসে। প্রচণ্ড গরমে দিনের পর দিন অত্যন্ত কঠিন শারীরিক পরিশ্রম করে। কিন্তু এত কষ্ট, এত ত্যাগ স্বীকার করে শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হওয়ার পর কোনো উৎসব করা তো দূরের কথা, বরং আল্লাহ تعالى এই সূরাহ’য় বলছেন যে, তাঁর কাছে বেশি করে ক্ষমা চাইতে। বিজয় যে কখনই মানুষের অর্জন নয়, বরং আল্লাহর تعالى অনুমতি এবং সাহায্যর কারণেই হয়, তা এই সূরাহ’য় স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে। মুসলিম বাহিনীর কেউ যেন কখনও মনে না করে যে, সে নিজে বিরাট কিছু অর্জন করে ফেলেছে। বরং বিজয়ের পুরো কৃতিত্ব আল্লাহর تعالى। তিনি মুসলিমদেরকে আগাম জানিয়ে দিচ্ছেন যে, তাদের বিজয় হবেই এবং যখন তারা বিজয়ী হবে, তখন যেন তারা আরও বেশি করে আল্লাহর تعالى প্রশংসা করে। তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ হয়। তিনি কত মহান, তা বেশি করে আলোচনা করে। তাঁর কাছে বেশি বেশি করে ক্ষমা চায়। কারণ তিনি تعالى বার বার ক্ষমা করেন।
বিপুল ত্যাগ-তিতিক্ষা করে বিজয়ী হওয়া একটি বাহিনীকে আল্লাহ تعالى এতখানি বিনয় শিক্ষা দিচ্ছেন। তাহলে আমরা যারা কোনো ধরনের যুদ্ধ না করে, অন্যায় অত্যাচার সহ্য না করে, জন্ম থেকে মুসলিম হয়ে বহাল তবিয়তে জীবন পার করছি, তাদের আল্লাহর تعالى প্রতি কতখানি কৃতজ্ঞতা দেখানো উচিত? প্রতিদিন করা শত পাপের জন্য কতবার তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত? আমরা তো কিছুই করিনি মুসলিম হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করার জন্য। আমরা কিছুই করিনি ইসলামের বিজয়ের জন্য। আজকে যে পৃথিবীতে ইসলাম ছড়িয়ে পড়ছে, তার জন্য আমাদের বিন্দুমাত্র অবদান নেই। আমরা আজকে শুধুই ঘরে বসে ইসলাম উপভোগ করছি, আর ইসলাম এত কঠিন কেন এই অভিযোগ করছি। ইসলামের কোনো দায়িত্ব পালনে নিজের কিছু ত্যাগ করার দরকার পড়লে, সেটা তখন কীভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়া যায়, তার সুযোগ খুঁজছি। অন্য কেউ ইসলামের জন্য নিজের ক্যারিয়ার, সম্মান, সম্পত্তি ত্যাগ করলে তাকে বোকা বলে পরিহাস করছি। আল্লাহ تعالى আমাদের উপর কত বড় অনুগ্রহ করেছেন, সেটার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া তো দূরের কথা, আমরা অনেকেই কোনোদিন চিন্তাও করে দেখিনি কত সৌভাগ্যবান আমরা।
সূরাহ নসর-এ আল্লাহ تعالى আমাদেরকে এক বিরাট শিক্ষা দিয়েছেন—আমরা কোনোদিন যেন আমাদের কোনো ইবাদাত, কোনো ইসলামি উদ্যোগ, এমনকি ইসলামের জন্য সারা জীবনের কোনো ত্যাগকেও বড় কোনো অর্জন মনে না করি। আমাদের সন্তান ইসলামের জন্য কোনো বড় কাজ করলেও যেন তা নিয়ে গর্ব না করি। আমরা যেন সব সময় মাথায় রাখি যে, আমাদের যা করা উচিত ছিল, যা করার সামর্থ্য ছিল, তার যথার্থ ব্যবহার আমরা করিনি। তাই যখন আমরা কোনো ইসলামি কাজে সফল হই, মানুষের বাহবা পাই, তখন যেন আমরা মনে না করি যে, সেটা আমাদের নিজের কোনো অর্জন। বরং সবসময় যেন মাথায় রাখি যে, আল্লাহর تعالى অনুগ্রহ এবং অনুমতির কারণেই সেটা হয়েছে। তখন আমাদের একটাই কাজ, আল্লাহর تعالى সামনে মাথা নত করে তাঁর প্রশংসা করা, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, আর আরও কতকিছু করতে পারতাম কিন্তু করিনি, কত ভালভাবে করতে পারতাম, কিন্তু যথেষ্ট চেষ্টা করিনি —তার জন্য আল্লাহর تعالى কাছে বার বার ক্ষমা চাওয়া।[৩]
এই হচ্ছে আজকের যুগের মুসলিমদের জন্য সূরাহ নসর-এর শিক্ষা। প্রথম প্রজন্মের মুসলিমদের জন্য এটা ছিল এক ভবিষ্যৎবাণী এবং আগামীতে কী করতে হবে তার নির্দেশ। আর পরের সব প্রজন্মের মুসলিমদের জন্য এটা হচ্ছে এক গভীর উপলব্ধি। আমরা যখনি এই সূরাহ তিলাওয়াত করবো, তখনি নিজেকে মনে করিয়ে দেব যে, ইসলামের জন্য আমি যা করেছি এবং করছি তা কত তুচ্ছ। আমার অবদান কতই নগণ্য। অথচ আল্লাহ تعالى আমার উপরে কতখানি অনুগ্রহ করেছেন। তখন আমরা বিনয়ে আল্লাহর تعالى প্রতি নত হয়ে যাবো, তাঁর কাছে আমাদের প্রতিদিনের পাপের জন্য বার বার ক্ষমা চাইবো। কারণ আল্লাহ تعالى সূরাহটি শেষ করেছেন আশার বাণী দিয়ে —তিনি تعالى বার বার ক্ষমা করেন। কখনই যেন আমরা মনে না করি যে, অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর মাফ চেয়ে লাভ নেই। এত এত পাপ, আল্লাহ কখনই ক্ষমা করবেন না। যদি এরকম ভাবি, তাহলে কুর‘আন-এর বাণীকে অপমান করা হবে, কারণ আল্লাহ تعالى কুর‘আনে কয়েকবার বলেছেন, তিনি তাওয়াব, অর্থাৎ তিনি বার বার তাওবাহর দরখাস্ত গ্রহণ করেন।
নড়বড়ে মুসলিম এবং বিশেষ করে প্রাক্তন মুসলিমদের প্রায়শই একটা কথা বলতে শোনা যায়, “কুর‘আন ভর্তি হচ্ছে আগের আমলের কথাবার্তা। এগুলোর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কী? কুর‘আন না সব যুগের মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক? আমি তো এই সূরাহ’য় এই যুগের মানুষের জন্য কাজের কিছু আছে বলে দেখতে পাচ্ছি না।” —এদের সমস্যা হচ্ছে চিন্তাশক্তির অগভীরতা। সময় নিয়ে চিন্তা করলেই তারা দেখতে পারবে সূরাহ আন-নসর এর মত সূরাহগুলোতে, যেগুলোকে আপতত দৃষ্টিতে মনে হয় শুধুই আগের প্রজন্মের মুসলিমদের জন্য দেওয়া বাণী, সেগুলোতে সব যুগের মুসলিমদের জন্য কত উপলব্ধির ব্যাপার রয়েছে।
ভাষাতাত্ত্বিক উল্লেখযোগ্য তথ্য
ইযা জা’আ নাস্রুল্লাহ — إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّـهِ — যখন আল্লাহর تعالى সাহায্য আসবে। জা’আ جَاءَ দিয়ে একটা বিরাট কিছু আসা বোঝানো হয়েছে। এবং সেটাকে আরও বড় করে তোলা হয়েছে নাস্রুল্লাহ দিয়ে, অর্থাৎ আল্লাহর সাহায্য। এটা কোনো ছোট খাট ব্যাপার নয়। যখন বিশ্বজগতের সৃষ্টিকর্তা, সর্বশক্তিমান সত্তা তাঁর অকল্পনীয় ক্ষমতা দিয়ে মানব জাতিকে কোনো সাহায্য করেন, সেটা একটা বিরাট ব্যাপার। সেই সাহায্যের ফলাফল যে সফলতা হবে, সেটা নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। আজকে আমরা পশ্চিমা শক্তিদের কাছে প্রতিরক্ষা, সাহায্য চাই। কিন্তু দেখা যায় পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের সামরিক বাহিনী তাদের সর্বাধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে অংশ নেওয়ার পরেও যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ফিরে আসে। তাদের প্রতিরক্ষা, প্রযুক্তি বিজয় এনে দিতে পারে না। কিন্তু যখন স্রস্টা তাঁর কোনো সৃষ্টিকে সাহায্য করেন, সেই সাহায্য বিফল হওয়ার কোনোই সম্ভাবনা নেই। মানুষ নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে যে, খোদ আল্লাহর تعالى সাহায্য যখন আসবে, তখন দুনিয়ার কোনো শক্তি নেই যে, তাকে আটকে রাখতে পারবে।
কুর‘আনে সাহায্যের জন্য ৯টি শব্দ রয়েছে—
১.আআ’না (اعان): কাউকে কোনো কাজে সহযোগিতা করা, যেকোনো ধরনের সাহায্য।
২. নাসারা (نصر): কাউকে অন্যায়, অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা দেওয়া, কঠিন পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে সাহায্য করা, প্রতিপক্ষকে পরাজিত করতে সহযোগিতা করা।
৩. আয়য়াদা (أيد): কাউকে শক্তিশালি করে দেওয়া।
৪. আযযারা (عزر): কাউকে শ্রদ্ধা বশত সহযোগিতা করা।
৫. আযযাযা (عزز): কারও দুর্বলতা অতিক্রম করতে সহযোগিতা করা।
৬. যাহারা (ظاهر): কাউকে পেছন থেকে শক্তি জোগানো।
৭. রাফাদা (رفد): গরিব কাউকে দানের মাধ্যমে সাহায্য করা।
৮. রাদাআ (ردأ): সবসময় কাউকে সাহায্য করা, যেমন কারও অভিভাবক হয়ে যাওয়া।
৯. আমাদ্দা (أمد): কোনো কিছু বাড়িয়ে দেওয়া, যেমন সম্পত্তি সন্তান বাড়িয়ে দিয়ে শক্তি জোগানো।
এখানে আল্লাহ تعالى নসর ব্যবহার করেছেন কারণ তখনকার পরিস্থিতিতে মুসলিমদের দরকার ছিল নসর, আর অন্য কোনো ধরনের সাহায্য নয়। কাফিরদের অন্যায়, অত্যাচার থেকে মুক্তি পেয়ে বিজয়ী হওয়ার জন্য ঠিক যে ধরনের সাহায্য দরকার ছিল, সেটা ছিল নসর। এই একটি শব্দ ব্যবহার করেই আল্লাহ تعالى তখনকার যুগের মুসলিমদের আশ্বস্ত করে দিয়েছিলেন যে, তাদের উপর যত অন্যায়, অত্যাচার চলছে, তা শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে এবং তারা বিজয়ী হবে।
ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা — فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ — তুমি প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা ভরে তোমার রবের পবিত্রতা ঘোষণা করবে। সাব্বাহাকে সাধারণ ভাষায় অনুবাদ করা হয়ে ‘পবিত্রতা ঘোষণা করা’। যেমন, سُبْحَانَكَ (সুবহানাকা) যার বাংলা সাধারণত করা হয়, “আপনি পবিত্র।” “সুবহান আল্লাহ”—কে বাংলায় বলা হয়, “আল্লাহ মহা পবিত্র।” সুবহান আল্লাহ শব্দটির আসলে অর্থ হচ্ছে, আল্লাহর تعالى কোনো ত্রুটি, অসম্পূর্ণতা, সীমাবদ্ধতা নেই। মানুষের যে সব ত্রুটির ধারণা আছে, সৃষ্টির মধ্যে যেসব নিন্দনীয় ব্যাপার আছে, যে অসম্পূর্ণতা আছে—তার সব থেকে আল্লাহ تعالى সম্পূর্ণ মুক্ত।[৭]
অনেক সময় উপমহাদেশীয় মুসলিমরা আরব দেশে গিয়ে যখন দেখেন, আরবরা কোনো খারাপ ঘটনা শুনে বা আপত্তিকর কিছু দেখে “সুবহান আল্লাহ!” বলছেন, তখন তারা অবাক হয়ে ভাবেন, “আরে! আমরা তো সুবহান আল্লাহ বলি যখন সুন্দর কিছু দেখি। এরা তো দেখি উলটো কাজ করছে!” আসলে “সুবহান আল্লাহ” আমাদের তখনই বলা উচিত, যখন আমরা এমন কিছু দেখি, শুনি বা ভাবি, যা আল্লাহর تعالى মর্যাদার সাথে মানায় না। তখন আমরা “সুবহান আল্লাহ” বলে নিজেকে মনে করিয়ে দেই যে, আল্লাহ تعالى এই সব কিছুর ঊর্ধ্বে, তিনি এসব কিছু থেকে মুক্ত। একারণেই আমরা সিজদায় মাথা নত করে আল্লাহকে تعالى বলি, “ও আল্লাহ! আপনি সব ত্রুটি মুক্ত। আপনি সব সীমাবদ্ধতার উর্ধে। আপনি সবার উপরে। আমাদের অনেক ত্রুটি, অনেক সীমাবদ্ধতা।”
[১] বাইয়িনাহ এর কু’রআনের তাফসীর। [২] ম্যাসেজ অফ দা কু’রআন — মুহাম্মাদ আসাদ। [৩] তাফহিমুল কু’রআন — মাওলানা মাওদুদি। [৪] মা’রিফুল কু’রআন — মুফতি শাফি উসমানী। [৫] মুহাম্মাদ মোহার আলি — A Word for Word Meaning of The Quran [৬] সৈয়দ কুতব — In the Shade of the Quran [৭] তাদাব্বুরে কু’রআন – আমিন আহসান ইসলাহি। [৮] তাফসিরে তাওযীহুল কু’রআন — মুফতি তাক্বি উসমানী। [৯] বায়ান আল কু’রআন — ড: ইসরার আহমেদ। [১০] তাফসীর উল কু’রআন — মাওলানা আব্দুল মাজিদ দারিয়াবাদি [১১] কু’রআন তাফসীর — আব্দুর রাহিম আস-সারানবি [১২] আত-তাবারি-এর তাফসীরের অনুবাদ। [১৩] তাফসির ইবন আব্বাস। [১৪] তাফসির আল কুরতুবি। [১৫] তাফসির আল জালালাইন। [১৬] লুঘাতুল কুরআন — গুলাম আহমেদ পারভেজ। [১৭] তাফসীর আহসানুল বায়ান — ইসলামিক সেন্টার, আল-মাজমাআহ, সউদি আরব [১৮] কু’রআনুল কারীম – বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তাফসীর — বাদশাহ ফাহাদ কু’রআন মুদ্রণ কমপ্লেক্স। [১৯] তাফসির আল-কাবির। [২০] তাফসির আল-কাশ্শাফ।
সুরা নছর এপস এ দেখা যাচ্ছে না
ধন্যবাদ, দিলাম