কুরআনের কথা

তার সম্পদ তার পতনকে ঠেকাতে পারবে না —আল-লাইল

আজকাল অনেক আধুনিক মুসলিম ধর্ম মানার কোনো কারণ খুঁজে পান না। তারা ভাবেন যে, ধর্মীয় রীতিগুলো অনুসরণ করা, যেমন নামাজ পড়া, রোজা রাখা —এগুলো করে কী হবে? এগুলো করে কী মানুষের কোনো লাভ হচ্ছে? মানুষের কষ্ট কমছে? অভাব দূর হচ্ছে? সমাজের সংস্কার হচ্ছে? — তাদেরকে সূরাহ আল-লাইল অনুপ্রেরণা দেবে, কারণ এই সূরাহ’র মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে দান করার গুরুত্ব এবং কৃপণদের কঠিন পরিণতি।

শপথ রাতের যখন তা আধারে ঢেকে যায়। শপথ দিনের যখন তা আলোয় উদ্ভাসিত হয়। শপথ তাঁর নর-নারী সৃষ্টির। তোমাদের চেষ্টাগুলো কতই না ভিন্ন। তবে, যে দান করে এবং আল্লাহকে ভয় পায়, আর ভালো কাজের পরিণামে বিশ্বাস করে, আমি তার জন্য সহজকে পাওয়া সহজ করে দেবো। আর যে কৃপণ, মনে করে যে, তার সবই আছে এবং ভালো কাজের পরিণামে অস্বীকার করে, আমি তার জন্য কষ্টের দিকে যাওয়া সহজ করে দেবো। তার সম্পদ তার পতনকে ঠেকাতে পারবে না। —আমার উপরই নির্ভর করে কে সঠিক পথ পাবে। এই দুনিয়া এবং আখিরাত শুধুই আমার।

তাই আমি তোমাদেরকে এক জ্বলন্ত আগুন সম্পর্কে সাবধান করে দিচ্ছি। এটা শুধু কঠিন পাপীদেরকে পুড়িয়ে ছারখার করে, যারা সত্য অস্বীকার করে এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়। কিন্তু যে আল্লাহর প্রতি সাবধান, তাকে এটা থেকে দূরে রাখা হবে। যে তার সম্পদ দান করেছে নিজেকে পবিত্র করার জন্য। যে অন্য কারও কাছ থেকে প্রতিদান পাওয়ার জন্য দান করে না। শুধুই তার সুমহান রবকে পাওয়ার আশায় সে তা করে। অচিরেই এরা সন্তুষ্ট হয়ে যাবে।  —আল-লাইল

পৃথিবীর মূল ধর্মগুলোর মধ্যে ইসলাম হচ্ছে একমাত্র ধর্ম, যেখানে মানুষের জন্য খরচ করা বাধ্যতামূলক। ইসলামে শুধু মানুষের জন্য খরচ করার নির্দেশই দেওয়া হয়নি, একই সাথে কার জন্য কীভাবে খরচ করতে হবে, সেটাও সুন্দরভাবে বলে দেওয়া হয়েছে। ইসলামই একমাত্র ধর্ম, যেখানে বিশ্বাসের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে একটি হলো বাধ্যতামূলক দান। যারা মনে করেন: মানব ধর্মই আসল ধর্ম, মানুষের উপকার করতে পারাটাই আসল কথা, নামাজ, রোজা করে কী হবে? —তারা হয়তো জানেন না যে, মানব ধর্মের যে সব ব্যাপার তাদের কাছে এত ভালো লাগে, সেগুলো ইসলামের অংশ মাত্র। একজন প্রকৃত মুসলিম শুধুই একজন নিয়মিত নামাজী, রোজাদার নন, একই সাথে তিনি একজন দানশীল, চরিত্রবান, আইনের প্রতি অনুগত, আদর্শ, বিবেকবান নাগরিক। যিনি সহমর্মিতার এক অনুসরণীয় উদাহরণ।

আবার, ইসলাম সম্পর্কে অনেকের এরকম ধারণাও আছে যে, ধর্ম হচ্ছে নামাজ পড়া, রোজা রাখা, বছরে একবার যাকাত দেওয়া, ব্যাস এই পর্যন্তই। এর বাইরে অন্য ভালো কাজগুলো, যেমন, দান করা, আত্মীয়ের উপকার করা, অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, এগুলো ঐচ্ছিক ব্যাপার; করলে ভালো, না করলেও চলে। এই ভুল ধারণার কারণে আজকে মুসলিম সমাজে আমরা অনেক মুসলিম দেখতে পাই, যারা দাঁড়ি-টুপি-আলখাল্লা এবং টাখনুর উপরে কাপড়ের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস, কিন্তু কোনোদিন তাদেরকে এতিমখানায় দান করতে দেখা যায় না। আবার অনেকে হিজাবের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস, কিন্তু প্রতিবেশীরা তার কাছে সামান্য তেল, লবণ বা প্লেট-বাটি ধার চাইতে এসে মন খারাপ করে ফিরে যায়। আবার অনেকে দিনরাত ইসলামি বই পড়ে, অনলাইনে ফাতওয়ার পর ফাতওয়া পড়ে, ফেইসবুকে কাফির, খারিজি, বিদআতি এই সব নিয়ে তর্ক করে মুখে ফেনা তুলে ফেলে, নিজেদেরকে সালাফদের প্রকৃত অনুসারী মনে করে, অথচ কোনোদিন তাদেরকে মসজিদের দান বাক্সে মানিব্যাগের ছোট নোটগুলোর থেকে বেশি কিছু দিতে দেখা যায় না।

এভাবে আজকে মুসলিম সমাজে এমন সব মুসলিম দিয়ে ভরে গেছে, যারা ধর্মের আনুষ্ঠানিক এবং বাহ্যিক দিকগুলো নিয়ে খুবই সাবধানী, কিন্তু ধর্মের মানবিক এবং সহমর্মিতার দিকগুলোর প্রতি একেবারেই উদাসীন। কুর‘আনের যেই আয়াতগুলো নিজের স্বার্থ হাসিল করে, সেগুলো তারা মনে রাখতে ভুল করে না, কিন্তু যেই আয়াতগুলো অন্যের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে বলে, সেগুলো তারা নানা কৌশলে, অজুহাতে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে।

তোমাদের চেষ্টাগুলো কতই না ভিন্ন। তবে, যে দান করে এবং আল্লাহকে ভয় পায়, আর ভালো কাজের পরিণামে বিশ্বাস করে, আমি তার জন্য সহজকে পাওয়া সহজ করে দেবো।

প্রশ্ন হচ্ছে: কেন জান্নাত পেতে হলে দানশীল হতে হবে? পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি, নিয়মিত রোজাদার হলেই জান্নাত দিয়ে দিলে কী হতো?

ঘরে বসে নামাজ, রোজা করা সোজা কাজ। কিন্তু নিজের কষ্টের সম্পদ কাউকে দান করা কঠিন ব্যাপার। দান করতে গেলেই মাথার মধ্যে হাজারো চিন্তা শুরু হয়ে যায়, “যদি দান করি তাহলে বাচ্চার পড়ার খরচের জন্য টাকা থাকবে? আগামী কয়েকমাস বাড়ি ভাড়া দিতে পারবো? পরিবারের কেউ গুরুতর অসুস্থ হলে তার চিকিৎসার টাকা কীভাবে দেব? গাড়ি-বাড়ি কেনার জন্য টাকা জমাবো কীভাবে?” — যখনি আমরা কোনো দান করার পরিস্থিতিতে পড়ি, তখনি আমরা একেক জন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হয়ে যাই। মুহূর্তের মধ্যে আমাদের যাবতীয় সম্পদ, বিনিয়োগ এবং ঝুঁকির হিসাব মাথার মধ্যে গিজগিজ করতে থাকে। দান করতে গেলেই বোঝা যায় কার আল্লাহর تعالى প্রতি বিশ্বাস কতটা দৃঢ়।

একারণেই যারা নিজের সাথে প্রতিনিয়ত যুদ্ধে জয়ী হয়ে দিন-রাত দান করতে পারেন, তাদের বিশ্বাস অত্যন্ত মজবুত হয়ে যায় এবং তাদের অন্তর খুবই শক্তিশালী হয়ে যায়। তখন তাদের ভেতরে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। যেমন, আল্লাহর تعالى প্রতি আস্থা অনেক বেড়ে যায়। ভবিষ্যৎ নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা করা কমে যায়। অমূলক ভয়-ভীতিকে তারা জয় করেন। নেতিবাচক চিন্তা কমে যায়। অন্যের প্রতি আত্মত্যাগ করার মানসিকতা তৈরি হয়। সহমর্মিতা বোধ বাড়ে। একারণেই যারা নিয়মিত দান করেন, তাদের অন্তর মজবুত হয়। অল্পতেই মন ভেঙ্গে পড়ে না। দান করাটা হচ্ছে কঠিন পরিস্থিতিতেও অন্তরকে আল্লাহর تعالى আদেশ মানানোর জন্য এক ধরনের ট্রেনিং। দুর্ভিক্ষ, মহামারি বা কষ্টের সময় মানুষকে দান করা, যখন কিনা নিজেরই অভাব চলছে, আত্মীয়দেরকে দান করা যাদের সাথে সম্পর্ক ভালো না—এগুলো বেশ কঠিন কাজ। এগুলো আমাদেরকে সহজ, আরামের ইবাদতের গণ্ডি থেকে বের করে, কঠিন পরিস্থিতিতেও আল্লাহর تعالى প্রতি আস্থা রাখা, তাঁর تعالى আদেশ মেনে চলার ট্রেনিং দেয়।[৭]

সুরা আল-লাইলে আল্লাহ تعالى বলছেন যে, মানুষের চেষ্টার ভিন্নতা অনেক। কিন্তু আল্লাহর تعالى কাছে গ্রহণযোগ্য চেষ্টা হচ্ছে— ১) দান করা, ২) আল্লাহর প্রতি সাবধান হয়ে চলা, ৩) ভালো কাজের পরিণামে, অর্থাৎ ইসলাম যে সত্য এবং আখিরাতের বিচার যে সত্য, তাতে বিশ্বাস করে সেই অনুযায়ী চলা।[৮][১৭][১৮] এই ধরনের মানুষদের জন্য ভালো কাজ করাটা আল্লাহ تعالى  আরও সহজ করে দেবেন। তারা দেখবে যে, জান্নাতের দিকে যাওয়ার পথ তাদের জন্য কীভাবে যেন দিনে দিনে আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে। আগে যেই ইবাদাতগুলো করতে অনেক কষ্ট হতো, ইসলামের নিষেধ মেনে চলতে অনেক সংগ্রাম করতে হতো, দান করার পর থেকে সেগুলো কীভাবে যেন আরও সহজ হয়ে যাচ্ছে। আগে তাদের জীবনে যে খারাপ প্রভাবগুলো ছিল, খারাপ বন্ধু, আত্মীয়রা ছিল, তারা কীভাবে যেন দূরে চলে যাচ্ছে। তাদের জীবনে ভালো মানুষরা আরও বেশি করে আসছে। ইসলামের সংস্পর্শ তারা আরও বেশি পাচ্ছে। —এগুলো সবই আল্লাহকে تعالى খুশি করার জন্য দানের ফলাফল।

যারা তাদের সম্পদ দিন-রাত প্রকাশ্যে, গোপনে আল্লাহর পথে খরচ করে — তাদের পুরস্কার তাদের প্রতিপালকের কাছে রাখা আছে। তাদের কোনো ভয় নেই, তারা কোনো আফসোস করবে না। [আল-বাক্বারাহ ২৭৪]

আর যে কৃপণ, মনে করে যে, তার সবই আছে এবং ভালো কাজের পরিণামে অস্বীকার করে, আমি তার জন্য কষ্টের দিকে যাওয়া সহজ করে দেবো। তার সম্পদ তার পতনকে ঠেকাতে পারবে না।

কিন্তু যারা কৃপণের মতো সম্পদ আগলে রাখে, মানুষকে দেয় না, আর মনে করে যে, তার সবই আছে, তার আর কারও কাছ থেকে কিছুই নেওয়ার দরকার নেই —এদের সম্পদ, ক্ষমতা, প্রতিপত্তি কোনোটাই এদেরকে জাহান্নামের আগুনে পড়ে যাওয়া ঠেকাতে পারবে না। এদের জন্য দিনে দিনে আল্লাহর تعالى ইবাদাত করা কঠিন হতে থাকবে। এদেরকে আল্লাহ تعالى ধীরে ধীরে সঠিক পথ থেকে সরিয়ে দেবেন, যেন তারা দিনে দিনে আরও কষ্টের দিকে যেতে থাকে। এরা দেখবে যে, আরও অন্যায়ের দিকে পা বাড়ানো এদের জন্য কীভাবে যেন সহজ হয়ে যাচ্ছে। আগে এরা লক্ষ টাকা মারত, এখন কোটি টাকা মারার সুযোগ পাচ্ছে। আগে একটু আধটু মদ খেত, এখন নিয়মিত খাচ্ছে। আগে বছরে একবার পার্টি করতো, এখন সপ্তাহে একবার পার্টি করে। আগে পরিবারে হয়ত মাসে একবার অশান্তি হতো, এখন সপ্তাহে একবার হয়। দিনে দিনে তাদের জীবন দুর্বিষহ হতে থাকবে। বিশাল সম্পদ খরচ করেও এরা জীবনে সুখ, শান্তি অর্জন করতে পারবে না। শেষ পর্যন্ত গিয়ে এরা পড়বে জাহান্নামের অতল গর্তে।

যে তার সম্পদ দান করেছে নিজেদেরকে পবিত্র করার জন্য। যে অন্য কারও কাছ থেকে প্রতিদান পাওয়ার জন্য দান করে না। শুধুই তার সুমহান রবকে পাওয়ার আশায় সে তা করে।

দান করে যখন আমরা কাউকে খোটা দেই, “তোমাকে এই বছর যে যাকাত দিলাম, এরই মধ্যে সব শেষ করে ফেলেছ?”, “তোমাকে আমি এত টাকা দিলাম, আর তুমি আমার এই ছোট কাজটা করে দিতে পারবে না?”, “দরকারের সময় আমাকে দিনে দশবার ফোন করতে পারো, আর একবার টাকা পেয়ে গেলে আর কোনোদিন ফোন করতে পারো না?” — তখন আমাদের দান বাতিল হয়ে যায়।

আমরা যখন শুধুমাত্র আল্লাহকে تعالى খুশি করার জন্য দান করবো, তখন আমরা যাকে দান করেছি, তার কাছে কোনো ধরনের দাবি রাখব না। বিনিময়ে তার কাছে কোনো উপকার, খাতির, ফুটফরমাশ আশা করব না। সে আমাকে ভুলে গেলে, আমার সাথে অন্যায় করলেও কিছু মনে করব না। কারণ আমি তাকে তার লাভের জন্য দান করিনি। দান করেছি নিজের লাভের জন্য, শুধুই আল্লাহকে تعالى খুশি করার জন্য, নিজে কিছু পুরস্কার অর্জন করার জন্য। যদি আমরা কোনো ধরনের দাবি ধরে রাখি, তার কোনো কাজে, ব্যবহারে মন খারাপ করি, তাহলে আমাদের দানের উদ্দেশ্য শুধু আল্লাহকে تعالى খুশি করা ছিল না। আমার নিয়তে আসলে ভেজাল ছিল। ভেজাল নিয়তে করা দানের থেকে কোনো প্রতিদান পাওয়ার আশা ছেড়ে দিতে হবে।

যারা আল্লাহর পথে তাদের সম্পদ খরচ করে, তারপরে দানের কথা মনে করিয়ে খোটা দেয় না বা কোনো কষ্টও দেয় না, তারাই তাদের রবের কাছে প্রতিদান পাবে, তাদের কোনো ভয় নেই, তারা কোনো দুঃখও করবে না। [আল-বাক্বারাহ ২৬২]

দান করে তারপর কষ্ট দেওয়ার থেকে সুন্দর কথা বলা এবং ক্ষমা করা উত্তম। আল্লাহ ধনী-অভাবহীন এবং একইসাথে অত্যন্ত সহনশীল। [আল-বাক্বারাহ ২৬৩]

অচিরেই এরা সন্তুষ্ট হয়ে যাবে।

আল্লাহ تعالى বলতে পারতেন যে, যারা দান করবে, তাদেরকে জান্নাতে অমুক পুরস্কার দেওয়া হবে, তমুক আরামের ব্যবস্থা থাকবে ইত্যাদি। কিন্তু সেগুলো কিছুই তিনি تعالى বলার প্রয়োজন মনে করেননি। এক কথায় তিনি تعالى যা বলার বলে দিয়েছেন, “অচিরেই এরা সন্তুষ্ট হয়ে যাবে।” সন্তুষ্ট হয়ে যাওয়াটা হচ্ছে পরম প্রাপ্তি।

আজকে আমরা পৃথিবীতে কখনই সন্তুষ্ট হতে পারি না। যত পাই, তত চাই। যে ভাড়া বাড়িতে থাকে, সে নিজের বাড়ি না পাওয়া পর্যন্ত সন্তুষ্ট হয় না। নিজের বাড়ি হলে, বিদেশ বেড়াতে না যাওয়া পর্যন্ত আফসোস করে। বিদেশ বেড়াতে গেলে, সেখানে স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার সুযোগ না পাওয়া পর্যন্ত সন্তুষ্ট হয় না। বিদেশে স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা হয়ে গেলে, কেন দেশের নিকটজনদের কাছে পায় না, তা নিয়ে মনের কষ্টে থাকে। মানুষ পৃথিবীতে কখনই পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারে না। যারা বলে সে তার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট, তার আর কিছুই চাওয়ার নেই, সে আসলে মিথ্যা কথা বলে। তার ভেতরে কিছু না কিছু নিয়ে আফসোস আছেই।

আল্লাহ تعالى আমাদেরকে জান্নাতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট করে দেবেন। তখন আর পাওয়ার কিছুই বাকি থাকবে না। কোনো আফসোস থাকবে না। যেদিন আমরা নিজের চোখে আল্লাহকে تعالى দেখতে পাবো, নিজের কানে তাঁর تعالى কথা শুনতে পারবো, সেদিন আমাদের কেমন লাগবে, অর্জন এবং প্রাপ্তির আনন্দ কতটা তীব্রভাবে অনুভব করবো, সেটা আজকে আমরা কখনই কল্পনাও করতে পারবো না।

নতুন আর্টিকেল বের হলে জানতে চাইলে কু’রআনের কথা ফেইসবুক পেইজে লাইক করে রাখুন—

Exit mobile version