কুরআনের কথা

কু’রআনে কী ধরনের বৈজ্ঞানিক তথ্য আছে?

যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে নিখুঁত করেছেন এবং মানবজাতির সৃষ্টির সূচনা করেছিলেন পানিসিক্ত অজৈব পদার্থ (কাঁদা) থেকে। (৩২:৭)

কু’রআনে পৃথিবী, সৌরজগত, মহাবিশ্ব এবং সৃষ্টির সূচনার যে বর্ণনা দেওয়া আছে, তার সম্পর্কে ১৪০০ বছর আগে মানুষের কোনোই ধারণা ছিল না। কু’রআন এমন একটি সময়ে প্রকাশ করা হয়েছে, যখন কোনো পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, মহাকাশ বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান— এসব কিছুই ছিল না। মানুষ মনে করতো: পৃথিবী হচ্ছে একমাত্র জগত এবং আকাশ হচ্ছে পৃথিবীর ছাদ, যেখানে চাঁদ, সূর্য, নক্ষত্র ভেসে বেড়াচ্ছে এবং রাতের বেলা সূর্য পৃথিবীর নিচে গিয়ে বিশ্রাম নেয় (গ্রীক হেলিওসেন্ট্রিসম)। অথচ কু’রআন, যা কি না ৬১০-৬৩২ খ্রিস্টাব্দে নাজিল হয়েছে: এখন থেকে ১৪০০ বছর আগে এমন কিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য প্রকাশ করেছে, যা শুধুমাত্র সাম্প্রতিক বিজ্ঞানই সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করতে পেরেছে। কু’রআনে যে শত শত বৈজ্ঞানিক তথ্যের ইংগিতে ভরা আয়াত পাওয়া গেছে, তা সব একসাথে করতে গেলে একটা বই লিখতে হবে। তাই আমি কিছু চমকপ্রদ আয়াত এবং সেগুলোতে কী ধরনের বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক, গাণিতিক তথ্যর ইংগিত পাওয়া গেছে— তা তুলে ধরলাম। বিস্তারিত জানতে www.quranandscience.comquranmiracles.com দেখুন।

সৃষ্টি তত্ত্ব

মহাকাশ বিজ্ঞান

পদার্থ বিজ্ঞান

আবহাওয়া বিজ্ঞান

জীব বিজ্ঞান

চিকিৎসা বিজ্ঞান

ভূতত্ত্ব/ইতিহাস

গাণিতিক তথ্য

এরকম অনেকগুলো সমার্থক এবং বিপরীতার্থক শব্দ কু’রআনে ঠিক একই সংখ্যক বার আছে। এতগুলো গাণিতিক সামঞ্জস্য বজায় রেখে সাড়ে ছয় হাজার বাক্যের একটি গ্রন্থ যিনি তৈরি করেন, তিনি নিঃসন্দেহে এক মহান গণিতবিদ, যিনি মানুষকে গণিতের প্রতি মনোযোগ দেবার জন্য যথেষ্ট ইংগিত দিয়েছেন। আমরা যদি গণিতের প্রতি মনোযোগ না দিতাম, বিজ্ঞান বেশিদূর আগাত না, কম্পিউটার তৈরি হতো না,  কোনোদিন জানতে পারতাম না আল্লাহর সৃষ্ট এই পৃথিবীর এবং মহাকাশের এত সব চমকপ্রদ তথ্য। কু’রআনের শত শত আয়াতের মাঝে যে কত অসাধারণ তথ্য লুকিয়ে আছে, তা কোনোদিন জানতে পারতাম না।

কীভাবে দিন, মাস, ভুমি ও পানির অনুপাত ইত্যাদি গোণা হয়েছে, তা বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

বিঃদ্রঃ প্রচলিত বাংলা অনুবাদগুলোতে এমন সব বাংলা শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা পড়লে আপনার কাছে কোনোভাবেই মনে হবে না যে, আয়াতগুলোতে কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য আছে। যেমন: মৌমাছি এবং পিপড়ার বেলায় যে আল্লাহ স্ত্রী লিঙ্গ ব্যবহার করেছেন, তা বেশিরভাগ অনুবাদকই লক্ষ্য করেননি। আবার যেমন আল্লাহ “সবকিছু” (“সবাইকে” নয়) জোড়ায় তৈরি করেছেন, জীব নয়, জড় পদার্থকে (ম্যাটার – এন্টি ম্যাটার), সেটা তারা লক্ষ্য করেননি। মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে “কাঁদা” থেকে যেখানে কাঁদা হচ্ছে পানিসিক্ত মাটি এবং আদি মাটি ছিল অজৈব পদার্থের মিশ্রণ, সুতরাং কাঁদা মানে হচ্ছে ‘পানিসিক্ত অজৈব পদার্থ।’

বাংলা অনুবাদকেরা এই খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলো লক্ষ্য করেননি যে, বিশেষ কিছু আরবি শব্দের যে অর্থগুলো তাদের কাছে অপ্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে সেগুলোই সঠিক, তা তাদের সীমিত বৈজ্ঞানিক জ্ঞান অনুসারে যতই অবাস্তব মনে হোক না কেন। তাই পাঠকদেরকে অনুরোধ করবো: সাম্প্রতিক ইংরেজি অনুবাদগুলো পড়তে, বিশেষ করে অক্সফোর্ড থেকে প্রকাশিত প্রফেসর আব্দেল হালিমের অনুবাদ, যেখানে উপরোক্ত আয়াতগুলোর সঠিক অনুবাদ করা হয়েছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হলো: কু’রআনের ভাষা কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধের ভাষা নয়, কারণ এটি কোনো বৈজ্ঞানিক রিসার্চ পেপার নয়। মানুষ যেভাবে চোখে দেখে, কানে শুনে, ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করে, আল্লাহ কু’রআনে সেই পরিপ্রেক্ষিতে বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো প্রকাশ করেছেন। তাই যারা কু’রআনের বর্ণনাগুলোকে বৈজ্ঞানিক ভাষার মাপকাঠিতে যাচাই করতে যাবেন, তারা ভুল করবেন। আল্লাহ কু’রআনে এমন সব শব্দ ব্যবহার করেছেন, যেগুলো ১৪০০ বছর আগে বিজ্ঞান সম্পর্কে কোনোই ধারণা নেই এমন মানুষরাও বুঝতে পারবে এবং একই সাথে বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানীরাও সেই শব্দগুলোকে ভুল বা অনুপযুক্ত বলে দাবি করতে পারবে না।

নিশ্চয়ই আকাশগুলো এবং পৃথিবীর সৃষ্টি, এবং দিন-রাতের আবর্তনে বুদ্ধিমানদের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে। (৩:১৯০)

আসুন আমরা কু’রআনের ভাষায় বুদ্ধিমানদের একজন হওয়ার চেষ্টা করি।

নতুন আর্টিকেল বের হলে জানতে চাইলে কু’রআনের কথা ফেইসবুক পেইজে লাইক করে রাখুন—

Exit mobile version