কুরআনের কথা

তারা আল্লাহর বাণী শুনত, তারপর তা পরিবর্তন করে দিত — আল-বাক্বারাহ ৭৫-৭৬

ধর্ম হচ্ছে একমাত্র হাতিয়ার: যা ব্যবহার করে লক্ষ লক্ষ মানুষকে দিয়ে কোনো প্রশ্ন না করিয়ে বড় কোনো উদ্দেশ্যে কাজ করানো যায়। কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন করা দরকার? কিছু খ্যাতনামা আলেমকে হাত করে, তাদেরকে দিয়ে কিছু ভুয়া হাদিস বানিয়ে, ফতোয়া জারি করে দিন। লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রেমী বান্দা ঝাঁপিয়ে পড়বে উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে। কোনো অর্থনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করা দরকার? একটি মাজার খুলে মোটাসোটা নূরানি চেহারার দেখতে একটা লোককে ভাড়া করে এনে, তার নামে গ্রামে-গঞ্জে নানা অলৌকিক কাহিনী প্রচার করে দিন। তারপর একজন রসায়নবিদ ভাড়া করে কিছু কেমিক্যাল ব্যবহার করে সবার সামনে কিছু চমৎকার ‘জাদু’ দেখিয়ে দিন। হাজার হাজার মানুষ সরল মনে সেই মাজারের মুরিদ হয়ে, নিয়মিত এসে লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে যাবে।

ধর্ম ব্যবহার করে একদম প্রথম ‘ইসলামিক’ রাজবংশ উমাইয়া[১৬৫] থেকে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর মুসলিম সম্রাটরা পর্যন্ত ব্যাপক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করে গেছেন[১৬৭]। আর নিরক্ষর, মূর্খ মুসলিমরা কু’রআন-হাদিস নিজেরা না পড়ে, আল্লাহ تعالى প্রদত্ত মস্তিস্কটা ব্যবহার না করে, সেই রাজনৈতিক নেতাদের হাতের পুতুল হয়ে এমন সব কাজ করে গেছেন, যা ধর্ম হিসেবে ইসলামের ব্যাপক বদনাম করে দিয়েছে। আজকের যুগেও রাজনীতি এবং ফিকহ শাস্ত্রে অনভিজ্ঞ ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার একটা বিরাট অংশকে একদল ঝানু, দুর্নীতিগ্রস্থ রাজনীতিবিদ-আলেম হাত করে রেখেছে কু’রআন এবং হাদিসের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ব্যাখ্যা করে। অনেক সৎ, সাহসী আলেম কলম তুলে ধরেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে। তারপর সেই আলেমদের অনেকেই হয় জেলে গেছেন, চরম অত্যাচারের শিকার হয়েছেন (যেমন, ইবন তাইমিয়া[১৬৬], প্রধান চার মাযহাবের ইমামরা), না হয় তাদেরকে গুম করে ফেলা হয়েছে।

তোমরা কি অনেক আশা করো যে, তারা তোমাদের সমর্থনের জন্য বিশ্বাস করবে, যখন তাদের মধ্যে কিছু লোক আল্লাহর বাণী শুনত, তারপর তারা তা ভালো করে বোঝার পরেও তা বিকৃত করত? এবং তারা নিজেরা সেই ঘটনা জানতোও? [আল-বাক্বারাহ ৭৫]

লোকমুখে প্রচলিত হাজার হাজার জাল হাদিসকে আজকাল আমরা ধর্মের অংশ বলে মানা শুরু করে দিয়েছি। এই জাল হাদিসগুলো যে ইসলাম সম্পর্কে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, এমন মানুষরাই শুধু প্রচার করে যাচ্ছে তা নয়, এমনকি কিছু মসজিদের অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেওয়া ইমাম, বিভিন্ন ওয়াজ-মাহফিলে আসা কিছু ‘আলেমকেও’ দেখবেন সেই হাদিসগুলোর সত্যতা যাচাই না করে ব্যাপকহারে প্রচার করে যাচ্ছেন। এই প্রচার কাজ জনপ্রিয় কিছু টিভি চ্যানেলগুলিতেও হয়ে থাকে। এরকম বহুল প্রচলিত কয়েকটি জাল হাদিস এবং যে সব হাদিস বিশারদ তাদেরকে জাল প্রমাণ করেছেন, তার কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো—

জাল হাদিস যেই হাদিস বিশারদরা জাল প্রমাণ করেছেন
জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীনে যেতে হলেও যাও। ইবন জাওযি, ইবন হিব্বান, নাসিরুদ্দিন আলবানি
জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে বেশি পবিত্র। আল-খাতিব আল-বাগদাদি—হিস্টরি অফ বাগদাদ
দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। আস-সাগানি, নাসিরুদ্দিন আলবানি
নিজের কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ সর্বোত্তম জিহাদ। ইবন তাইমিয়্যাহ, ইবন বাআয।
সবুজ গাছপালা, শস্যর দিকে তাকিয়ে থাকলে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। আয-যাহাবি
আযানের মধ্যে আঙ্গুল চুম্বন করে চোখে মোছা। আস-সুয়ুতি, আলবানি
সুরা ইয়াসিন কু’রআনের হৃদয়। একবার সুরা ইয়াসিন পড়লে দশবার কু’রআন খতম দেওয়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। ইবন আবি হাতিম, আলবানি
মৃতের জন্য সুরা ইয়াসিন পড়। আদ-দার কুদনি
আমি জ্ঞানের শহর এবং আলি তার দরজা। ইমাম-বুখারি
আমি তোমাদেরকে দুটি উপশম বলে দিলাম—মধু এবং কু’রআন। আলবানি

জাল হাদিসের উপর দুটি উল্লেখযোগ্য বই হলো—

কারা হাদিস জাল করে?

হাদিস জাল করার উদ্দেশ্য অনেকগুলোঃ

ইতিহাসের কিছু বিখ্যাত হাদিস জালকারি

খলিফা মাহদি আব্বাসির শাসনামলে আব্দুল কারিম বিন আল আরযাকে যখন শাস্তি স্বরূপ হত্যা করার জন্য আনা হয়, তখন সে প্রায় চার হাজার হাদিস জাল করার কথা স্বীকার করেছিলেন।[১৬০][১৬১]

আবু আসমা নুহ বিন আবি মারিয়াম কু’রআনের প্রতিটি সূরার নানা ধরণের ফজিলত নিয়ে শত শত জাল হাদিস প্রচার করেছেন, যখন তিনি লক্ষ করেছিলেন মানুষ কু’রআনের প্রতি বেশি মনোযোগ দিচ্ছিল না। যেমন, সূরা ইয়াসিন কু’রআনের দশ ভাগের একভাগ, অমুক সূরা পড়লে কু’রআন খতমের সওয়াব পাওয়া যায় ইত্যাদি।  [কিতাব আল মাউজুয়াত – ইবন জাওযি, পৃষ্ঠা ১৪][১৬১]

ওয়াহাব বিন মুনাব্বিহ নানা ধরণের ভালো কাজের বিভিন্ন ধরণের ফজিলত নিয়ে অনেক হাদিস জাল করেছেন। তিনি একজন ইহুদি ছিলেন মুসলমান হবার আগে।  [আল মাউজুয়াত][১৬১]

আবু দাউদ নাখায়ি একজন অত্যন্ত নিবেদিত প্রাণ ধার্মিক ছিলেন। তিনি রাতের বেশিরভাগ সময় নামায পড়তেন এবং প্রায়ই দিনে রোজা রাখতেন। তিনিও নানা ধরণের বানানো হাদিস প্রচার করেছেন মানুষকে ধর্মীয় কাজে মাত্রাতিরিক্ত মগ্ন রাখার জন্য। [আল মাউজুয়াত-৪১][১৬১]

যারা ধর্মকে বিকৃত করে, তারা সত্য মেনে নিবে না

এই আয়াতের পটভূমি হচ্ছে: মদিনায় প্রথম দিকের মুসলিমরা অনেক আশা করেছিল যে, সেখানকার ইহুদীরা সহজেই রাসুলকে عليه السلام গ্রহণ করে, ইসলামকে মেনে নিয়ে তাদেরকে সমর্থন করবে। যেহেতু ইহুদীরা ধর্মের ব্যাপারে খুব সিরিয়াস ছিল, আল্লাহর تعالى প্রতি বিশ্বাস করত এবং মুসা নবীর عليه السلام অনুসারী ছিল, মুসলিমরা স্বাভাবিক ভাবেই ধরে নিয়েছিল যে, ইহুদীরা হবে তাদের সবচেয়ে কাছের এবং ইহুদীরা তাদের সাহায্যে সবার আগে এগিয়ে আসবে।[৩][১১] কিন্তু এই আয়াতে আল্লাহ تعالى সেই সরলমনা মুসলিমদেরকে বাস্তবতা শেখাচ্ছেন: যেই জাতি জেনে বুঝে আল্লাহর تعالى বাণীকে বিকৃত করে নিজেদের লাভের জন্য, কীভাবে মুসলিমরা আশা করে যে, সেই জাতি তাদের সুবিধামত বানানো ধর্মটাকে ছেড়ে দিয়ে ইসলামকে মেনে নিবে, যার উপর তাদের আর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না?

এই আয়াতে আমাদের একটা শেখার ব্যাপার রয়েছে: সবাইকে ইসলামের দাওয়াত দিয়ে পরিবর্তন করা যায় না, বিশেষ করে যারা যথেষ্ট পড়াশুনা করে, জেনে-বুঝে বিকৃত ধর্ম প্রচার করছে।[১১] এই ধরনের মানুষদেরকে আপনি যদি বোঝাতে যান তারা কী ভুল করছে, প্রথমত তারা তা স্বীকার করবে না, দ্বিতীয়ত তারা আপনাকে পথের কাঁটা হিসেবে দেখে, আপনাকে দূর করে ফেলার জন্য অনেক নীচে নামতে পারে।

আজকাল গ্রামে গঞ্জে অনেক পীর, দরবেশ, ‘হাজি সাহেবের’ উদ্ভব হয়েছে, যারা ইসলামের নামে বিকৃত শিক্ষা প্রচার করছে। আমরা যদি আশা করি যে, এদের কাছে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে গেলে, কু’রআন-হাদিস থেকে কোটেশন দিলে, তারা নিজেদের ভুল বুঝে ভালো হয়ে যাবে, তাহলে আমাদের আশাহত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেই মানুষ ইসলাম সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করার পরেও নিজের কথাকে আল্লাহর বাণী বলে চালিয়ে দেওয়ার মতো ভয়ংকর আস্পর্ধা দেখাতে পারে, তার মতো স্বার্থপর, বিকৃত মানসিকতার মানুষ হতে পারে না। তবে আমরা যেহেতু জানি না মানুষের মনের খবর, তাই আমাদের উচিত সবাইকেই দাওয়াত দেওয়া। যাদের ভেতরে আল্লাহর تعالى ভীতি আছে এবং যারা অজ্ঞতাবশত ইসলামকে ভুলভাবে উপস্থাপন করে, তারা হিদায়াত পাবে, আল্লাহ تعالى যদি চান।

যখন তারা বিশ্বাসীদের সাথে দেখা করে, তখন বলে, “আমরা ঈমানদার”; কিন্তু যখন তারা নিজেদের ভেতরে একাকি থাকে, তখন বলে, “তোমরা কেন তাদেরকে বলে দিলে আল্লাহ আমাদেরকে কি প্রকাশ করেছেন? তারা তো আল্লাহর সামনে এনিয়ে তোমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাঁড় করাবে? তোমাদের কি কোনো বুদ্ধি নেই?” [আল-বাক্বারাহ ৭৬]

এই ধরনের মানুষরা সাধারণত দল বেঁধে থাকে, কারণ তারা জানে একা একা এরকম অন্যায় করে টিকে থাকা মুশকিল। অনেক সময় এদের দলের কেউ ভুল করে কোনো সত্য কথা ফাঁস করে দেয়। তখন শুরু হয় তার উপর আক্রমণ। তাকে হয় দল ছাড়া করা হয়, না হয় গুম করে ফেলা হয়।

এই ধরনের মাফিয়া মানসিকতা কিছু কিছু আলেমের মধ্যেও রয়েছে। ধরুন, কোনো বিশেষ মতবাদের অনুসারী কয়েকজন আলেমের একটা দল, অন্য কোনো মতবাদের অনুসারী একজন আলেমকে ভুল প্রমাণ করে বইয়ের উপর বই লিখে, মসজিদে খুতবার পর খুতবা দিয়ে এসেছে। কিন্তু একদিন তাদের একজন উপলব্ধি করল যে, কাজটা ঠিক হচ্ছে না, কারণ তাদের যুক্তি এবং দলিলে কিছু ভুল আছে। এখন তার সামনে দুইটা পথ খোলা: ১) সত্য কথা বলে দল থেকে বহিস্কার হয়ে যাওয়া। যার ফলাফল: তার দলের বাকিরা তখন তাকে নিয়েই বই লিখতে বসবে। তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করবে। মসজিদের খুতবায় তাকে বদনাম করে তার ক্যারিয়ার শেষ করে দিবে। যদি দলের বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তাহলে তাকে হয়ত গুম করে ফেলা হবে। অথবা, ২) ‘বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে ক্ষুদ্র ত্যাগ করে’ দলের খ্যাতি, অগাধ ফান্ড, সুসজ্জিত অফিস, লাইব্রেরী ইত্যাদি না হারিয়ে, দলের বাকিদের সাথে মিলমিশ করে খারাপ কাজটা মুখ বুজে চালিয়ে যাওয়া — এই আশা করে যে, বাকি অনেক ভালো কাজের বিনিময়ে এই খারাপ কাজটা আল্লাহ تعالى মাফ করে দেবেন।

বহুল প্রচলিত কিছু জাল হাদিসের একটি তালিকা

জাল হাদিস যেই হাদিস বিশারদরা জাল প্রমাণ করেছেন
জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীনে যেতে হলেও যাও। ইবন জাওযি, ইবন হিব্বান, নাসিরুদ্দিন আলবানি
জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে বেশি পবিত্র। আল-খাতিব আল-বাগদাদি—হিস্টরি অফ বাগদাদ
দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। আস-সাগানি, নাসিরুদ্দিন আলবানি
নিজের কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে জিহাদ সর্বোত্তম জিহাদ। ইবন তাইমিয়্যাহ, ইবন বাআয।
সবুজ গাছপালা, শস্যর দিকে তাকিয়ে থাকলে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। আয-যাহাবি
আল্লাহ সেই বান্দাকে ভালবাসেন যে তাঁর ইবাদতে ক্লান্ত, নিস্তেজ হয়ে পড়ে। আদ-দারকুতনি
সুদ খাওয়ার ৭০ পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞা আছে, এর মধ্যে আল্লাহর দৃষ্টিতে সবচেয়ে ছোট অপরাধ হচ্ছে মায়ের সাথে ব্যভিচার   করা। ইবন জাওযি, আল হুয়ায়নি (দুর্বল বা জাল হাদিস)
মুহাম্মাদকে عليه السلام সৃষ্টি না করলে আল্লাহ কোনো কিছুই সৃষ্টি করতেন না। মুহাম্মাদ عليه السلام—এর নূর থেকে সমস্ত সৃষ্টি জগত সৃষ্টি হয়েছে। আয-যাহাবি, ইবন হিব্বান, নাসিরুদ্দিন আলবানি
যে শুক্রবার মুহাম্মাদ عليه السلام এর প্রতি ৮০বার দুরুদ পাঠাবে তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। আল্লামা সাখায়ি, আলবানি
আযানের মধ্যে আঙ্গুল চুম্বন করে চোখে মোছা। আস-সুয়ুতি, আলবানি
এক ঘণ্টা গভীরভাবে চিন্তা করা ৬০ বছর ইবাদতের সমান। ইবন জাওযি
যারা মানুষকে ইসলামের দাওয়াত দেয় এবং মানুষকে ইসলাম গ্রহন করায় তাদের জন্য জান্নাত নিশ্চিত। আস-সাগানি
সুরা ইয়াসিন কু’রআনের হৃদয়। একবার সুরা ইয়াসিন পড়লে দশবার কু’রআন খতম দেওয়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। ইবন আবি হাতিম, আলবানি
মৃতের জন্য সুরা ইয়াসিন পড়। আদ-দার কুদনি
আরবদেরকে ভালোবাসো, কারণ আমি একজন আরব, কু’রআন আরবিতে নাজিল হয়েছে এবং জান্নাতের ভাষা হবে আরবি। আবি হাতিম—জারহ ওয়া তাদিল
পাগড়ী পরে নামায পড়লে পাগড়ী ছাড়া ১৫টি নামায পড়ার সমান সওয়াব। ইবন হাজার—লিসানুল মিজান
আমি জ্ঞানের শহর এবং আলি তার দরজা। ইমাম-বুখারি
প্রত্যেক নবীর একজন উত্তরসূরি আছে। আমার উত্তরসূরি আলি। ইবন জাওযি, ইবন হিব্বান, ইবন মাদিনি
আমার উম্মতের আলেমরা বনি ইসরাইলিদের নবীদের সমান। আলেমদের ইজমা দ্বারা স্বীকৃত
আমার পরিবার, সাহাবীরা আকাশের তারার মত, তাদের মধ্যে যাকেই তোমরা অনুসরণ করবে, তোমরা সঠিক পথে   থাকবে। আহমাদ হানবাল,   আয-যাহাবি, আলবানি
বিশ্বাসীর অন্তরে আল্লাহ تعالى থাকেন। আয-যারকাশি, ইবন তাইমিয়া
যে নিজেকে জেনেছে, সে আল্লাহকেও تعالى জেনেছে। আস-সুয়ুতি, ইমাম নাওয়ায়ি
আমি তোমাদেরকে দুটি উপশম বলে দিলাম—মধু এবং কু’রআন। আলবানি
যদি আরবদের অধঃপতন হয়, তাহলে ইসলামেরও অধঃপতন হবে। ইবন আবি হাতিম
যে কু’রআন শেখানোর জন্য কোন পারিশ্রমিক নেয়, সে কু’রআন শিখিয়ে আর কোন সওয়াব পাবে না। আয-যাহাবি
বিয়ে কর, আর কখনও তালাক দিয়ো না, কারণ তালাক দিলে আল্লাহর تعالى আরশ কাঁপে। ইবন জাওযি
যে বরকতের আশায় তার ছেলের নাম মুহাম্মাদ রাখবে সে এবং তার ছেলে জান্নাত পাবে। ইবন জাওযি
যে হজ্জের উদ্দেশে মক্কায় গেছে কিন্তু মদিনায় গিয়ে আমার কবর জিয়ারত করেনি সে আমাকে অপমান করেছে। আস-সাগানি, ইবন জাওযি, আশ-শাওকানি
যে আমার (মুহম্মাদ عليه السلام) কবর জিয়ারত করে তার জন্য সুপারিশ করা আমার জন্য ওয়াজিব হয়ে যায়। আলবানি
যে স্ত্রী তার স্বামীর অনুমতি না নিয়ে ঘরের বাইরে যায়, সে ফেরত না আসা পর্যন্ত আল্লাহর অসন্তুষ্টিতে থাকবে, বা যতক্ষন না তার স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়। আলবানি
যদি নারী জাতি না থাকতো, তাহলে আল্লাহর تعالى যথাযথ ইবাদত হতো। শেখ ফয়সাল
নারীর উপদেশ মেনে চললে অনুশোচনায় ভুগবে। শেখ ফয়সাল

সূত্র:

নতুন আর্টিকেল বের হলে জানতে চাইলে কু’রআনের কথা ফেইসবুক পেইজে লাইক করে রাখুন—

Exit mobile version